ট্রাম্পের নামে ক্রিপ্টোকারেন্সি, দাম আকাশছোঁয়া
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৪:০৫
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নিজের নামে ক্রিপ্টোকারেন্সি চালু করেছেন। যার বাজারমূল্য দ্রুত কয়েক বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে গেছে।
সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের প্রস্তুতি নেয়ার সময় $Trump/$ট্রাম্প, নামে একটি মিম কয়েন প্রকাশ করেন।
সিআইসি ডিজিটাল এলএলসি নামে প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে কয়েকটি বাজারে এসেছে, প্রতিষ্ঠানটি এর আগেও তারা ট্রাম্প ব্র্যান্ডের জুতো ও সুগন্ধি বিক্রি করেছে।
মিম কয়েন সাধারণত কোনো ভাইরাল ইন্টারনেট ট্রেন্ড বা কোনো আন্দোলনকে জনপ্রিয় করতে ব্যবহৃত হয়। তবে এগুলোর নিজস্ব কোনো মূল্য নেই। সেগুলো অত্যন্ত অনিশ্চিত বিনিয়োগ।
শুক্রবার রাতে চালুর পর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই $Trump-এর বাজারমূল্য প্রায় ৫০৫ কোটি ডলারে পৌঁছায়। কয়েন মার্কেট ক্যাপ ডট কম এই তথ্য জানিয়েছে।
সিআইসি ডিজিটাল এলএলসি এবং এই মাসের শুরুতে ডেলাওয়্যারে প্রতিষ্ঠিত ফাইট ফাইট ফাইট এলএলসি মিলে এই টোকেনগুলোর ৮০ শতাংশ মালিকানা ধরে রেখেছে। ট্রাম্প এই উদ্যোগ থেকে ঠিক কত টাকা আয় করবেন, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
টোকেনটির ওয়েবসাইট জানায়, প্রায় ২০০ মিলিয়ন টোকেন ইতোমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে এবং পরবর্তী তিন বছরে আরো ৮০০ মিলিয়ন টোকেন বাজারে আনা হবে।
ওয়েবসাইটে এটিও উল্লেখ করা হয়েছে যে এই কয়েন কোনো বিনিয়োগের সুযোগ বা নিরাপত্তার বিষয় নয়। এটি কোনো রাজনৈতিক প্রচারণা, রাজনৈতিক পদ বা সরকারি সংস্থার সাথে এর কোনো সম্পর্ক নেই।
সমালোচকরা অভিযোগ করেছেন, ট্রাম্প এই উদ্যোগের মাধ্যমে তার প্রেসিডেন্ট পদ থেকে আর্থিক সুবিধা নিচ্ছেন।
ক্রিপ্টো ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্ট নিক টোমাইনো এক পোস্টে বলেন, ‘ট্রাম্পের ৮০ শতাংশ মালিকানা এবং শপথ গ্রহণের কয়েক ঘণ্টা আগে এটি চালু করা প্রতারণামূলক। এতে অনেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।’
এরকম ডিজিটাল টোকেন প্রায়ই বাজারে আলোড়ন তুলে দাম বাড়িয়ে দেয়, এরপর মূল শেয়ার বিক্রি করে দেয়া হয়। এতে দেরিতে কেনা লোকেরা প্রায়ই বড় ক্ষতির মুখে পড়ে।
ক্রিপ্টোকারেন্সি বিনিয়োগকারীরা আশা করছেন, ট্রাম্প প্রশাসন শিল্পটিকে চাঙ্গা করবে।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নিয়ন্ত্রকরা জালিয়াতি এবং মানি লন্ডারিং নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ক্রিপ্টো কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন।
তবে ট্রাম্প এর আগে ক্রিপ্টো নিয়ে সন্দিহান ছিলেন। তবে গত বছর ন্যাশভিলের এক বিটকয়েন সম্মেলনে তিনি বলেছিলেন, ওয়াশিংটনে ফেরার পর আমেরিকা হবে ‘পৃথিবীর ক্রিপ্টো রাজধানী’।
ট্রাম্পের ছেলে এরিক এবং ডোনাল্ড জুনিয়র গত বছর নিজেদের ক্রিপ্টো উদ্যোগের ঘোষণা দিয়েছিলেন।
সূত্র : বিবিসি
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা