জাতীয় স্বার্থের উপর জোর দেবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি : রুবিও
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:১৬
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বুধবার বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য দায়িত্ব নেয়ায় আমেরিকান কূটনীতির মূল বিষয়টি হবে গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় স্বার্থ। খবর ভয়েস অব আমেরিকা।
রুবিও হচ্ছেন ট্রাম্প মনোনীত মন্ত্রীদের মধ্যে প্রথম ব্যক্তি যিনি সিনেটের অনুমোদনের পর দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। তিনি তাঁর লক্ষ্য সম্পর্কে এক বিবৃতিতে বলেন, পররাষ্ট্র বিষয়ে সকল ব্যয় এবং প্রচেষ্টার “যৌক্তিকতা এই তিনটি সহজ প্রশ্ন দ্বারা নির্ণয় করা হবে, এটি কি আমেরিকাকে আরো নিরাপদ করবে? এটি কি আমেরিকাকে আরো শক্তিশালী করবে? এটি কি আমেরিকাকে আরো সমৃদ্ধ করবে ?”
তিনি বলেন, “আমাদের স্বার্থকে এগিয়ে নিতে, আমরা আরো সৃজনশীল, গতিসম্পন্ন ও সঠিক মনযোগী পররাষ্ট্র বিভাগ গড়ে তুলবো। আর এর জন্যই দরকার পড়বে কিছু অগ্রাধিকারকে পরিবর্তন করা, কোনো কোনো বিষয়ের গুরুত্ব কমিয়ে আনা এবং কিছু বিষয় বাদ দেয়া”।
৫৩ বছর বয়সী রুবিও আরো আগে দেয়া ট্রাম্পের প্রতিশ্রুতির প্রতিধ্বণি তুলে বলেন, তিনি নথিপত্রবিহীন বিশাল সংখ্যক অভিবাসনপ্রত্যাশীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ করবেন।
রুবিও বলেন, “পররাষ্ট্র দফতর এমন কোনো কর্ম গ্রহণ করবে না যা গণহারে এ দেশে অভিবাসন-প্রত্যাশীদের প্রবেশের সুযোগ করে দেয় কিংবা তাতে উৎসাহিত করে। অন্যান্য দেশের সাথে, বিশেষত পশ্চিম গোলার্ধে, আমাদের কূটনৈতিক সম্পর্কের অগ্রাধিকার হচ্ছে আমেরিকার সীমান্তের নিরাপত্তা, অবৈধ ও অস্থিতিশীল করার মতো অভিবাসনের চেষ্টা বন্ধ করা এবং নিজেদের দেশে, “অবৈধ অভিবাসন-প্রত্যাশীদের ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে আলোচনা করা”।
রুবিও বলেন, ট্রাম্প তাঁর এই নতুন মেয়াদের প্রথম দিনে যে আদেশ দিয়েছেন সেই অনুযায়ী পররাষ্ট্র বিভাগ চাকরি প্রদানের ক্ষেত্রে বৈচিত্র, সমতা ও অন্তর্ভুক্তির যে কোন প্রচেষ্টার ইতি টানবে।
রুবিও বলেন “এই আদেশটি অক্ষরে এবং চেতনায় বিশ্বস্ততার সঙ্গে পালন ও প্রয়োগ করা হবে”।
তিনি বলেন পররাষ্ট্র নীতির প্রচেষ্টা হবে, “দেশে বিভাজনকারী ও বিদেশে অত্যন্ত জনপ্রিয়তা বিহীন রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কারণগুলোর উপর আমাদের গুরুত্ব দেয়া বন্ধ করে কূটনীতির মৌলিক বিষয়ে ফিরে আসা উচিৎ। আর এর ফলে আমাদের মূল জাতীয় স্বার্থকে এগিয়ে নিতে অন্যান্য দেশের সহযোগিতায় প্রায়োগিক পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করার সুযোগ দিবে”।
তিনি আরো বলেন যুক্তরাষ্ট্রকে,“ সেন্সরশীপ ও তথ্য দমন বন্ধ করতে হবে” এবং “ সত্যকে আবার অগ্রধিকার দিতে হবে”। তিনি “এই মূল সত্যটা যে আমেরিকা মহান এবং ন্যায়বিচার সম্পন্ন রাষ্ট্র যার জনগণ উদার এবং যার নেতারা এখন অন্যান্য দেশের অধিকার ও স্বার্থের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে আমেরিকার মূল স্বার্থকে অগ্রধিকার দিচ্ছেন”এটার উপরই জোর দেন।
প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র বেরিয়ে আসবে ট্রাম্পের এই ঘোষণার পরিপ্রক্ষিতে রুবিও বলেন যে পররাষ্ট্র দপ্তর, “জ্বালানি শক্তির ক্ষেত্রে আমেরিকার আধিপত্য ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রতিশ্রুতি পূরণে সহায়তা করতে আমরা কূটনীতি প্রয়োগ করবো”। বৈশ্বিক উষ্ণতা সীমিত করার লক্ষ্যে এই চুক্তিতে আনুষ্ঠানিক ভাবে ইরান, লিবিয়া ও ইয়েমেনও সম্পৃক্ত নয়।
রুবিও বলেন, “বৃহৎশক্তির মধ্যে আজকের বৈরীতা আবার তৈরি হওয়ায় আমি আমেরিকাকে আরও নিরাপদ শক্তিশালী ও সমৃদ্ধশীল করার লক্ষ্যে আমি আমাদের প্রতিভাসম্পন্ন কূটনৈতিক টিমকে সে ক্ষমতা প্রদান করবো”।