ক্যাপিটল হিলে হামলার পর থেকে উধাও মেলেনিয়া ট্রাম্প!
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১০ জানুয়ারি ২০২১, ১৩:৩৫
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটল হিলে বুধবারের দাঙ্গার পর থেকে নিখোঁজ হয়ে গেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্ট লেডি মেলেনিয়া ট্রাম্প। ১ জানুয়ারি থেকে তাকে জনসমক্ষে দেখা যাচ্ছিল না। তারপর ৬ জানুয়ারি ট্রাম্প সমর্থকদের সিনেট ভবনে হামলা এবং পাঁচজন নিহত হওয়ার পর থেকে উধাও তিনি।
সর্বশেষ নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে টুইট করেন মেলেনিয়া। সেই টুইটে তিনি লিখেন,‘সবাইকে শুভ নববর্ষ! ২০২১ সালের পুরো বছরটি আনন্দ, সুস্বাস্থ্য ও শান্তির আশীর্বাদে ভরে উঠুক।’
১ জানুয়ারি সর্বশেষ অনলাইনে দেখা যায় তাকে।
এরপর ৬ জানুয়ারি সহিংসতা শুরুর কিছুক্ষণ পূর্বে বিক্ষোভকারীরা ওয়াশিংটনে জড়ো হওয়ার পর ট্রাম্প পরিবারের কয়েকজন সদস্যকে একটি ভিডিওতে একসাথে উদযাপন করতে দেখা যায়। তবে সেখানে মেলেনিয়া ছিলেন না।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লোকজন প্রশ্ন ছুঁড়েছেন ফার্স্ট লেডি কোথায় গেলেন? একজন টুইট করেছে, ‘তাহলে মেলেনিয়া কোথায় গেলেন...হাহাহা... সে এখনো নিখোঁজ?’
অন্য আরেকজন লিখেছেন, ‘নিখোঁজ হওয়ার এক সপ্তাহ হয়ে গেল। মেলেনিয়া কোথায় গেলেন? মার আ লাগো (সমুদ্র ভ্রমণে গিয়েছেন)?’
আরেকজন লিখেন, ‘বারবার টুইট করতে চাই না। তবে কথা হলো, এটা কি হাস্যকর নয় যে এতো কিছু হয়ে যাচ্ছে অথচ মেলেনিয়াকে দেখা যাচ্ছে না?’
মেলিনিয়াকে সর্বশেষ দেখা গিয়েছিল নববর্ষের অনুষ্ঠানের দিন। সেদিন তিনি ফ্লোরিডা থেকে হেলিকপ্টারে হোয়াইট হাউসে এসেছিলেন।
ক্যাপিটলে সংঘর্ষের দিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউসের পার্শ্ববর্তী এলিপসে একটি সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন। সমাবেশের পর দাঙ্গাকারীরা পুলিশ ও জাতীয় গার্ডের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় ও ক্যাপিটল ভবনে সহিংসতা চালায়।
জো বাইডেনকে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যয়ন করার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার সময় দাঙ্গাকারীদের হামলায় কংগ্রেস সদস্যরা ভবনটি থেকে পালাতে বাধ্য হয়।
মার্কিন গণমাধ্যম জানায়, আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তারা ভবনটিতে ওই দিন সকালে দু’টি অপ্রস্তুত বিস্ফোরক ডিভাইস ধ্বংস করে। যার মধ্যে একটি পেয়েছিল রিপাবলিকান জাতীয় কমিটির সদর দফতরে।
ঘটনার পর টুইটার ও ফেসবুকে ট্রাম্পকে অস্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করা হয়। তার ধারাবাহিক পোস্টগুলোর মাধ্যমে সহিংসতা উস্কে দেয়া হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। পরে টুইটার অবশ্য তার অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে বাতিল করে দেয়।
তবে হঠাৎ সুর পাল্টিয়ে সহিংসতার নিন্দাও জানান ট্রাম্প। তিনি বলেন, দাঙ্গাকারীরা মার্কিন গণতন্ত্রের স্থান কে ‘কলুষিত’ করেছে এবং তাদের শাস্তি হওয়া উচিত।’
এরপর ট্রাম্প টুইটারে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন, যাতে তিনি প্রথমবারের মতো নির্বাচনের ফলাফলকে মেনে নেন ও জো বাইডেনের কাছে ক্ষমতার ‘মসৃণ হস্তান্তরের’ প্রতিশ্রুতি দেন।
তবে ২০ জানুয়ারি জো বাইডেনের অভিষেক অনুষ্ঠানে থাকছেন না ট্রাম্প। এ প্রসঙ্গে তিনি টুইটারে বলেন, ‘যারা জানতে চাচ্ছেন তাদেরকে বলছি, আমি ২০ জানুয়ারির অভিষেক অনুষ্ঠানে যাচ্ছি না।’
তার এ সিদ্ধান্তকে অবশ্য সাধুবাদ জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত জো বাইডেন। শুক্রবার বাইডেন তার নিজ অঙ্গরাজ্য দেলাওয়ারেতে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘সামান্য যে কয়টা বিষয়ে তিনি ও আমি একমত হয়েছি এটি তার একটি। তিনি অনুষ্ঠানে আসবেন না, এটা ভালো বিষয়।’
সূত্র : মিরর
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা