১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

এবারের নির্বাচনে আমেরিকানদের আস্থা রাখা উচিত, বলছেন বিশেষজ্ঞরা

ক্যামব্রিজ, ম্যাসাচুসেটস সিটি হলে ভোটারদের জন্য বুথ প্রস্তুত করা হয়েছে। ফাইল ছবি, (ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২০) - ছবি : ভয়েস অব আমেরিকা

আর অল্প কয়েক দিন পরই, নভেম্বরে আমেরিকান ভোটাররা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দেবেন। এ সময় তারা এক ধরনের বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতির মুখে পড়েছেন।

এক দিকে কর্মকর্তারা বলছেন, নির্বাচন আয়োজনের অবকাঠামো আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় বেশি সুরক্ষিত, যদিও নিরাপত্তা প্রেক্ষাপট নিয়ে বলছেন অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় বিপদের মাত্রা অনেক বেড়েছে।

নির্বাচনের নিরাপত্তার দেখভালের দায়িত্বে থাকা সংস্থা ইউএস সাইবারসিকিউরিটি অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার সিকিউরিটি অ্যাজেন্সির (সিআইএসএ) সিনিয়র উপদেষ্টা কেইট কনলি বলেন, ‘২০২৪ সালের নির্বাচনকে ঘিরে হুমকি বিবেচনায় ‘(ইতিহাসের) সবচেয়ে জটিল প্রেক্ষাপট’ দেখা গেছে।

মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে পলিটিকো আয়োজিত এআই ও প্রযুক্তি সম্মেলনে কনলি বলেন, ‘আমরা নিশ্চিতভাবে দেখতে পাচ্ছি ক্রমবর্ধমান হারে বিদেশী শত্রু, বিদেশী ষড়যন্ত্রকারীরা আমাদের নির্বাচনকে বিঘ্নিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে।’

তিনি বলেন, তবে আমেরিকান ভোটারদের আস্থা থাকা উচিত।

কনলি বলেন ‘আমরা বিনিয়োগের পরিমাণ অনেক বাড়িয়েছি। আমরা আমাদের নির্বাচনী অবকাঠামোকে সম্পূর্ণ নিরাপদ ও টেকসই করে তোলার জন্য সুবিশাল বিনিয়োগ করেছি এবং সে অনুযায়ী উন্নতিও দেখেছি।’

তা সত্ত্বেও কনলি ও যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য কর্মকর্তারা স্বীকার করেন, বিস্তৃত আকারে বিপদের সম্ভাবনা রয়েছে এবং তা ভোটিং বুথ ছাড়িয়ে অন্যান্য ক্ষেত্রেও দেখা দিতে পারে।

সিআইএসএ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ‘সোয়াটিং এর ঘটনাগুলো অনেক বেড়ে গেছে। জরুরি সেবাদাতাদের কাছে বাড়িতে অথবা অন্যান্য অবস্থানে সহিংসতা বা জরুরি পরিস্থিতি না থাকা সত্ত্বেও মিথ্যে অভিযোগ জানানো হচ্ছে-মূলত নির্বাচনী কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করে। সরাসরি হুমকির সংখ্যাও বাড়ছে।

ওয়াশিংটনে একই সম্মেলনে বক্তব্য রাখার সময় যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি জেনারেল লিসা মনাকো বলেন, ‘আমরা নজিরবিহীন ও অত্যন্ত উদ্বেগজনক হারে সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সহিংসতা ও সহিংসতার হুমকি দেখতে পাচ্ছি।’

এ ধরনের হুমকির অনেকগুলোই নির্বাচন আয়োজনের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের দেয়া হচ্ছে। তবে হুমকি ও ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশ নিয়ে উদ্বেগ নতুন নয়।

নির্বাচনকে ঘিরে আবেগ এবং তার সাথে যুক্তরাষ্ট্রের শত্রুদের উসকানিমূলক উদ্যোগে মানুষের মনে অসন্তোষ ও রাগ বাড়ছে, যা থেকে আরো হামলা আসতে পারে।

সাইবার কার্যক্রম
যুক্তরাষ্ট্রের মানুষের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করার অনেক উদ্যোগ রাশিয়া ও ইরান থেকে আসছে। চীন থেকে সে তুলনায় কম উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে। তবে এ ধরনের কাজে আরো অনেকেই জড়িত।

গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর আরটিসহ কয়েকটি রুশ গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে রাশিয়ার গোয়েন্দা অ্যাজেন্সিগুলোর সাথে সরাসরি কাজ করার অভিযোগ এনেছে। তবে আরটি ও রাশিয়া উভয়ই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা


আরো সংবাদ



premium cement