ট্রাম্প-নেতানিয়াহুর মতের অমিল হতে পারে যেখানে
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০৬
জেরুসালেমে ইসরাইলি কনস্যুলেটের বাইরের নিরাপত্তা বেষ্টনীকে ডাকা হয়, দেজা ভ্যু। দেজা ভ্যু- মানে প্রথমবারের মতো কোনো ঘটনার মুখোমুখি হলেও ঘটনাটি আগেও ঘটেছে বলে বিভ্রম হওয়া।
কনস্যুলেটের সেই নিরাপত্তা বেষ্টনীর অপর পাশে গোটা ইসরাইল ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য অধীর অপেক্ষায়।
‘(ট্রাম্পের জয়ে) আমি ভীষণ আনন্দিত,’ বলছিলেন রাফায়েল শোর নামে একজন রাবাই। জেরুসালেমের ওল্ড সিটির বাসিন্দা শোর মতে, ‘তিনি (ট্রাম্প) মধ্যপ্রাচ্যের ভাষা বুঝেন।’
‘ইরান এখন কিছু করার আগে দু'বার ভাববে। কমলা নির্বাচিত হলে আমেরিকা বা ইসরাইলের ওপর আক্রমণ করতে মধ্যপ্রাচ্যের শক্তিগুলোর অতটা ভয় কাজ করতো না বলে আমার মনে হয়,’ যোগ করেন তিনি।
নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্টকে শুভেচ্ছা জানানোর তালিকায় প্রথমদিকের একজন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
‘ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ প্রত্যাবর্তনে অভিনন্দন!’ টুইটে লেখেন তিনি।
এর আগে নেতানিয়াহু ট্রাম্পকে ‘হোয়াইট হাউজে এযাবৎকালে ইসরাইলের সর্বোত্তম বন্ধু’ বলে আখ্যা দিয়েছিলেন।
ট্রাম্প তার আগের মেয়াদে যে কয়েকটি কারণে ইসরাইলিদের কাছে জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন তার অন্যতম ইরানের সাথে পারমাণবিক চুক্তি বাতিল। ইসরেইল আগে থেকেই ওই চুক্তির ব্যাপক বিরোধিতা করে আসছিল।
কয়েকটি আরব দেশের সাথে ইসরাইলের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকাও পালন করেন ট্রাম্প।
এছাড়া, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের নীতিগত অবস্থান এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মতৈক্যকে পাশ কাটিয়ে জেরুসালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করেন।
ইসরাইল প্রশ্নে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদ 'দৃষ্টান্তমূলক' বলে মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত ইসরাইলের সাবেক রাষ্ট্রদূত মাইকেল ওরেন।
‘আশা করা যায়, তিনি আবারো ওই পথে হাঁটবেন। (কিন্তু) ডোনাল্ড ট্রাম্প কে এবং তার অবস্থান কী, সে ব্যাপারে আমাদের পরিষ্কার ধারণা রাখতে হবে,’ যোগ করেন তিনি।
ওরেন বলেন, প্রথমত, বিপুল অর্থ খরচ হয় বলে সাবেক প্রেসিডেন্ট ‘যুদ্ধ পছন্দ করেন না’। ট্রাম্প দ্রুত গাজা যুদ্ধ বন্ধের তাগিদ দিয়েছেন ইসরাইলকে।
দখলকৃত পশ্চিম তীরে ইসরাইলি বসতি স্থাপনের ব্যাপারেও তার আপত্তি আছে। বসতির পরিসর আরো বাড়াতে ইসরাইলি নেতাদের কারো কারো যে ইচ্ছা, সেটিরও বিরোধিতা করেছেন ট্রাম্প।
দুটি নীতিই নেতানিয়াহুর জোট সরকারের শরিকদের বিপক্ষে যায়।
তারা ইতোমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীকে হুমকি দিয়ে রেখেছেন তাদের মতের বিরুদ্ধে গেলে সরকারের ওপর থেকে সমর্থন সরিয়ে নেবে।
সূত্র : বিবিসি