২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৩ মাঘ ১৪৩১, ২৫ রজব ১৪৪৬
`

মুসলিম প্রধান দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেবেন ট্রাম্প?

- ছবি : আল জাজিরা

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক অধিকার গোষ্ঠীগুলো প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্বাক্ষরিত একটি নির্বাহী আদেশ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছে। তারা বলছে, এই আদেশ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোকে লক্ষ্য করে আরেকটি ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার ভিত্তি তৈরি করবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সোমবার প্রকাশিত এই নির্বাহী আদেশটি ইতোমধ্যে বৈধভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকা বিদেশী নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করতে এবং ফিলিস্তিনি অধিকারের পক্ষে কথা বলা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের উপর কঠোর ব্যবস্থা নিতেও সাহায্য করবে।

ইন্টারন্যাশনাল রিফিউজি অ্যাসিস্ট্যান্স প্রজেক্ট (আইআরএপি) নামে একটি অ্যাডভোকেসি গ্রুপের আইনজীবী দীপা আলাগেসান বলেছেন, নতুন আদেশটি ২০১৭ সালে ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে বেশ কয়েকটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের উপর যে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলেন, তার চেয়ে জটিল ও খারাপ।

তিনি আরো বলেন, এখন এর সবচেয়ে খারাপ দিক হলো, এটি কেবল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাইরের লোকদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ করার চেষ্টাই করছে না। বরং একই যুক্তিগুলোকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দেয়ার ভিত্তি হিসেবেও ব্যবহার করার চেষ্টা করছে।

আলাগেসান বলেন, নতুন আদেশে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে, যেসব দেশের নাগরিকদের প্রবেশাধিকার আংশিক বা সম্পূর্ণ স্থগিত করা হয়েছে, তাদের একটি তালিকা তৈরি করতে। যেসব দেশের নাগরিকদের যাচাই-বাছাই এবং স্ক্রিনিং তথ্য ত্রুটিপূর্ণ, সেসব দেশের নাগরিকদের প্রবেশের উপরও আংশিক বা সম্পূর্ণ স্থগিতাদেশ জারি করা যেতে পারে।

তিনি আরো বলেন, এতে জো বাইডেনের শাসনকালে অর্থাৎ ২০২১ সাল থেকে ওই দেশগুলো থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশকারী নাগরিকদের সংখ্যা চিহ্নিত করার এবং তাদের ‘কর্মকাণ্ড ও কার্যকলাপ’ সম্পর্কে ‘প্রাসঙ্গিক’ তথ্য সংগ্রহ করারও আহ্বান জানানো হয়েছে।

এরপর হোয়াইট হাউস যখনই এমন তথ্য শনাক্ত করতে পারবে, যার ভিত্তিতে নাগরিকদের বহিষ্কার বা অপসারণ করা যাবে, তখনই ওই দেশগুলো থেকে আগত বিদেশী নাগরিকদের বহিষ্কারের জন্য ‘তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ’ নেয়ার নির্দেশ দেয়।

ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে আরো বলা হয়েছে, প্রশাসনকে নিশ্চিত করতে হবে যে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা বিদেশী নাগরিকরা মার্কিন নাগরিক, সংস্কৃতি বা সরকারের প্রতি ‘বিদ্বেষপূর্ণ মনোভাব পোষণ করবেন না’ এবং ‘নির্ধারিত বিদেশী উগ্রবাদীদের পক্ষে সমর্থন, সহায়তা বা সমর্থন করবেন না।’

আইনজীবীরা আদেশকে ‘ভীতিকর’ বলছেন
আলাগেসান সতর্ক করে বলেছেন, ‘বিদেশী উগ্রবাদী এবং অন্যান্য জাতীয় নিরাপত্তা ও জননিরাপত্তা হুমকি থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে রক্ষা করার’ নামে অভিহিত এই নির্বাহী আদেশ ২০১৭ সালের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার চেয়েও অভিবাসী পরিবারগুলোর জন্য বেশি ক্ষতিকর হতে পারে, যা সম্মিলিতভাবে ‘মুসলিম নিষেধাজ্ঞা’ হিসেবে চিহ্নিত হবে।

তিনি বলেন, এই আদেশের অস্পষ্ট ভাষা ‘ভীতিকর’। কারণ, এই আদেশ মার্কিন সংস্থাগুলোকে প্রশাসন যাদের লক্ষ্যবস্তু করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করার জন্য ব্যাপক ক্ষমতা প্রদান করে।

তিনি আরো বলেন, ‘এই নির্বাহী আদেশ মূলত বিদেশীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার, বের করে দেয়ার, পরিবার ভেঙে দেয়ার, ভয় জাগানোর, মানুষ যেন জানে যে তারা স্বাগত নয় এবং সরকার তাদের বিরুদ্ধে শক্তি প্রয়োগ করবে, তা নিশ্চিত করার আরেকটি পদ্ধতি।’

অন্যান্য অ্যাডভোকেসি গ্রুপগুলোও আদেশটি প্রকাশের পর থেকে নিন্দা জানিয়েছে।

আমেরিকান-আরব বৈষম্যবিরোধী কমিটি (এডিসি) বলেছে, এই নির্বাহী আদেশটি ২০১৭ সালের ‘মুসলিম নিষেধাজ্ঞা’ আইনের চেয়েও বেশি খারাপ। এটি সরকারকে ভিসা নিষেধ করার এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিদেশীদের অপসারণের জন্য ‘মতাদর্শগত বর্জন ব্যবহার করার জন্য বিস্তৃত সুযোগ’ প্রদান করে।

সংস্থাটি এক বিবৃতিতে বলেছে, এডিসি ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে, যেন তারা সমগ্র সম্প্রদায়কে কলঙ্কিত করা এবং লক্ষ্যবস্তু করা বন্ধ করে দেয়। কারণ, এটি কেবল বিভেদের বীজ বপন করে।

তারা আরো বলেন, ‘মার্কিন বাক ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার প্রতিশ্রুতির নীতি যা রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প নিজেই দীর্ঘদিন ধরে তুলে ধরেছেন, এখন তার নতুন নির্বাহী আদেশের সম্পূর্ণ বিপরীত।’

মুসলিম পাবলিক অ্যাফেয়ার্স কাউন্সিল এক বিবৃতিতে সতর্ক করেছে, নির্দিষ্ট দেশগুলোর জন্য যাচাই-বাছাই ব্যবস্থা বৃদ্ধি করা ‘নিরাপত্তা প্রোটোকলের আড়ালে কার্যত মুসলিম নিষেধাজ্ঞা অনুঘটক হিসেবে কাজ করার’ ঝুঁকি তৈরি করে।

কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন স্কুলের অধ্যাপক মরিয়ম জামশিদি বলেছেন, এই আদেশ ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদ থেকে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা পুনরুজ্জীবিত করার মতো বলে মনে হচ্ছে। একই সাথে বৃহত্তর সংস্কৃতি যুদ্ধে ডানপন্থী এজেন্ডাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

জামশিদি আরো বলেন, নির্বাহী আদেশটির কিছু অংশ বিশেষভাবে ফিলিস্তিনি এবং ফিলিস্তিনি অধিকার সমর্থকদেরও লক্ষ্যবস্তু করছে।

তিনি আরো বলেন, ‘ডানপন্থীরা এই ধারণা অব্যাহত রাখার জন্য অত্যন্ত আগ্রহী যে বিদেশীরা অর্থাৎ যারা কালো, বাদামী, মুসলিম, তারা শ্বেতাঙ্গ জুডিও-খ্রিস্টান নয়। এটি কার্যত ‘প্রকৃত আমেরিকানদেরই’ হুমকি দিচ্ছে।’

‘সবচেয়ে জঘন্যতম পদক্ষেপ’

২০১৮ সালে বেশ কয়েকটি মার্কিন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ট্রাম্প তার সহযোগীদের বলেছিলেন যে হাইতি, এল সালভাদর এবং আফ্রিকান দেশগুলোর লোকদের পরিবর্তে নরওয়ের মতো জায়গা থেকে আরো বেশি অভিবাসীদের গ্রহণ করা উচিত। এ সময় তিনি ওই দেশগুলোকে ‘অশুভ দেশ’ বলেও অভিহিত করেছিলেন।

অনেক ডানপন্থী রাজনীতিবিদ -যার মধ্যে ট্রাম্পের বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সও রয়েছেন- ‘মহান প্রতিস্থাপন’ ষড়যন্ত্র তত্ত্ব গ্রহণ করেছেন। তারা দাবি করছেন যে স্থানীয় জন্মগ্রহণকারী মার্কিনিদের অভিবাসীদের দ্বারা প্রতিস্থাপন করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

ট্রাম্পের সাম্প্রতিক আদেশে মার্কিন সংস্কৃতিকে দুর্বল বা প্রতিস্থাপন করার চেষ্টা করা বিদেশী নাগরিকদের বিরুদ্ধে সতর্ক করা হয়েছে।

