নিষেধাজ্ঞার মুখে অভিবাসীবাহী মার্কিন ফ্লাইট অবতরণে অনুমতি কলোম্বিয়ার
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:০৮
অভিবাসীবাহী মার্কিন ফ্লাইট অবতরণের অনুমতি দিতে কলোম্বিয়া রাজি হয়েছে। এর আগে স্থানীয় সময় রোববার (২৬ জানুয়ারি) অভিবাসীদের তাড়িয়ে দিতে মার্কিন পরিকল্পনা নিয়ে দু’দেশের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়েছে।
অভিবাসীদের গ্রহণ না করলে দক্ষিণ আমেরিকার দেশটির ওপর চড়া শুল্কারোপ ও নিষেধাজ্ঞাসহ বিভিন্ন শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকি দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
আর অভিবাসীদের দেশ থেকে বের করে দেয়ার ক্ষেত্রে তাদের সাথে সম্মানজনক আচরণ করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন কলোম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো। এ সময়ে অভিবাসীবাহী দু’টি মার্কিন সামরিক উড়োজাহাজ অবতরণের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেন তিনি।
রোববার দিনের শেষভাগে এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলাইন লিভেট বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সব শর্ত মেনে নিয়েছে কলোম্বিয়া। যুক্তরাষ্ট্রে কলোম্বিয়া থেকে যেসব অবৈধ বিদেশী প্রবেশ করেছেন, তাদেরকে অবাধে ফেরত নেয়ার পাশাপাশি কোনো ধরনের বিলম্ব ও শর্ত ছাড়াই মার্কিন সামরিক উড়োজাহাজ অবতরণেও অনুমতি দেবে তারা।’
সেক্ষেত্রে কলোম্বিয়ার পণ্যে শুল্কারোপে যে নির্দেশ দিয়েছিলেন ট্রাম্প, সেটা প্রস্তুত থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, ওই আদেশে এখনো প্রেসিডেন্ট সই করেননি। যে কারণে এটি প্রস্তুত থাকবে, প্রয়োজনে ব্যবহার করা হবে। আর যতক্ষণ না অভিবাসীবাহী প্রথম উড়োজাহাজটি কলোম্বিয়া থেকে ফেরত না আসছে, ততক্ষণ পর্যন্ত দেশটির কর্মকর্তাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা ও পণ্যে শুল্ক তল্লাশির আদেশ বহাল থাকবে।
এ নিয়ে কলোম্বিয়ার কাছ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এর আগে, অভিবাসীবাহী মার্কিন সামরিক বিমান অবতরণের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে প্রতিবেশী দেশ মেক্সিকো। ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ নেওয়ার পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকোর সম্পর্ক এখন আলোচনায়। দু’দেশের যৌথ সীমান্তে জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন তিনি। সীমান্তে অতিরিক্ত দেড় হাজার সেনা মোতায়েনেরও নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
বিভিন্ন দেশের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের শাস্তিমূলক পদক্ষেপে এটি স্পষ্ট হচ্ছে যে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি আরো বেশি পেশিশক্তি প্রয়োগের দিকে যাচ্ছে; এছাড়াও ট্রাম্পের ইচ্ছার কাছে নত হতে দেশগুলোকে বাধ্য করার অভিপ্রায়ই ফুটে উঠেছে।
ট্রাম্প বলেন, জো বাইডেন প্রশাসন আমলে লাখ লাখ অভিবাসী যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছেন। কাজেই তাদের প্রত্যাবাসনে পদক্ষেপ নেয়া দরকার।
সূত্র : ইউএনবি
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা