২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

দর ওঠল না মেলানিয়ার টুপির

দর ওঠল না মেলানিয়ার টুপির - ছবি : সংগৃহীত

ক্ষমতায় থাকা আর না থাকার তফাতটা এখন হাড়েহাড়ে টের পাচ্ছেন মেলানিয়া ট্রাম্প। একসময় তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সহধর্মিণী ছিলেন। সেই সুবাদে বিশ্বের সর্বশক্তিশালী দেশের ‘ফার্স্ট লেডি’। তখন তার সাজগোজের মধ্যে অন্যতম একটা উপাদান সবারই নজর কাড়ত- মাথায় সাদা রঙের একটা টুপি। প্রায় সারাক্ষণই তার সাথে থাকত এই ধরনের বেশ কয়েকটি টুপি। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সেগুলো পরতেন। আসলে, তার কাছে টুপি-ই ছিল ‘প্যাশন’। আবার ‘ফ্যাশন’ও!

ওই সব টুপির মধ্যে একটি টুপি মেলেনিয়া তৈরি করিয়েছিলেন নিজের শৈল্পিক ভাবনায়। উন্নতমানের কাচের টুকরো দিয়ে সাজানো ছিল সেই টুপির বাইরের অংশ। আমেরিকার নামজাদা এক চিত্রকরকে দিয়ে অয়েল পেইন্টিংয়ের সুক্ষ্ম কাজও করিয়েছিলেন টুপিতে। দেশ-বিদেশের যেখানেই যেতেন মেলানিয়ার মাথায় ওই টুপি ছিল মাস্ট। ট্রাম্পের সাথে ভারত সফরে এসেও তাকে ওই টুপি পরতে দেখা গিয়েছে বেশ কয়েকবার। আবার ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রঁর সাথে দেখা করার সময়ও টুপিটিকে তিনি বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছিলেন।

আজ প্রায় বছর দু’য়েক হতে চলল আমেরিকার রাজনৈতিক ক্ষমতার বাইরে ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্বভাবতই মেলানিয়ার নামের আগে বসে গেছে ‘সাবেক ফার্স্ট লেডি’। ট্রাম্পের সাথেও তার এখন ঠান্ডা সম্পর্ক। বাইশের শুরুতে মেলেনিয়া ট্রাম্প ঘোষণা করলেন, তার ওই সাধের সাদা টুপিটি তিনি নিলামে বিক্রি করবেন! টুপির মাহাত্ম্য বলতে গিয়ে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের সাথে সাক্ষাৎকারের বিষয়টিও শুনিয়েছিলেন। ২০১৮ সালে সস্ত্রীক ম্যাক্রঁ এসেছিলেন ওয়াশিংটন সফরে। তার স্ত্রী ব্রিজিটের সাথেও মেলেনিয়া দীর্ঘক্ষণ কাটিয়েছিলেন ওই টুপিটি পরে। সেটাও তার ডিজাইনার হার্ভ পিয়েরির মুখ দিতে জানাতে ভোলেননি মেলানিয়া।

বুধবার রাতে সেই নিলাম প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। মেলানিয়া ভেবেছিলেন, টুপির দর উঠবে চরচর করে। কিন্তু তাকে হতাশ করে নিলামের প্রথম ডাকেই আটকে গেল টুপির মাহাত্ম্য-মূল্য! দুই লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলারের প্রাথমিক টার্গেটের অনেক দূরেই থেমে যায় বিড। নিলামে অংশ নিয়েছিলেন মাত্র পাঁচজন বিডার! হতাশ সাবেক মার্কিন ফার্স্ট লেডি।
সূত্র : বর্তমান


আরো সংবাদ



premium cement