যুক্তরাষ্ট্রে ফের পুলিশের হাঁটুর চাপে মৃত্যু কৃষ্ণাঙ্গের
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৩০
পুলিশি নিগ্রহে ফের কৃষ্ণাঙ্গের মৃত্যুর অভিযোগ ওঠল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। ওহাইওর ঘটনা। ৫৩ বছর বয়সী ফ্র্যাঙ্ক টাইসনকে মাটিতে উপুড় করে ফেলে তার ঘাড়ের কাছে চেপে ধরেছিল এক পুলিশ অফিসার। টাইসনের শ্বাস চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মারা যান তিনি।
চার বছর আগে পুলিশের হাঁটুর চাপে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা গিয়েছিলেন কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েড। তার মৃত্যুর সেই ভয়াবহ ভিডিওয় দেখা গিয়েছিল যে ফ্লয়েড বারবার বলছেন, ‘শ্বাস নিতে পারছি না, আমি শ্বাস নিতে পারছি না।’ ফ্লয়েডের গলা হাঁটু দিয়ে চেপে ধরেছিলেন ডেরেক শভিন নামের এক শ্বেতাঙ্গ পুলিশ। ওই হাঁটুর চাপে ফ্লয়েডের কণ্ঠস্বর আস্তে আস্তে থেমে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। শভিন এখন জেলে।
ওই মৃত্যুর স্মৃতি উস্কে দিয়েছে টাইসনের মৃত্যুর ভিডিও। ঘটনাস্থলে থাকা এক পুলিশের ‘বডিক্যাম’ থেকে এই ভিডিও পাওয়া গেছে। ঘটনার দিন একটি বিদ্যুতের খুঁটিতে ধাক্কা মারে টাইসনের গাড়ি। তিনি পালিয়ে কাছেই একটি পানশালায় ঢুকে পড়েন। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছে যায় পুলিশ। দু’জন পুলিশ অফিসার তাকে চেপে ধরে মাটিতে শুইয়ে দেয়। তার পরে একজন হাঁটু দিয়ে টাইসনের ঘাড়ের ঠিক নিচটায় চেপে ধরে। ভিডিওয় টাইসনকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘আমি শ্বাস নিতে পারছি না... আমাকে ছেড়ে দাও... আমার ঘাড় থেকে পা নামাও।’ এক পুলিশ অফিসারকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘কিছু হয়নি, শান্ত হও।’ যে পুলিশটি টাইসনকে হাঁটু দিয়ে চেপে রেখেছিল, এর পরে সে উঠে দাঁড়ায়। তখন দেখা যায়, মাটিতে নিথর পড়ে রয়েছেন টাইসন। পুলিশ অফিসারেরা পরস্পরকে প্রশ্ন করেন, ‘সে বেঁচে আছে তো? শ্বাস নিচ্ছে?’
টাইসনকে হাতকড়া পরানোর ৮ মিনিট পরে হাতকড়া খুলে কৃত্রিমভাবে শ্বাসপ্রশ্বাস চালানোর চেষ্টা শুরু করে পুলিশ। কিছুক্ষণ পরে ঘটনাস্থলে আসেন চিকিৎসাকর্মীরা। অ্যাম্বুল্যান্সে তুলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় টাইসনকে। সেখানেই মারা যান তিনি। মৃত্যুর কারণ এখনো জানানো হয়নি।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা