ট্রাম্পের জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলের আদেশ সাময়িকভাবে স্থগিত
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:১৪
যুক্তরাষ্ট্রে জন্মসূত্রে পাওয়া নাগরিকত্ব বাতিল করার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ বৃহস্পতিবার সাময়িকভাবে স্থগিত করেছেন একজন ফেডারেল বিচারক। তিনি এটিকে ’স্পষ্টতই অসাংবিধানিক’ বলে অভিহিত করেছেন।
সিয়াটলভিত্তিক মার্কিন জেলা বিচারক জন কফেনোর চারটি ডেমোক্র্যাটিক-নেতৃত্বাধীন রাজ্য, ওয়াশিংটন, অ্যারিজোনা, ইলিনয় ও ওরেগনের অনুরোধে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ জারি করার মাধ্যমে ট্রাম্প প্রশাসনকে আদেশ কার্যকর করতে বাধা দেন।
সোমবার ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম দিনেই ট্রাম্প এই আদেশে স্বাক্ষর করেন।
কফেনোরের এই রায়ে ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা অবশ্যই আপিল করব।’
বিচারক জন কফেনোর ট্রাম্পের আদেশের পক্ষে মার্কিন বিচার বিভাগের একজন আইনজীবীকে বলেন, ‘আমার বুঝতে সমস্যা হচ্ছে যে বারের একজন সদস্য কিভাবে দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে পারেন যে এই আদেশটি সাংবিধানিক।’
রাজ্যগুলো যুক্তি দেয় যে ট্রাম্পের আদেশ মার্কিন সংবিধানের ১৪তম সংশোধনীর নাগরিকত্ব ধারায় অন্তর্ভুক্ত অধিকার লঙ্ঘন করেছে, যেখানে বলা হয়েছে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণকারী যে কেউই নাগরিক।
অন্যান্য বিচারকদের উপস্থিতিতে সংক্ষিপ্ত শুনানির পর ট্রাম্পের এই নীতি ১৪ দিনের জন্য স্থগিত রাখার আদেশ দেন কফেনোর। এই সময়ের মধ্যে বিচারক ট্রাম্পের নীতির ওপর দীর্ঘস্থায়ী প্রাথমিক নিষেধাজ্ঞা জারি করবেন কিনা তা বিবেচনা করবেন এবং ৬ ফেব্রুয়ারি তিনি তা করবেন কিনা তা নিয়ে যুক্তি শুনবেন।
ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ অনুসারে, ১৯ ফেব্রুয়ারির পর যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণকারী যেকোনো শিশু, যাদের মা ও বাবা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক বা বৈধ স্থায়ী বাসিন্দা নন, তাদের জন্য নির্বাসনের বিধান রাখা হবে এবং সামাজিক নিরাপত্তা নম্বর, বিভিন্ন সরকারি সুযোগ-সুবিধা এবং বয়স বাড়ার সাথে সাথে আইনত কাজ করার ক্ষমতা থেকে তাদের বঞ্চিত করা হবে।
বিচার বিভাগের আইনজীবী ব্রেট শুমাতে যুক্তি দেন যে ট্রাম্পের পদক্ষেপ সাংবিধানিক। তিনি এই পদক্ষেপকে অবরুদ্ধ করার যেকোনো বিচারিক আদেশকে ’অত্যন্ত অনুপযুক্ত’ বলে অভিহিত করেন।
সূত্র : রয়টার্স