তবুও বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে এটি গণ-নির্বাসনের বাহন হিসেবে ব্যবহার করার সম্ভাবনা কম।

আলাগেসান বলেন, ‘এই ডিক্রি সংস্থাগুলোকে মার্চিং আদেশ দেয় যে প্রেসিডেন্ট যে লোকদের যুক্তরাষ্ট্রে চান না তাদের অপসারণের জন্য যতটা সম্ভব জঘন্যতম পদক্ষেপ নেয়ার জন্য আইনি কাঠামো এবং ফাঁকফোকরগুলো ব্যবহার করা যাবে। তবে এখনও এমন আইন রয়েছে যা কাউকে অপসারণের ভিত্তিকে সীমাবদ্ধ করে এবং নির্বাসনের প্রক্রিয়াধীন ব্যক্তিদের জন্য সুরক্ষা উপলব্ধ রয়েছে।’

জামশিদি আরো বলেন, এই আদেশ কিভাবে মানুষকে বহিষ্কার করবে তা স্পষ্ট নয়। তিনি উল্লেখ করেন যে উদ্ধৃত অভিবাসন আইনে বিদেশী নাগরিকদের অপসারণের ক্ষমতা প্রশাসনকে দেয়া হয়েছে কিনা তা এখনো প্রতিষ্ঠিত হয়নি।

তিনি বলেন, এই ডিক্রিটি অভিবাসন ও জাতীয়তা আইনের একটি ধারার উপর নির্ভর করে যা রাষ্ট্রপতিকে যেকোনো শ্রেণির বিদেশীদের’ জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ করার ক্ষমতা দেয়। তবে ইতিমধ্যেই এখানে থাকা লোকদের অপসারণের ক্ষমতা দেয় না।

জামশিদি যোগ করেন, এটি সম্ভবত কোনো সাধারণ বহিষ্কারের অভিযোগ নয়। তবে তিনি সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে এই আদেশের ফলে সেই দেশগুলোর লোকদের বিরুদ্ধে আরো তদন্ত শুরু হতে পারে এবং রাজনৈতিক কার্যকলাপ -বিশেষ করে ফিলিস্তিনি সংহতি- বাধাগ্রস্ত হতে পারে, যা প্রশাসনের নির্দেশিকা লঙ্ঘনকারী হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।

ছাত্রকর্মীদের বহিষ্কারের প্রচেষ্টা
এই আদেশটি মার্কিন কর্মকর্তাদেরকে বিদেশী নাগরিকদের ‘যারা সাম্প্রদায়িক সহিংসতা প্রচার করে বা আহ্বান করে, সাংবিধানিক প্রজাতন্ত্র যে সংস্কৃতির উপর দাঁড়িয়ে আছে, তার উৎখাত বা প্রতিস্থাপন করে, অথবা যারা বিদেশী উগ্রবাদীদের সহায়তা বা সমর্থন প্রদান করে’ তাদের থেকে নাগরিকদের ‘সুরক্ষিত’ করার জন্য সুপারিশ করার নির্দেশ দেয়।

জামশিদি বলেন, ভাষাটি ‘বশ্যই বিদেশী নাগরিকদের সম্পর্কে, যার মধ্যে ফিলিস্তিনের পক্ষে ওকালতিতে অংশগ্রহণকারী বিদেশী ছাত্ররাও অন্তর্ভুক্ত।’

ইসরাইলপন্থী রাজনীতিবিদরা প্রায়ই ক্যাম্পাস কর্মীদের ‘হামাসপন্থী’ বলে অভিহিত করে থাকেন। তাই জামশিদি বলেন, ট্রাম্পের এই আদেশের মাধ্যমে ছাত্র ভিসায় থাকা ফিলিস্তিনি অধিকার কর্মীদের লক্ষ্য করে ব্যবহার করা যেতে পারে।

ট্রাম্প এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও উভয়েই এর আগে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারের আহ্বান জানিয়েছেন।

গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ফিলিস্তিনিদের সংহতি বিক্ষোভ যখন দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছড়িয়ে পড়ে, তখন ইসরাইলের সমর্থকরা, বিশেষ করে রিপাবলিকানরা ছাত্র বিক্ষোভকারীদের ক্যাম্পাসের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে চিত্রিত করে।

রুবিও ২০২৩ সালের অক্টোবরে বাইডেন প্রশাসনের কাছে একটি সিনেট চিঠি পাঠান, যেখানে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের অপসারণের আহ্বান জানানো হয়।

চিঠিতে ছাত্র বিক্ষোভকারী এবং ৯/১১ হামলাকারীদের মধ্যে সাদৃশ্য তুলে ধরা হয়। এতে ‘১১ সেপ্টেম্বর ২০০১ তারিখে প্রাপ্ত শিক্ষার কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যখন উগ্রবাদীরা, যাদের অনেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যয়নরত ছিলেন অথবা ভিসার মেয়াদ শেষ হয়েছিল, তারা আমেরিকার মাটিতে সবচেয়ে মারাত্মক হামলা চালিয়েছিল।’

চিঠিতে আরো বলা হয়েছে, ‘দুঃখের বিষয় হলো ২২ বছর পর আমাদের দেশে উগ্রবাদীদের প্রতি সহানুভূতিশীলরা রাস্তায় নেমে ইসরাইল রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে হামাসের নৃশংস আক্রমণকে সমর্থন করছে।’

২০২৪ সালের রিপাবলিকান পার্টির প্ল্যাটফর্ম কলেজ ক্যাম্পাসগুলোকে ‘আবার নিরাপদ এবং দেশপ্রেমিক’ করার জন্য ‘হামাসপন্থী মৌলবাদীদের’ নির্বাসনের আহ্বান জানিয়েছে।

‘বিস্তৃত প্রভাব’
প্যালেস্টাইন লিগ্যালের অ্যাডভোকেসি গ্রুপের পরিচালক দিমা খালিদি বলেছেন, এটা স্পষ্ট যে ট্রাম্পের সাম্প্রতিক নির্বাহী আদেশটি বিশেষভাবে ফিলিস্তিনি অধিকার সমর্থকদের লক্ষ্য করে তৈরি করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, যদিও ডিক্রিতে ইসরাইলকে নির্দিষ্ট করা হয়নি, ইসরাইলপন্থী গোষ্ঠীগুলো মার্কিন মিত্রের সমালোচনাকে কেবল ইসরাইলবিরোধী, এমনকি ইহুদি-বিরোধী নয়; বরং ‘অ-আমেরিকান’ হিসেবে চিত্রিত করার চেষ্টা করছে।

খালিদি বলেন, ‘আমাদের এই আদেশের মাধ্যমে যে আদর্শ চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে এবং ট্রাম্প যে বৃহত্তর শুদ্ধিকরণ বাস্তবায়ন করতে খুব আগ্রহী বলে মনে হচ্ছে, তার অংশের সাথে এটিকে সংযুক্ত করতে হবে।’

তিনি আরো বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন অভিবাসন আইনের বিস্তৃত বিচক্ষণতা ব্যবহার করে ফিলিস্তিনি অধিকার সমর্থকদের তাদের মতামতের কারণে দমন করতে এবং বাকস্বাধীনতার অধিকারকে লঙ্ঘন করতে চাইছে। তারা আসলে মানুষের কাছে কী গ্রহণযোগ্য, কী নয়; কী আমেরিকান, কী নয়; কী দেশপ্রেমিক, কী নয়, তার একটি চিত্র এঁকে দিচ্ছে।’

সমালোচকরা বলছেন, মূল কথা হলো, ট্রাম্পের প্রথম ‘মুসলিম নিষেধাজ্ঞা’ বেশ কয়েকটি মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের ভ্রমণকারীদের লক্ষ্য করে হলেও এই আদেশের সুদূরপ্রসারী পরিণতি রয়েছে, যার মধ্যে একজন আমেরিকান হওয়ার অর্থ কী, তাও অন্তর্ভুক্ত।

উদাহরণস্বরূপ ডিক্রিটিতে অভিবাসীদের ‘সঠিক আত্তীকরণ’ নিশ্চিত করার এবং ‘একীভূত আমেরিকান পরিচয় প্রচারের’ জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে।

জামশিদি বলেন, এই আদেশের মুসলিম নিষেধাজ্ঞার প্রাথমিক পুনরাবৃত্তির চেয়ে সকল ধরনের গোষ্ঠীর জন্য বিস্তৃত প্রভাব রয়েছে। এটি ডানপন্থীদের সাংস্কৃতিক যুদ্ধের আরেকটি হাতিয়ার।

আল জাজিরা থেকে অনুবাদ করেছেন আবু সাঈদ 


আরো সংবাদ



premium cement