যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া বৈঠকের পর এবার ইউক্রেনে মার্কিন প্রতিনিধি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইউক্রেন ও রাশিয়া-বিষয়ক দূত কিথ কেলোগ ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করতে বুধবার ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে পৌঁছেছেন।

জেনারেল কিথ কেলোগ কিয়েভে সাংবাদিকদের জানান, তিনি ইউক্রেনের নেতাদের উদ্বেগ শুনতে এসেছেন এবং এরপর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাথে পরামর্শ করতে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যাবেন।

এ সময় তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চয়তার প্রয়োজনীয়তা বোঝে।

কেলোগ আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্র চায় ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান হোক। এটি ওই অঞ্চল ও বিশ্বের জন্য মঙ্গলজনক হবে।

এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি কেলোগের সাথে বৈঠকের আগে সাংবাদিকদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলেছেন, যুদ্ধোত্তর কোনো সম্ভাব্য শান্তিরক্ষা মিশনের অংশ হিসেবে কোনো মার্কিন সেনা মোতায়েন করা হবে না। তবে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরবরাহের মতো সহায়তা করার অন্যান্য উপায় রয়েছে।

কিয়েভে এই আলোচনা এমন সময় অনুষ্ঠিত হচ্ছে যখন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো বুধবার যুদ্ধ ও ইউক্রেনের প্রতি ইউরোপীয় সমর্থনের বিষয়ে দ্বিতীয় দফা আলোচনার জন্য ইউরোপীয় নেতাদের আমন্ত্রণ জানানোসহ ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধকে কেন্দ্র করে জোর কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন।

এই সপ্তাহের শুরুতে কেলোগ ইউরোপীয় নেতাদের সাথেও সাক্ষাৎ করেন।

এদিকে মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও সৌদি আরবে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের সাথে আলোচনা করেন।

সে সময় রুবিও বলেন, শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ইউক্রেন ও রাশিয়া উভয়কেই ছাড় দিতে হবে।

রুবিও সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো এ সংঘাতের অবসান এমনভাবে করা যা ন্যায্য, টেকসই হবে এবং সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে।’

ইউক্রেন বা ইউরোপীয় কোনো কর্মকর্তা আলোচনার সময়ে উপস্থিত ছিলেন না।

জেলেন্সকি বৈঠক থেকে ইউক্রেনের বাদ পড়ার বিষয়ে আপত্তি জানান। কিন্তু ট্রাম্প তার এ অবস্থানের সমালোচনা করেন।

সূত্র : ভয়েস অফ আমেরিকা