কুখ্যাত গুয়ানতানামো কারাগার থেকে মুক্তি ১১ ইয়েমেনির
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬:৩৫
কুখ্যাত গুয়ানতানামো বে কারাগার থেকে ১১ ইয়েমেনিকে মুক্তি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ সোমবার বলেছে, তারা ১১ ইয়েমেনি বন্দীকে গুয়ানতানামো কারাগার থেকে ওমানে পুনর্বাসন করেছে। ১৫ জন এখনো কিউবায় বিতর্কিত মার্কিন এই ঘাঁটিতে আটক রয়েছে।
প্রতিরক্ষা দফতরের এক বিবৃতির বরাত দিয়ে ওয়াশিংটন থেকে এএফপি জানায়, ‘যুক্তরাষ্ট্র বন্দীর সংখ্যা হ্রাস এবং শেষ পর্যন্ত গুয়ানতানামো-বে কেন্দ্রটি বন্ধ করার ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে চলমান মার্কিন প্রচেষ্টাকে সমর্থন করার জন্য ওমান সরকার ও অন্যান্য অংশীদারদের সদিচ্ছার প্রশংসা করেছে।’
প্রতিরক্ষা দফতর বলেছে, ১১ ইয়েমেনির মুক্তির ঘোষণার পাশাপাশি এক বন্দীকে তিউনিসিয়ায় প্রত্যাবাসন করা হয়েছে। তাদের মুক্তির ফলে গুয়ানতানামো কারাগারে বন্দী সংখ্যা এখন মাত্র ১৫ জন। কারাগারটিতে সর্বোচ্চ ৮০০ বন্দী রাখা হয়েছিল।
প্রতিরক্ষা বিভাগ জানিয়েছে, অবশিষ্ট বন্দীদের মধ্যে তিনজন স্থানান্তরের জন্য যোগ্য, তিনজন সম্ভাব্য মুক্তির জন্য পর্যালোচনার জন্য যোগ্য, সাতজন অভিযোগের সম্মুখীন এবং দু’জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে এবং সাজা দেয়া হয়েছে।
বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ২০২০ সালে তার নির্বাচনের আগে গুয়ানতানামো-বে বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তার মেয়াদের এখন আর মাত্র কয়েক সপ্তাহ বাকি রয়েছে।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের হামলার (১/১১) পরিপ্রেক্ষিতে ‘সন্ত্রাসী’ গোষ্ঠীগুলোকে অপসারণ করা ও যে সকল দেশ ‘সন্ত্রাসবাদের’ পৃষ্ঠপোষকতা করে তাদেরকে শাস্তি দেয়ার উদ্দেশে যুক্তরাষ্ট্র ও এর অন্যান্য মিত্র দেশের ‘ওয়ার অন টেরর’ অভিযানকালে এই স্থাপনাটি খোলা হয়। বন্দীদের অনির্দিষ্টকাল আটকে রাখার জন্য এটি ব্যবহৃত হয়েছে।
দক্ষিণ-পূর্ব কিউবার একটি মার্কিন নৌ ঘাঁটিতে নির্মিত কারাগারটি ৯/১১-এর পরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতীক হয়ে ওঠার পাশাপাশি আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক নিন্দা জানানো হয়েছে। দীর্ঘকাল ধরে বিচার ছাড়াই অনির্দিষ্টকালের আটকে রাখা এবং বিতর্কিত জিজ্ঞাসাবাদ পদ্ধতি নিয়ে অধিকার গোষ্ঠীগুলো ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে। জাতিসঙ্ঘের বিশেষজ্ঞরা এটিকে ‘তুলনাহীন কুখ্যাতির’ ঘাঁটি হিসেবে নিন্দা করেন।
সূত্র : বাসস