যুক্তরাষ্ট্রের গুয়ানতানামো কারাগারের ৩ বন্দীর মুক্তি
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩:০১
বালিতে ২০০২ সালে ভয়াবহ বোমা হামলার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে দোষ স্বীকার করার পর এবং অভিযুক্ত মূল হোতার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে সম্মত হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের বে কারাগারে আটক দুই মালয়েশীয় বন্দীকে তাদের নিজ দেশে হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়াও বিনা অভিযোগে গুয়ানতানামোতে ১৭ বছর থাকার পর মঙ্গলবার আরেক বন্দীকে কেনিয়ায় ফেরত পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
বুধবার মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের সদরদফতর পেন্টাগন এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
প্রসিকিউটররা বলছেন, মো: ফারিক বিন আমিন ও মো: নাজির বিন লেব কয়েক বছর ধরে এনসেপ নুরজামানের (হাম্বালি নামে পরিচিত) সাথে কাজ করেছেন। তিনি আল-কায়েদার সাথে সংযুক্ত জিমাহ ইসলামিয়ার ইন্দোনেশীয় নেতা। অভিযুক্ত দু’জন ২০০২ সালের ১২ অক্টোবর বালির দু’টি নাইটস্পটে বোমা হামলায় ২০২ জন নিহত হওয়ার পর নুরজামানকে পালাতে সহায়তা করেছিলেন।
গত জানুয়ারিতে এই দু’জন ষড়যন্ত্র ও অন্যান্য অভিযোগে দোষ স্বীকার করেন। পেন্টাগন এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা কথিত মূল পরিকল্পনাকারী নুরজামানের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেয়ার পর তাদেরকে স্থানান্তর করা হয়।
নুরজামান গুয়ানতানামোতে হেফাজতে রয়েছেন। তিনি বালিতে বোমা হামলা ও অন্যান্য হামলার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে জানুয়ারিতে প্রাক-বিচার শুনানি পুনরায় শুরু হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন।
মালয়েশিয়ার দু’জনকে মুক্তির পর গুয়ানতানামোর যুক্তরাষ্ট্রের নৌঘাঁটিতে এখন ২৭ জন বন্দী আটক রয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রে ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর আল-কায়েদার হামলার পর তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ একটি সামরিক ট্রাইব্যুনাল ও কারাগার গঠন করেন।
এছাড়া গুয়ানতানামোতে ১৭ বছর বন্দী থাকার পর মঙ্গলবার কেনিয়ার নাগরিক মো: আব্দুল মালিক বাজাবুকে কোনো অভিযোগ ছাড়াই ফেরত পাঠায় যুক্তরাষ্ট্র।
তার মুক্তির পর আরো ১৫ জন মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছেন, যাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগই আনা হয়নি। যুক্তরাষ্ট্র তাদেরকে নিতে ইচ্ছুক এমন উপযুক্ত ও স্থিতিশীল দেশগুলোর সন্ধান করছে। এদের বেশিভাগই যুদ্ধ-বিধ্বস্ত ও ইরানের মিত্র দেশ ইয়েমেন থেকে এসেছে।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রতি অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল আহ্বান জানিয়েছে, তিনি যেন ক্ষমতা ছাড়ার আগেই যাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আনা হয়নি, তাদের আটক রদ করেন। যদি তা না হয় তবে ‘সরকার কর্তৃক অভিযোগ বা বিচার ছাড়াই অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্দীদের আটকে রাখার মতো ঘৃণ্য অনুশীলনের দায় তাকে বহন করতে হবে।’
সূত্র : ভিওএ
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা