২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

ভারত-চীন উত্তেজনা, মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত ট্রাম্প

- ছবি : সংগৃহীত

ভারত ও চীনের মধ্যে সীমান্তে উত্তেজনা বাড়ছে, আর এরমধ্যেই আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়ে বসল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প টুইটের মাধ্যমে ওই প্রস্তাব দিয়েছেন যে, প্রয়োজনে আমেরিকা ভারত-চীন বিরোধের মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত। সিকিম ও লাদাখ সীমান্তে হঠাৎই চীন এবং ভারতীয় সেনার মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

বুধবারই টুইট করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, "আমরা ভারত ও চীন দুই দেশকেই জানিয়েছি যে আমেরিকা তাদের মধ্যেকার ক্রমবর্ধমান সীমান্ত বিরোধের মধ্যস্থতা বা সালিশি করতে প্রস্তুত, ইচ্ছুক এবং সক্ষম। আপনাদের ধন্যবাদ!"

ভারত এবং চীনের মধ্যে প্রায় ৩ হাজার ৫০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত এলাকা রয়েছে। ইদানিং সেই সীমান্ত এলাকাতেই দুই দেশের সেনার মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।

তবে শুধু ভারতই নয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনার সঙ্গেও উত্তেজনা তৈরি হয়েছে চীনের সেনাবাহিনীর। এরই মধ্যে আবার মার্কিন নৌবাহিনীকে বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সাগরে টহল দিতেও দেখা গিয়েছে। পাশাপাশি করোনা সংক্রমণকে কেন্দ্র করেও উত্তপ্ত বাদানুবাদ হয়েছে চীন ও আমেরিকার।

৯ মে, একটি ভারতীয় টহলদারী দলের কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ জন কর্মীর সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে চীনা সেনারা। ভারতের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয় যে, ভারত-চীন সীমান্ত পেরিয়ে ভারতীয় ভূখণ্ডের অভ্যন্তরে প্রবেশের চেষ্টা করে চীনের সেনাবাহিনী।

ওদিকে চীনের তরফ থেকে গালওয়ান নদীর কাছেও তাঁবু খাটানোর চেষ্টা করা হয়। এর আগে ভারতীয় সেনাবাহিনীর অভিযোগ ছিল যে, চীনা হেলিকপ্টারগুলি লাদাখের বিতর্কিত অঞ্চলে প্রবেশ করে ঘোরাফেরা করছে।

এক সাক্ষাৎকারে ভারতীয় বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল আরকেএস ভাদৌরিয়া বলেন, "(চীনা) হেলিকপ্টারের আনাগোণা লাদাখে ক্রমেই বাড়ছে"। এরপরেই ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফে গালওয়ান অঞ্চলে সেনার সংখ্যা বাড়িয়ে সেখানকার নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সীমান্তরেখায় রীতিমতো তৎপর রয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। বলা হচ্ছে ভারত বরাবরই সীমান্তের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এনডিটিভি


আরো সংবাদ



premium cement