দক্ষিণ কোরিয়ায় পৌঁছেছেন ব্লিংকেন
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩:০১
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন রোববার রাতে রাজনৈতিক সঙ্কট-সংকুল দক্ষিণ কোরিয়ায় পৌঁছেছেন। তিনি সেখানে অভিশংসিত প্রেসিডেন্টের কৌশল এড়িয়ে তার নীতিমালার ধারাবাহিকতা বজায় রাখার ব্যাপারে সতর্ককার সাথে চেষ্টা চালাবেন।
ব্লিংকেনের সোমবার দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী চো তাই-ইউলের সাথে আলোচনায় বসার কথা রয়েছে। এদিন বরখাস্ত হওয়া প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইউলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার মেয়াদ শেষ হবে।
৩ ডিসেম্বর সামরিক শাসন জারি করেন ইউন সুক ইউল। দক্ষিণ কোরিয়ায় নির্বাচনে জালিয়াতি করা হয়েছে এবং দেশটিতে ‘উত্তর কোরিয়াপন্থী এবং দেশবিরোধী শক্তির’ উপস্থিতি রয়েছে দাবি করে সামরিক শাসন জারির সিদ্ধান্তকে বৈধতা দেয়ার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। তবে তা সফল হয়নি। ওই সিদ্ধান্তের জেরেই তাকে অভিশংসন করা হয় এবং তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।
শীর্ষ মার্কিন কূটনীতিক হিসেবে ব্লিংকেন তার সম্ভাব্য শেষ বিদেশ সফরের প্রথমে সিউল এসেছেন। রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প শিগগির দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণ করতে যাচ্ছেন। এর আগে ব্লিংকেন ডেমোক্র্যাট মিত্রদের পাশে নিয়ে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাফল্য তুলে ধরতে কয়েকটি দেশ সফরে রেরিয়েছেন। এরপর তিনি টোকিও যাবেন।
জাপানের সাথে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিযোগিতামূলক সম্পর্ক বিদ্যমান। ১৯১০-১৯৪৫ সাল পর্যন্ত কোরীয় উপদ্বীপের দখল নিয়ে জাপানের বিরুদ্ধে দক্ষিণ কোরিয়ার বামপন্থীরা দীর্ঘকাল ধরে কঠোর অবস্থানে রয়েছে।
ইউন একসময় জাপানের সাথে দক্ষিণ কোরিয়ার বৈরিতা নিরসনে সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণ এবং বৈশ্বিক ইস্যুতে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি বৃহত্তর ভূমিকা নিশ্চিতের চেষ্টার কারণে বাইডেন প্রশাসনের প্রিয়ভাজন হয়ে উঠেছিলেন।
ব্লিংকেন সফরের জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার বামপন্থীদের সমালোচনার সম্মুখীন হতে পারেন।
সাবেক মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তা সিডনি সিলার বলেছেন, কৌশলগত ও আন্তর্জাতিক অধ্যয়নের কেন্দ্র এখন কোরিয়ার ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ রয়েছে।
এক বিবৃতিতে স্টেট ডিপার্টমেন্ট সরাসরি রাজনৈতিক সঙ্কটের কথা উল্লেখ না করে বলেছে, ব্লিংকেন জাপানের সাথে উন্নত গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়সহ ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতা সংরক্ষণ করতে চেষ্টা চালাবেন।
ট্রাম্প ২০ জানুয়ারি হোয়াইট হাউসে ফিরে যাবেন।
সূত্র : এএফপি