১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

প্রাসাদ থেকে ‘তাড়ানো’র পর আমন্ত্রণ হ্যারি-মেগানকে

প্রাসাদ থেকে ‘তাড়ানো’র পর আমন্ত্রণ হ্যারি-মেগানকে - ছবি : সংগৃহীত

কয়েক দিন আগেই রাজপ্রাসাদ থেকে কার্যত তাড়িয়ে দেয়া হয়েছিল তাদের। আবার অবস্থান বদল করে তৃতীয় চার্লসের রাজ্যাভিষেকে আমন্ত্রণ জানান হলো রাজকুমার হ্যারি ও তার স্ত্রী মেগান মার্কেলকে। চলতি বছর মে মাসেই চার্লসের রাজ্যাভিষেক হতে চলেছে। রাজপরিবারের সাথে সম্পর্ক একেবারে তলানিতে এসে ঠেকলেও সস্ত্রীক হ্যারিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

দিনচারেক আগেই একটি রিপোর্ট মারফত জানা গিয়েছিল, উইন্ডসর এস্টেটে ফ্রগমোর কটেজ থেকে নিজেদের জিনিসপত্র সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে হ্যারিকে। ২০১৮ সালে বিয়ের উপহার হিসেবে নবদম্পতি হ্যারি-মেগানকে এই কটেজ উপহার দিয়েছিলেন তৎকালীন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। হ্যারিকে সরিয়ে রাজকুমার অ্যান্ড্রুকে এই কটেজ দেয়া হবে বলেই জানা গিয়েছিল। ফলে ব্রিটেনে বসবাসের জন্য হ্যারি ও মেগানের আর কোনো স্থায়ী বাসস্থান নেই।

তবে ফ্রগমোর কটেজ থেকে ‘বিতাড়িত’ হওয়ার পরেও একাধিকবার জনসমক্ষে খোশমেজাজেই দেখা গিয়েছিল সস্ত্রীক হ্যারিকে। এহেন পরিস্থিতিতেই জানা যায়, ইমেইল পাঠিয়ে রাজ্যাভিষেকের জন্য তাদের আমন্ত্রণ করেছে রাজপরিবার। হ্যারি ও মেগান দুজনেই এই বিষয়টি জানিয়েছেন। তবে বিশেষ দিনে আদৌ তারা উপস্থিত থাকবেন কিনা, সেই নিয়ে কিছু বলতে চাননি হ্যারি-মেগান। উল্লেখ্য, রাজ্যাভিষেকের দিনেই তাদের পুত্র আর্চির জন্মদিন।

যদিও রাজ্যাভিষেকের অনুষ্ঠানে হ্যারিকে আমন্ত্রণ জানানো নিয়ে রাজপরিবারের অন্দরেই মতবিরোধ ছিল। নিজের আত্মজীবনীতে রাজপরিবারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন হ্যারি। কতখানি যন্ত্রণাময় ছিল রাজপুত্রের জীবন, ওই বর্ণনা জেনে রাজপরিবারকে কাঠগড়ায় তোলে ব্রিটেনে সাধারণ মানুষও। এহেন পরিস্থিতিতে দু’পক্ষের সম্পর্ক আরো খারাপ হয়।

জানা যায়, ছোটভাই অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন সেটা একেবারেই না-পছন্দ ছিল রাজকুমার উইলিয়ামের। কিন্তু প্রথা মেনে হ্যারিকে আমন্ত্রণ জানানোর পক্ষে কথা বলেন রাজা তৃতীয় চার্লস স্বয়ং।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন


আরো সংবাদ



premium cement