ট্রাম্প প্রশাসনের কৃষিমন্ত্রী ব্রুক রলিন্স

যুক্তরাষ্ট্রের নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী প্রশাসনের কৃষিমন্ত্রী হিসেবে ব্রুক রলিন্সকে বেছে নিয়েছেন।

রলিন্স ডানপন্থী গবেষণা প্রতিষ্ঠান দ্য আমেরিকা ফার্স্ট পলিসি ইন্সটিটিউট-এর প্রধান নির্বাহী।

ট্রাম্প এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমেরিকার কৃষকরা সত্যিকার অর্থে আমাদের দেশের মেরুদণ্ড এবং আমাদের পরবর্তী কৃষিমন্ত্রী হিসেবে, ব্রুক তাদের সুরক্ষা দেয়ার প্রচেষ্টায় নেতৃত্ব দেবে।’

সেনেট তার মনোনয়ন অনুমোদন করলে তিনি এক লাখ কর্মকর্তা-কর্মচারীর এই মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে দেবেন, যাদের দেশের প্রতিটি কাউন্টিতে অফিস রয়েছে।

কৃষি বিভাগের কাজের আওতায় আছে কৃষি এবং পুষ্টি কার্যক্রম, বন, গৃহ এবং খামার অর্থায়ন, খাদ্য নিরাপত্তা, গ্রামীণ উন্নয়ন, কৃষি গবেষণা, বাণিজ্য এবং আরো অনেক কিছু।

আগের অর্থ-বছরে (২০২৪) কৃষি বিভাগের প্রায় ৪৪ হাজার কোটি ডলারের বাজেট ছিল।

মনোনীত মন্ত্রীর অ্যাজেন্ডা গ্রামীণ ও শহুরে আমেরিকানদের খাদ্যাভ্যাস এবং খরচের ওপর প্রভাব ফেলবে।

অন্য কাজের মধ্যে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে দর কষাকষি করে, খাদ্যাভ্যাস এবং পুষ্টি নিয়ে প্রস্তাব দেয়, গোশতের মান পরীক্ষা করে, বন-জঙ্গলে অগ্নিকাণ্ড মোকাবেলা করে এবং গ্রামীণ এলাকায় ব্রডব্যান্ড সেবার তদারকি করে।

ট্রাম্প বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের কৃষকদের সমর্থন করতে, খাদ্যে যুক্তরাষ্ট্রের স্বয়ংসম্পূর্ণতা রক্ষা করতে এবং যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি-নির্ভর ছোট শহরগুলোকে পুনরায় সমৃদ্ধ করতে ব্রুকের অঙ্গীকারের তুলনা নেই।’

দ্য আমেরিকা ফার্স্ট পলিসি ইন্সটিটিউট-এর সদস্যরা নির্বাচনের সময় ট্রাম্প প্রচারণা দলের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করেছে এবং তার আগামী প্রশাসনের নীতি নির্ধারণে সহায়তা করেছে।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদকালে ব্রুক রলিন্স ডোমেস্টিক পলিসি কাউন্সিলের সভাপতি ছিলেন।

কৃষিমন্ত্রী হিসেবে রলিন্স প্রশাসনকে উপদেশ দেবেন যে কিভাবে জৈব জ্বালানির জন্য ট্যাক্স ছাড় বাস্তবায়ন করা যায় বা করা উচিত হবে কিনা, যখন এই খাত বিমান পরিবহনের জন্য নবায়নযোগ্য জ্বালানি তৈরি করে অগ্রসর হতে চাচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো-কানাডার মধ্যে ত্রিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তি নবায়ন নিয়ে আগামী বছরের আলোচনা মনোনীত মন্ত্রী পরিচালনা করবেন। এই আলোচনার ওপর বিতর্ক ঝুলে আছে, কারণ মেক্সিকো জিনগতভাবে পরিবর্তিত (জিএম) ভুট্টা আমদানি আটকানোর চেষ্টা করছে এবং কানাডা ডেইরি পণ্যের ওপর কোটা আরোপ করেছে।

ট্রাম্প আবারো বলেছেন, তিনি ব্যাপক আমদানি কর আরোপ করবেন যা কৃষি খাতের ওপর প্রভাব ফেলবে।