এফবিআইতে লিঙ্গ বৈষম্য, ৩৪ নারীকে ২২.৬ ডলার দেয়ার নির্দেশ

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) ট্রেনিং একাডেমি থেকে অন্যায়ভাবে বের করে দেয়া হয়েছিল ৩৪ মহিলাকে। ক্ষুব্ধ হয়ে সরাসরি তারা মামলা ঠুকেছিলেন আদালতে। আদালত এবার মামলা নিষ্পত্তির জন্য কড়া নির্দেশ দিয়েছে। সেই নির্দেশ মতো ওই বহিষ্কৃত নারীদের ২২.৬ মিলিয়ন ডলার দেবে এফবিআই। কিভাবে বিশ্বের অন্যতম সেরা সংস্থার মধ্যেও লিঙ্গবৈষম্য লুকিয়ে আছে ছত্রে ছত্রে, এই ঘটনায় তারই প্রকাশ। একই সঙ্গে আদৌ এফবিআই-তে কাজ করা নারীদের পক্ষে নিরাপদ কিনা, উঠছে সেই প্রশ্ন।

এই বিশেষ মীমাংসার অনুমোদন দেবে ওয়াশিংটনের একজন ফেডারেল বিচারক। বিচার বিভাগের অংশ, এফবিআই প্রায়ই নারী প্রশিক্ষণার্থীদের প্রোগ্রাম থেকে বের করে দেয় বলে অভিযোগ উঠেছে আগেও। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে অবশেষে এত দিনের মামলারই নিষ্পত্তি হবে।

কারণ, প্রস্তাবিত নিষ্পত্তি অনুযায়ী, নারীরা যে শুধুমাত্র টাকাই পাবেন, তা কিন্তু নয়। বরং যোগ্য নারীদের প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামে পুনরায় যোগদানের জন্য আবেদন করার সুযোগও নেমে আসবে। উপরন্তু, যাঁরা ট্রেনিং নিচ্ছেন, তাদের মূল্যায়ন প্রক্রিয়া ন্যায্য কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য, এফবিআই-কেই বাইরের বিশেষজ্ঞদের নিয়োগ করতে হবে। রয়টার্স-এর প্ৰতিবেদন অনুসারে এমনটাই জানা গেছে।

যৌন হয়রানির মুখেও পড়তে হয়েছে
উল্লেখ্য, এই মামলার সাথে জড়িত মহিলারা বলেছেন যে ট্রেনিং একাডেমি থেকে স্নাতক হওয়ার জন্য তাদের অযোগ্য বলে দাবি করা হয়েছে। অথচ একাডেমিক হোক, কিংবা শারীরিক সুস্থতা, এমনকি আগ্নেয়াস্ত্রের পরীক্ষায়ও, বেশিভাগ পুরুষদের থেকে ভালো পারফর্ম করেছেন তারাই। কেউ কেউ আবার যৌন হয়রানি এবং যৌনতা সম্পর্কিত রসিকতার মুখে পড়েছেন বলেও অভিযোগ করেছেন। কিছু ক্ষেত্রে ট্রেনাররা বুকের দিকে নজর করে কথা বলত। কোনো কোনো ক্ষেত্রে নারীদের হাসতে বলা হত বেশি করে, কাউকে আবার জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল নিয়ে কটাক্ষ করা হত।

এফবিআই, যদিও এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি বলেই খবর। তবে, মার্কিন সংস্থাটি একটি বিবৃতিতে এটা বলেছে যে এজেন্ট ট্রেনিংয়ে, লিঙ্গ সমতার দিকটি উন্নত করার জন্য এফবিআই গত পাঁচ বছরে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন করেছে।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস