‘মাতৃভূমিকে রক্ষার জন্য’ সৈন্য সমাবেশের নির্দেশ দিয়েছেন পুতিন
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৩:৫০
ইউক্রেনে অভিযান বাড়াতে সামরিক বাহিনীতে আংশিকভাবে সৈন্য সমাবেশের নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তার ভাষায় ‘মাতৃভূমিকে রক্ষার জন্য’ সৈন্য সমাবেশের নির্দেশ দিয়েছেন।
এই নির্দেশনার ফলে যারা কোনো এক সময় রুশ সেনাবাহিনীতে কাজ করেছেন বা প্রশিক্ষণ নিয়েছেন ভবিষ্যতে যে কোনো প্রয়োজনে সেনাবাহিনীর কাজে লাগানোর জন্য, সেই সব সংরক্ষিত সৈন্যদের এখন যুদ্ধ করার জন্য ডেকে পাঠানো হবে।
পুতিন বলেছেন, রাশিয়ার মাতৃভূমি, সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক অখণ্ডতা আর জনগণের নিরাপত্তা রক্ষা করার জন্য তিনি সৈন্য সমাবেশের নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, যারা সামরিক বাহিনীতে এর আগে কাজ করেছেন, সেই সংরক্ষিত বাহিনীর সৈনিকদের সেনাবাহিনীতে ডেকে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরো জানান, রাশিয়ার অনেক যুদ্ধাস্ত্র প্রস্তুত করা হয়েছে। রাশিয়ার অস্ত্র উৎপাদন বৃদ্ধি করার জন্যও তিনি বাড়তি তহবিল বরাদ্দের নির্দেশ দিয়েছেন।
পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি হুমকি দিয়ে তিনি বলেছেন, ‘আমাদের দেশের আঞ্চলিক অখণ্ডতা যদি হুমকির মধ্যে পড়ে, রাশিয়া এবং এর জনগণকে রক্ষা করার জন্য আমরা সব রকমের ব্যবস্থা নেব। এটা কোনো ফাঁকা বুলি নয়।’
‘যারা পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে আমাদের ব্ল্যাকমেইল করতে চায়, তাদের জানা উচিত যে, পাল্টা বাতাস তাদের দিকেও যেতে পারে।’
তিনি অভিযোগ করেন, পশ্চিমা দেশগুলো প্রমাণ করেছে যে, তারা চায় না রাশিয়া আর ইউক্রেনের মধ্যে শান্তি থাকুক।
ডনবাসে যারা লড়াই করছে, তাদের আইনি স্বীকৃতি দেয়ারও তিনি ঘোষণা দিয়েছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ভ্লাদিমির পুতিন আরো বলেছেন, ইউক্রেনের যে এলাকাগুলো রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, সেখানকার বাসিন্দারা নিও-নাৎসি রাজত্বে যেতে চায় না।
সেখানে যে তথাকথিত গণভোটের আয়োজনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে, সেই প্রসঙ্গে পুতিন বলেছেন, আমরা তাদের সহায়তায় রয়েছি।
ইউক্রেনের যে এলাকাগুলো রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তারা এই সপ্তাহের মধ্যেই রাশিয়ায় যোগ দেয়া প্রশ্নে জরুরি গণভোট আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি এবং ফ্রান্স জানিয়েছে, তারা এরকম লজ্জাজনক গণভোটের ফলাফল কখনোই মেনে নেবে না।
ন্যাটো সামরিক জোট জানিয়েছে, এ ধরনের পরিকল্পনা যুদ্ধকে আরো উস্কে দেবে।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া।
সূত্র : বিবিসি