০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ২২ পৌষ ১৪৩১, ৫ রজব ১৪৪৬
`

কানাডায় স্পনসরশিপ বন্ধ, নেয়া যাবে না বাবা-মা ও দাদা-দাদিকে

কানাডার অভিবাসনবিষয়ক মন্ত্রী মার্ক মিলার এ নির্দেশনা জারি করেছেন - ছবি : সংগৃহীত

কানাডায় স্থায়ী বাসিন্দারা গত কয়েক দশক স্পনসরশিপ (পিজিপি) কর্মসূচির আওতায় স্থায়ী বসবাসের (পিআর) জন্য বাবা-মা এবং দাদা-দাদিকে নেয়ার জন্য স্পনসর করার সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু এ সুযোগ আর থাকছে না।

সম্প্রতি স্পনসরশিপ বন্ধ করার বিষয়ে কানাডার অভিবাসনবিষয়ক মন্ত্রী মার্ক মিলার একটি নির্দেশনা জারি করেছেন।

নির্দেশনায় বলা হয়, বিদ্যমান আবেদনের ব্যাকলগ শিগগিরই শেষ করার দিকে মনোনিবেশ করায় বাবা-মা এবং দাদা-দাদির জন্য স্থায়ী বসবাসের স্পনসরশিপের নতুন আবেদন গ্রহণ করা সাময়িকভাবে বন্ধ করেছে কানাডা।

কানাডার অভিবাসন, শরণার্থী ও নাগরিকত্ব (আইআরসিসি) বিভাগ বলছে, তারা চলতি বছরে এ কর্মসূচির আওতায় আর নতুন কোনো আবেদন গ্রহণ করবে না। কানাডার সরকারের এ পদক্ষেপের ফলে অনেক বাংলাদেশী পরিবারও অনিশ্চয়তার মুখোমুখি হয়েছেন।

আইআরসিসি আরো বলছে, তারা ২০২৪ সালে জমা দেয়া আবেদনগুলোর প্রক্রিয়াকরণ চালিয়ে যাবে। চলতি বছরে পিজিপি কর্মসূচির আওতায় নতুন আবেদন গ্রহণ করা হবে না।

অতীতে এ কর্মসূচির আওতায় কানাডার স্থায়ী বাসিন্দারা দেশটিতে স্থায়ীভাবে বসবাস করার জন্য তাদের বাবা-মা এবং দাদা-দাদিকে নিয়ে যেতে পারতেন। এখন এর পরিবর্তে দেশটিতে বসবাসরত পরিবারগুলো সুপার ভিসা কর্মসূচিকে বিবেচনায় নিতে পারবেন। এ ভিসার আওতায় স্থায়ী বাসিন্দাদের আত্মীয়রা টানা পাঁচ বছর পর্যন্ত কানাডায় বসবাসের অনুমতি পাবেন।

দেশটিতে অভিবাসীর সংখ্যা হ্রাসের বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে আইআরসিসি নতুন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে দেশটিতে ২০২৫ সালে পিআর বরাদ্দের হার ২০ শতাংশ হ্রাস পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। চলতি বছরের জন্য আইআরসিসির পিজিপি কর্মসূচির আওতায় ২৪ হাজার ৫০০ জনের আবেদনের চূড়ান্ত নিষ্পত্তি করার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে আগামী কয়েক বছরে এ সংখ্যা শিগগির হ্রাস পাবে বলে জানিয়েছে কানাডার অভিবাসন বিভাগ।

ঐতিহাসিকভাবে অভিবাসীবান্ধব নীতির জন্য পরিচিতি রয়েছে কানাডার। কিন্তু দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো নেতৃত্বাধীন প্রশাসন অতি শিগগির জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে সৃষ্ট আবাসন ও স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার ওপর চাপ মোকাবেলা করার লক্ষ্যে কানাডার এ নীতিতে পরিবর্তন এনেছে।

দেশটির সংবাদমাধ্যম কানাডা গেজেটের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কঠোর অভিবাসন নীতি গ্রহণ করায় চলতি বছরের মাঝেই ১২ লাখেরও বেশি অস্থায়ী বাসিন্দা কানাডা ছেড়ে যেতে বাধ্য হতে পারেন।

এছাড়া, বার্ষিক পিআর কোটা আগে পাঁচ লাখ নির্ধারিত থাকলেও চলতি বছরে তা কমিয়ে তিন লাখ ৯৫ হাজার করা হয়েছে। একইসাথে এ সংখ্যা ২০২৬ সালে তিন লাখ ৮০ হাজার এবং ২০২৭ সালে তিন লাখ ৬৫ হাজারে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

হ্রাসকৃত কোটার মাঝে ২০২৫ সালে কেবল ৯৪ হাজার ৫০০টি ভিসা পারিবারিক স্পনসরশিপের জন্য বরাদ্দ পাওয়ার কথা রয়েছে। এরমধ্যে ৭০ হাজার পিআরধারীদের স্বামী-স্ত্রী এবং সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে।

সূত্র : ইউএনবি


আরো সংবাদ



premium cement
রাজধানীতে র‌্যাবের বিশেষ চেকপোস্ট ও রোবাস্ট পেট্রোল কার্যক্রম জোরদার সাবেক হুইপ কমলের ক্যাশিয়ার তপনকে পুলিশে দিল ছাত্র-জনতা অবশেষে পদত্যাগের ঘোষণা জাস্টিন ট্রুডোর বিপিএলের ব্যবস্থাপনায় সন্তুষ্ট সিলেটের দর্শকরা অগ্রাধিকারমূলক কাজের তালিকা দিলেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম তামিমের বিধ্বংসী ইনিংসে বরিশালের বড় জয় স্যাকমোদের ইতিহাস, অতীত থেকে বর্তমান : ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন কতটা যৌক্তিক? মিরপুরে মোটরসাইকেলের গ্যারেজে আগুন যুক্তরাজ্যের ব্যবসায়ীদের জ্বালানি ও প্রযুক্তিখাতে বিনিয়োগের আহ্বান অর্জিত বিজয় অর্থবহ করতে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে : জামায়াত আমির বিমানবন্দর থেকে আওয়ামী লীগ নেতা আটক

সকল