২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দিল টুইটার

ডোনাল্ট ট্রাম্প
ডোনাল্ট ট্রাম্প - ছবি : সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ট ট্রাম্পকে টুইটার থেকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। কোম্পানিটি বলছে, "ভবিষ্যতে সহিংসতা উস্কে দেবার ঝুঁকি" থাকার কারণে এটা করা হয়েছে।

টুইটার বলছে "@realDonaldTrump অ্যাকাউন্ট থেকে টুইটগুলো গভীর পর্যবেক্ষণ এবং সেটাকে ঘিরে যে প্রেক্ষাপট তৈরি" হয়েছে তার ভিত্তিতে তারা এই সিদ্ধান্তটি নিয়েছে।

ট্রাম্পের অ্যাকাউন্টটি টুইটার কর্তৃপক্ষ ১২ ঘণ্টার জন্য অচল করে রেখেছিল এর আগে।

টুইটার তখন সতর্ক করে বলেছিল, তারা ট্রাম্পকে চিরস্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করবে যদি তিনি এই প্ল্যাটফর্মের নিয়মনীতি ভঙ্গ করেন।

ট্রাম্পের টুইট অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে বন্ধ করার প্রতিক্রিয়ায় তার ২০২০ সালের ক্যাম্পেইন উপদেষ্টা জ্যাসন মিলার টুইট করেছেন "জঘন্য, আপনি যদি ভাবেন তারা পরে আপনার দিকে আসবে না তাহলে আপনি ভুল করছেন"।

শুক্রবারে সার্চ ইঞ্জিন গুগল- সম্পূর্ণ মুক্ত মতামতের প্লাটফর্ম 'পার্লার' স্থগিত করে, যেটা ট্রাম্প সমর্থকদের মধ্যে জনপ্রিয়তা পাচ্ছিল।

গুগল বলেছে "মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলমান সহিংসতা উস্কে দিচ্ছে যেসব পোষ্ট, তেমন কিছু পার্লার অ্যাপ এ অনবরত পোষ্ট করা হচ্ছে সে সম্পর্কে আমরা সতর্ক আছি"।

ট্রাম্পের টুইটার ব্লক করে দেয়া হয় শুক্রবার।

তিনি বুধবার বেশ কিছু টুইট করেন যেখানে ক্যাপিটল হিলে হামলাকারীদের "দেশপ্রেমিক" বলা হয়েছিল।

অনলাইন ভিত্তিক বেশ কিছু প্ল্যাটফর্মে নিষিদ্ধ ট্রাম্প
বৃহস্পতিবার ফেসবুক বলেছে তারা ট্রাম্পকে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য নিষিদ্ধ করেছে। জনপ্রিয় গেমিং প্ল্যাটফর্ম টুইস্ট ট্রাম্পকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য নিষিদ্ধ করেছে।

এই চ্যানেল ব্যবহার করে তিনি তার সমাবেশ সম্প্রচার করতেন।

স্ন্যাপচ্যাট থেকে নিষিদ্ধ তিনি।

ট্রাম্পের মেমোরিবিলিয়া বিক্রি করে এমন দুটি অনলাইন স্টোরকে এ সপ্তাহে নিষিদ্ধ করেছে ই-কর্মাস কোম্পানি শপিফাই।

ট্রাম্প টুইটারে তার প্রতিপক্ষদের অপমান করতেন, মিত্রদের উৎসাহিত করতেন, কর্মকর্তাদের চাকরিচ্যুতি করতেন, এবং তার ক্ষোভ প্রকাশ করতেন।

তিনি প্রায়ই ইংরেজি ক্যাপিটাল লেটার অর্থাৎ বড় অক্ষর ব্যবহার করতেন। এবং তার তার পয়েন্টটা নজরে আনার জন্য বিস্ময়সূচক চিহ্ন ব্যবহার করতেন।

যদিও সমালোচকরা বলেন তার সেইসব পোষ্ট ছিল ভুল-তথ্য প্রবাহ, এই মাধ্যম ব্যবহার করে তিনি মূলধারার গণমাধ্যমকে পাশ কাটিয়ে মুহূর্তের মধ্যে তার ৮৯ মিলিয়ন অনুসারীর সাথে যোগাযোগ করতে পারতেন।

তার টুইট ভুল বানানের জন্য পরিচিত ছিল।

কী ঘটেছিল?

আমেরিকার আইন-প্রণেতারা বুধবার যখন নভেম্বরের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জো বাইডেনের জয় আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন করার জন্য অধিবেশনে বসেছিলেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শত শত সমর্থক তখন আমেরিকার আইনসভা কংগ্রেসের ভবন ক্যাপিটল-এ ঢুকে পড়ে।

কয়েক ঘণ্টা ভবন কার্যত দখল করে রাখার পর বিক্ষোভকারীরা ধীরে ধীরে ক্যাপিটল প্রাঙ্গণ ছেড়ে বাইরে চলে যেতে থাকে।

রাজধানী ওয়াশিংটনে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১২ ঘণ্টার কারফিউ ঘোষণা করা হয়, কিন্তু সান্ধ্য আইন শুরু হবার পরও শত শত বিক্ষোভকারীকে রাজপথে জটলা পাকাতে দেখা গেছে।

দুপুরের পরই আমেরিকার রাজধানীতে নাটকীয় দৃশ্যে দেখা যায় - শত শত বিক্ষোভকারী ভবনটিতে ঢুকে পড়ে আর পুলিশ কংগ্রেস সদস্যদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিচ্ছে। কয়েক ঘণ্টা ভবন কার্যত দখল করে রাখার পর বিক্ষোভকারীরা ধীরে ধীরে ক্যাপিটল প্রাঙ্গণ ছেড়ে বাইরে চলে যেতে থাকে।

ওই দিনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত পাঁচজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।

সূত্র : বিবিসি

 


আরো সংবাদ



premium cement