মার্কিন রাষ্ট্রদূত আমোস হোচস্টেইন লেবাননে পৌঁছেছেন
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৫:৩৭
মার্কিন বিশেষ দূত আমোস হোচস্টেইন মঙ্গলবার কর্মকর্তাদের সাথে যুদ্ধবিরতি আলোচনার জন্য লেবাননে পৌঁছেছেন। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম একথা জানিয়েছে।
ইসরাইল-হিজবুল্লাহ যুদ্ধবিরতির জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্স প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
২৩ সেপ্টেম্বর ইসরাইল স্থল সেনা পাঠানোর আগে লেবাননে ব্যাপক বিমান হামলা চালায়। ৭ অক্টোবর ২০২৩ সালে ইসরাইলের সাথে হামাসের যুদ্ধ শুরু হয়। হিজবুল্লাহ তার ফিলিস্তিনি মিত্র হামাসের সমর্থনে প্রায় এক বছর ধরে ইসরাইলকে প্রতিরোধ করে আসছে।
সোমবার লেবাননের একজন কর্মকর্তা এএফপিকে জানান, সরকার মার্কিন যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করেছে।
অন্যদিকে আরেক কর্মকর্তা বলেছেন, লেবানন তার সাথে কিছু অসামান্য পয়েন্ট পর্যালোচনা করার জন্য হোচস্টেইনের আগমনের জন্য অপেক্ষা করছে।’
সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার সাংবাদিকদের বলেন, ওয়াশিংটন লেবানন ও ইসরাইল সরকারের সাথে প্রস্তাবগুলো বিনিময় করে নিচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা যে প্রস্তাব পেশ করেছি তাতে উভয় পক্ষই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।’
মিলার বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের ১৭০১-নম্বর প্রস্তাবের ‘পূর্ণ বাস্তবায়নের’ জন্য চাপ দিচ্ছে। প্রস্তাবটির মাধ্যমে ২০০৬ সালে সংঘটিত শেষ ইসরাইল-হিজবুল্লাহ যুদ্ধের সমাপ্তি করেছিল। লেবাননের ইসরাইল সীমান্ত থেকে লেবানন সেনাবাহিনী ও জাতিসঙ্ঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্য ছাড়া সকল সৈন্যদের প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছিল।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সোমবার বলেছেন, একটি চুক্তির পরেও ইসরাইল হিজবুল্লাহকে পুনর্গঠন করা থেকে বিরত রাখতে গোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে অভিযান চালাবে।’
আরেক লেবাননের কর্মকর্তা এর আগে বলেছেন যে মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিসা জনসন বৃহস্পতিবার লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি ও হিজবুল্লাহ-মিত্র পার্লামেন্টের স্পিকার নাবিহ বেরির সাথে পরিকল্পনাটি নিয়ে আলোচনা করেছেন। নাবিহ বেরি জিহাদি গোষ্ঠীটির পক্ষে মধ্যস্থতা করার প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দিয়েছেন।
যদি একটি চুক্তিতে পৌঁছানো হয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্স একটি যৌথ বিবৃতি জারি করবে।
তিনি বলেন, এরপর ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি হবে। এ সময় লেবানন ইসরাইলের নিকটবর্তী দক্ষিণ সীমান্ত এলাকায় সেনা মোতায়েন করবে।
লেবাননের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত বছরের অক্টোবরে সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর থেকে তিন হাজার ৫১০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি রেকর্ড করা হয়েছে।
সূত্র : বাসস