ট্রাম্পের অভিবাসন আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হলেও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮:২৫
একের পর এক নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি অঙ্গীকার করেছেন, লাখ লাখ ‘ক্রিমিনাল অ্যালিয়েন’কে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দেবেন এবং মেক্সিকোর সাথে সীমান্তে ‘ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি’ জারি করেছেন।
ইউনিভার্সিটি কলেজ ডাবলিনের ক্লিনটন ইন্সটিটিউটের যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক রাজনীতিবিষয়ক অধ্যাপক স্কট লুকাস বলেছেন এত নির্বাহী আদেশের মধ্যে কোনগুলো দ্রুতই আইনে পরিণত হবে।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সরকার প্রক্রিয়ায় আছে কংগ্রেস, বিচার বিভাগ ও নির্বাহী বিভাগের ক্ষমতা।
লুকাস বলেন, ‘এসব নির্বাহী আদেশে ট্রাম্প তার নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করেছেন।’
যেসব বিষয়ে কংগ্রেসের অনুমোদনের প্রয়োজন নেই, সেগুলো তাৎক্ষণিকভাবেই আইন হয়ে গেছে, উল্লেখ করেছেন তিনি।
লুকাস আরো বলেন, ‘অভিবাসনের বিষয়ে ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ সাথে সাথে প্রয়োগ হয়েছে, কিন্তু এটি আইনি দিক থেকে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখেও পড়বে। জন্ম সূত্রে নাগরিকত্বের অধিকার বাতিল করতে চান প্রেসিডেন্ট, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে যারা জন্মগ্রহণ করে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক, এটা সংবিধানেই বলা আছে। ফলে এটা বাতিল করে দেয়ার মতো আইনগত অধিকার কি তার আছে? অন্তত এই ইস্যুতে তিনি আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বেন।’
ডোনাল্ড ট্রাম্প এখন ১২-১৩ মিলিয়ন অবৈধ অভিবাসীকে তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশনকে নির্দেশ দিতে পারেন।
লুকাস বলেন, ‘কিন্তু আমি মনে করি না এটা খুব সহজ হবে। এখানে কোটি কোটি ডলার ব্যয়ের প্রশ্ন আছে, এটা নিয়ে বেশ শোরগোলও তৈরি হবে।’
সূত্র : বিবিসি
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা