বাইডেনের পাওয়া উপহারের মধ্যে সবচেয়ে দামি মোদির হিরা
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬:৪৭
চলতি মাসেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনের মেয়াদ শেষ হবে জো বাইডেনের। বিদায়ের আগে ২০২৩ সালে তিনি ও তার স্ত্রী জিল বাইডেনের বিশ্বনেতা ও কূটনীতিকদের কাছ থেকে পাওয়া উপহারের তালিকা প্রকাশ করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এতে দেখা গেছে, ২০২৩ সালে ফার্স্ট লেডি জিলকে সবচেয়ে দামি উপহারটি দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ২০ হাজার ডলার অর্থাৎ প্রায় ২৫ লাখ টাকা মূল্যের সাড়ে সাত ক্যারেটের হিরা উপহার দিয়ে দামের দিক থেকে সবার চেয়ে এগিয়ে মোদি।
এরপরই আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ও ফার্স্ট লেডিকে উপহার দেয়ার দৌড়ে এগিয়ে আছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনোস্কি এবং যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত ওকসানা মারাকোভা।
জো বাইডেনকে প্রায় আড়াই হাজার ডলার মূল্যমানের একটি ছবির কোলাজ দিয়েছেন জেলোনোস্কি এবং ওকসানা একটি ব্রুচ অর্থাৎ শৌখিন ক্লথ পিন দিয়েছেন জিল বাইডেনকে, যার দাম ১৪ হাজার ডলার।
এর বাইরে জিল বাইডেন মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি এবং ফার্স্ট লেডি এন্তিসার আমিরের থেকে সাড়ে চার হাজার ডলার মূল্যের একটি ব্রুচ এবং ছবির অ্যালবাম উপহার পেয়ছেন। অন্যদিকে জো বাইডেনকে প্রায় সাড়ে তিন হাজার ডলারের রূপার বাটি দিয়েছেন ব্রুনাইয়ের সুলতান।
এছাড়া বাইডেনকে ছবির অ্যালবাম দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইউল, যার দাম সাত হাজার ডলারের বেশি। এখানেই শেষ না; মঙ্গোলিয়ার প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন প্রায় সাড়ে ৩ হাজার ডলার দামের যোদ্ধাদের ভাস্কর্য আর ইসরাইলের প্রেসিডেন্ট দিয়েছেন ৩ হাজার ১০০ ডলারের রূপার ট্রে।
তবে স্টেট বিভাগের হিসাব অনুযায়ী, বাইডেন পরিবার যেসব উপহার পেয়েছেন তার বেশিভাগই জমা হবে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল আর্কাইভে। কিছু কিছু উপহার থাকবে প্রদর্শনীর জন্য। মোদির দেয়া জিল বাইডেনের উপহারটি থাকবে হোয়াইট হাউসের ইস্ট উইংয়ের জিম্মায়।
শুধু বাইডেন না, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল বিভাগ এবং গোয়েন্দাসংস্থা সিআইএ পর্যন্ত বিদেশীদের থেকে দামি দামি উপহার পেয়েছেন। এর মধ্যে সিআইএ পরিচালক উইলিয়াম বার্ন্স ১৮ হাজার ডলার মূল্যমানের একটি অ্যাস্ট্রোগ্রাফ পেয়েছেন উপঢৌকন পেয়ছেন। এটি প্রশাসন বিভাগে জমা দেয়া হবে।
এর বাইরে তিনি ১১ হাজার ডলার মূল্যমানের একটি ওমেগা ঘড়িও পেয়েছেন, যেটি ধ্বংস করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট বিভাগে জমা রিপোর্ট দিয়েছেন বার্ন্স। এখন পর্যন্ত সিআইএ মোট ১ লাখ ৩২ হাজার ডলার মূল্যমানের উপহার পেয়েছে, যার অধিকাংশ ধ্বংস করে ফেলা হবে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।