তোপের জেরে প্রাসাদ থেকে বিতাড়িত প্রিন্স হ্যারি
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৩ মার্চ ২০২৩, ১৫:৩১
ব্রিটিশ প্রিন্স হ্যারি ও তার স্ত্রী মেগান মার্কেলকে প্রাসাদ থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে।
রাজপরিবার সূত্রে জানা গেছে, উইন্ডসর এস্টেটে ফ্রগমোর কটেজ থেকে নিজেদের জিনিসপত্র সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে হ্যারিকে। তার বিতর্কিত আত্মজীবনী ‘স্পেয়ার’ প্রকাশিত হওয়ার পরই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
২০১৮ সালে বিয়ের উপহার হিসেবে নবদম্পতি হ্যারি-মেগানকে এ কটেজটি উপহার দিয়েছিলেন তৎকালীন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। কিন্তু বেশি দিন সেখানে থাকেননি তারা।
২০২০ সালে রাজপরিবারের সব দায়িত্ব ছেড়ে ক্যালিফোর্নিয়ায় পাড়ি দেন হ্যারি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা হলেও ব্রিটেনে নিজেদের কটেজ ছাড়েননি তারা।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে প্রকাশিত হয় হ্যারির আত্মজীবনী ‘স্পেয়ার’। রাজপরিবারের রীতিনীতি থেকে শুরু করে তার প্রতি পরিবারের কিছু মানুষের দুর্ব্যবহার সব কিছুই প্রকাশ করা হয় সেখানে। এতে সাধারণ মানুষের সমালোচনার মুখে পড়ে ব্রিটিশ রাজপরিবার।
এরপরই রাজা তৃতীয় চার্লস সিদ্ধান্ত নেন ফ্রগমোর কটেজ থেকে সরিয়ে দিতে হবে হ্যারিকে। এ পদক্ষেপের ফলে ব্রিটেনে আর কোনো বাসস্থান থাকল না রাজপরিবারের সদস্যের।
জানা গেছে, হ্যারির এই কটেজ এবার দেয়া হবে প্রিন্স অ্যান্ড্রুকে। যৌন কেলেঙ্কারির জেরে এরই মধ্যে রাজপরিবারে কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন রাজা চার্লসের ভাই। এ কারণে ৩০টি ঘরের প্রাসাদ ছেড়ে অপেক্ষাকৃত ছোট কটেজে পাঠিয়ে দেয়া হবে তাকে।
রাজপরিবারের দাবি, খরচ কমিয়ে সাধারণ জীবনযাপনের দিকে জোর দিচ্ছে সদস্যরা। এ কারণে একাধিক কাটছাঁট করছে রাজপরিবার। যদিও এ খবর প্রকাশ পাওয়ার পর একটি ক্লাবে খোশমেজাজে পার্টি করতে দেখা গেছে হ্যারি-মেগানকে।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন