যুক্তরাষ্ট্রে শেষ হচ্ছে ভোটগ্রহণ, ফলাফলের অপেক্ষা
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:০০, আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:১০
যুক্তরাষ্ট্রে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পথে। এখন অপেক্ষা ফলাফলের। তবে অপেক্ষা কয়েক দিনও লেগে যেতে পারে।
কোনো সরকারি সংস্থা নয়, যুক্তরাষ্ট্রে সংবাদমাধ্যমগুলোই নির্বাচনের আংশিক ফলাফল বা 'কল' (পূর্বাভাস) দেয়।
বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে ব্যালট গণনা ও কখন পর্যন্ত চিঠির মাধ্যমে আসা ভোট গ্রহণ করা যাবে, সে সংক্রান্ত আলাদা আলাদা আইন রয়েছে। এ কারণে কয়েকটি অঙ্গরাজ্যের চূড়ান্ত ফলাফল নির্বাচনের পরের দিন বা তারও পরে জানা যাবে।
প্রার্থীদের মধ্যে তীব্র লড়াইয়ের ক্ষেত্রেও সংবাদ এজেন্সিগুলো ভোটগ্রহণ শেষে জয়ী প্রার্থীর পূর্বাভাস দিতে সমস্যায় পড়ে।
২০২০ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করতে বেশ কয়েক দিন লেগে গিয়েছিল। এবারো এমন হতে পারে যে নতুন প্রেসিডেন্ট ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদে বিজয়ীদের নাম জানতে ৫ নভেম্বরের বেশ কয়েক দিন পর পর্যন্ত অপেক্ষার প্রয়োজন দেখা দেবে।
কিভাবে ভোট গণনা হয়?
যুক্তরাষ্ট্রে কোনো কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটি বা কমিশন নেই- প্রতিটি অঙ্গরাজ্যের ব্যালট গণনার নিজস্ব প্রক্রিয়া রয়েছে। স্থানীয় ও অঙ্গরাজ্যের কর্মকর্তারা রিয়েল টাইমে নির্বাচনের ফল ঘোষণা করতে থাকেন এবং সংবাদ এজেন্সিগুলো সেই ফলাফল ব্যবহার করে এবং কখনো কখনো তার সাথে পরিসংখ্যানগত কৌশলের সমন্বয় ঘটিয়ে কে জয়ী হতে পারেন, তার পূর্বাভাস দেয়।
এভাবে সংবাদমাধ্যমগুলো প্রায়ই ব্যালট গণনা শেষ হওয়ার আগে বা কর্মকর্তারা চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার আগেই কে বিজয়ী হতে চলেছেন, তা 'কল' করে বা 'পূর্বাভাস' দেয়। অনেক ডিসট্রিক্টে ভোট গণনা শেষ হতে কয়েক দিন বা সপ্তাহও লেগে যায়। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই আংশিক ফলাফল ব্যবহার করেই গাণিতিক প্রক্রিয়ায় বিজয়ীর পূর্বাভাস দেয়া যায়। তবে যখন কোনো অঙ্গরাজ্যে দুই প্রার্থীর মধ্যে ব্যবধান খুব কম থাকে, তখন সংবাদমাধ্যমগুলো পূর্বাভাস না দিয়ে চূড়ান্ত ফলের জন্য অপেক্ষা করে।
আনুষ্ঠানিকভাবে ভোটগ্রহণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনো ধরনের ফলাফল প্রকাশ করা হয় না।
সরাসরি ভোটে নয়, ইলেক্টোরাল ভোটের মাধ্যমে নির্বচিত হন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট
আমেরিকার ভোটাররা যখন ভোট দেন, তখন তারা সরাসরি তাদের পছন্দের প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকে তা দেন না। কারিগরি দিক দিয়ে চিন্তা করলে, তারা তাদের পছন্দের ইলেক্টর বেছে নেন, যারা ইলেক্টোরাল কলেজের অংশ। এরপর এই ইলেক্টররা প্রেসিডেন্ট বেছে নেন। ইলেক্টোরাল কলেজ হচ্ছে এমন একটি প্রক্রিয়া, যেখানে প্রতিটি অঙ্গরাজ্য থেকে প্রতিনিধি বা ইলেক্টর বেছে নেয়া হয়। প্রতিটি অঙ্গরাজ্যের ইলেক্টরের সংখ্যা ভিন্ন।
যারা আমেরিকার সংবিধানের বুনিয়াদ রচনা করেছিলেন, তাদের প্রত্যাশা ছিল প্রেসিডেন্ট পদের প্রার্থী একটি জাতীয় নির্বাচনের বদলে বেশ কয়েক দফা আঞ্চলিক নির্বাচন জিতে আসবেন, যাতে সেই প্রেসিডেন্ট আরো ভালো করে দেশের মানুষের নানামুখী স্বার্থের প্রতিনিধিত্ব করতে পারেন।
দুটি অঙ্গরাজ্য (মেইন ও নেব্রাস্কা) ছাড়া বিজয়ী প্রার্থীর পক্ষেই অঙ্গরাজ্যের সব ইলেক্টর যোগ হয়। এ ক্ষেত্রে পপুলার ভোটে দুই প্রার্থীর মধ্যে ব্যবধান যত ছোট কিংবা বড় হোক না কেন, তাতে কিছু পরিবর্তিত হয় না।
ইলেক্টরের সংখ্যা ৫৩৮, যা কখনো বদলায় না। এই সংখ্যাটি যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের মোট সদস্য সংখ্যার সমান- ৪৩৫ জন প্রতিনিধি, ১০০ জন সিনেটর ও কলাম্বিয়া ডিসট্রিক্টের তিন ইলেক্টর। প্রেসিডেন্ট হিসেবে জয়ী হতে হলে একজন প্রার্থীকে সংখ্যাগরিষ্ঠ ইলেক্টোরাল ভোট জিততে হয়, যা হলো অন্তত ২৭০।
যদি কোনো প্রার্থী ন্যুনতম ২৭০টি ইলেক্টোরাল ভোট না জেতেন, তাহলে হাউজ অফ রিপ্রেজেন্টেটিভ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করে থাকে।
- ১১ ডিসেম্বর নাগাদ প্রতিটি অঙ্গরাজ্যে ইলেক্টোরদের স্লেটকে সার্টিফাই বা বৈধতা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
- ১৭ ডিসেম্বর ৫৩৮ ইলেক্টর তাদের নিজ নিজ অঙ্গরাজ্যের রাজধানীতে জমায়েত হয়ে তাদের ভোট দেবেন এবং সনদে সাক্ষর করবেন।
- ২৫ ডিসেম্বরের মধ্যে অবশ্যই ইলেক্টোরাল সনদগুলোকে ওয়াশিংটনে স্থানান্তর করতে হবে।
- ৬ জানুয়ারি, কংগ্রেস একটি যৌথ অধিবেশনের মাধ্যমে ইলেক্টোরাল ভোটকে সার্টিফাই করে।
সূত্র : ভিওএ
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা