২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬ পৌষ ১৪৩১, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

ইয়েমেনের ইরান সমর্থিত হাউছি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান অভিযান

যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের মতে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান ও জাহাজ হা্উছির শক্ত ঘাঁটিতে আঘাত হানায় ছড়িয়ে পড়া ধোঁয়া। সানা, ইয়েমেন, অক্টাবর ৪, ২০২৪ - ছবি : ভয়েস অব আমেরিকা

যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা এটি নিশ্চিত করেছেন যে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী গতকাল শুক্রবার ইয়েমেনে হাউছিদের এক ডজনের বেশি লক্ষ্যবস্তুর ওপর আঘাত হেনেছে। তারা ইরান সমর্থিত বিদ্রোহীদের অস্ত্র ব্যবস্থা, ঘাঁটি এবং অন্যান্য সাজ সরঞ্জামকে লক্ষ্যবস্তু করে এই অভিযান চালায়।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন হাউছির কমপক্ষে পাঁচটি শক্ত ঘাঁটিতে সামরিক বিমান এবং যুদ্ধজাহাজগুলো বোমা বর্ষণ করেছে।

হাউছির মিডিয়া জানিয়েছে সেখানকার প্রধান বন্দর নগরী হোদেইদার বিমান বন্দরে এবং হাউছি নিয়ন্ত্রিত সামরিক ঘাঁটি কাথেইব এলাকায় সাত বার বিমান আঘাত হানে। রাজধানী সানায় চার বার এবং ধামার প্রদেশে দুই বার আঘাত হানা হয়।

হাউছির মিডিয়া দফতর আরো জানায় যে সানার দক্ষিণপূর্বাঞ্চলের বায়দা প্রদেশেও তিন বার বিমান হামলা চালানো হয়।

এই আক্রমণের মাত্র কয়েকদিন আগেই ইসরাইলের ‘ক্রমবর্ধমান সামরিক তৎপরতার’ বিরুদ্ধে হুমকি দেয় এবং ইয়েমেনরে ওপর দিয়ে উড়ে যাওয়া যুক্তরাষ্ট্রের একটি ড্রোনকে বাহ্যত গুলি করে ভূপতিত করে। আর এই মাত্র গত সপ্তাহে এই গোষ্ঠীটি আমেরিকার যুদ্ধজাহাজকে লক্ষ্য করে আক্রমণের দায় স্বীকার করে।

বিদ্রোহীরা যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি জাহাজের ওপর ছয়টির ও বেশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও জাহাজ বিধ্বংসী ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ও দু’টি ড্রোন নিক্ষেপ করে। বাব-এল মান্দেব প্রণালী দিয়ে জাহাজগুলো যাচ্ছিল। তবে যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন নৌ-বিধ্বংসী দ্বারা এসব অস্ত্র পরতিহত করা হয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কর্মকর্তারা এই বিস্তারিত তথ্য জানান যা এখনো প্রকাশ্যে আসেনি।

গত অক্টোবর মাসে গাজায় ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ শুরু হবার পর থেকে হাউছিরা ৮০টিরও বেশি বাণিজ্যিক জাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে।

অন্য ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনকে লোহিত সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোট হয় বাধা দিয়েছে নইলে সেগুলো তাদের লক্ষ্যবস্তুতে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছে। আর এসব লক্ষ্যবস্তুর মধ্যে রয়েছে পশ্চিমের সামরিক জাহাজগুলো।

ওই গোষ্ঠটি ইসরাইল, যুক্তরাষ্ট্র কিংবা ব্রিটেনের সাথে সম্পৃক্ত জাহাজগুলোকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় যাতে গাজার বিরুদ্ধে ইসরাইলের অভিযান বন্ধ করা যায়। তবে আক্রান্ত বহু জাহাজেরই এই সংঘাতের সাথে কোনো সম্পর্কই ছিল না, কোন কোনটি আবার ইরানগামী ছিল।

সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা


আরো সংবাদ



premium cement

সকল