চীনের আগ্রাসন নিয়ে আলোচনা করতে জাপান এবং ফিলিপাইনের নেতাদের বাইডেনের আমন্ত্রণ
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১২ এপ্রিল ২০২৪, ১০:০০, আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০২৪, ১০:০৪
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউজে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা এবং ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়রকে স্বাগত জানিয়েছেন, এই বৈঠকের লক্ষ্য দক্ষিণ চীন সাগরে তার প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে আগ্রাসী আচরণ বন্ধ করার জন্য চীনকে একটি স্পষ্ট বার্তা পাঠানো।
জানা গেছে, ম্যানিলা এবং বেইজিংয়ের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে ত্রিপক্ষীয় শীর্ষ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে, চীনা উপকূল রক্ষী জাহাজগুলো সেকেন্ড টমাস শোলে নিযুক্ত ফিলিপাইনের সৈন্যদের জন্য পুনঃসাপ্লাই মিশন বাধা দেয়ার জন্য উস্কানিমূলক পদক্ষেপ নিয়েছে। এই সৈন্যরা স্প্র্যাটলি দ্বীপপুঞ্জের ওপর ম্যানিলার সার্বভৌমত্বের দাবি রক্ষা করে।
তথাকথিত এই অমীমাংসিত অঞ্চলের ভয় দেখানোর কৌশলগুলোর কারণে ওয়াশিংটন এবং ম্যানিলার মধ্যে শিগগিরই একটি পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তির সূত্রপাত ঘটাবে এবং বৃহস্পতিবারের শীর্ষ সম্মেলনে সে বিষয়টি গুরুত্ব পাবে। আলোচনার মূল বিষয় হলো অমীমাংসিত অঞ্চলের আক্রমণ বলতে ঠিক কি বোঝায় একত্রে তা বুঝতে পারা এবং কখন চুক্তির নিয়মগুলো প্রয়োগ করা উচিত তা নির্ধারণ করা।
এর আগে বুধবার নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি ব্রিফিংয়ের সময় ভয়েস অব আমেরিকার প্রশ্নের জবাবে প্রশাসনের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা চীনের তথাকথিত ধূসর (অমীমাংসিত) অঞ্চলের জবরদস্তিমূলক কৌশল এবং এর প্রভাব কী হতে পারে এই প্রশ্নগুলো গুরুত্ব সহকারে সমন্বয় করে চলেছি।’
যুক্তরাষ্ট্র-ফিলিপাইন পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তিতে রয়েছে ‘ফিলিপাইনের সামরিক বাহিনী, অসামরিক জাহাজ বা বিমানের উপর সশস্ত্র আক্রমণ হলে যুক্তরাষ্ট্র সাহায্য করবে।
এর মধ্যে রয়েছে তাদের উপকূল রক্ষী এবং এতে দক্ষিণ চীন সাগরের যেকোনো স্থান ।
ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, ‘বাইডেন এবং কিশিদা মার্কোসকে সমর্থন এবং সংকল্পের স্পষ্ট প্রদর্শন দেখাবেন। নেতারা জানাবেন যে তারা মার্কোসের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়াবেন, ফিলিপাইনের সাথে প্রতিটি মোড়ে সমর্থন ও কাজ করতে তারা প্রস্তুত।’
সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকার
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা