ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের ইস্তফা, কে পরবর্তী নেতা
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৭ জুলাই ২০২২, ২২:৫৯
১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের বাইরে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেষ বক্তৃতা করলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। জানালেন, প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন তিনি। তবে তার কনজারভেটিভ পার্টি যত দিন না নতুন নেতা নির্বাচিত করছে, তত দিন তিনিই তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী হিসেবেই থাকতে চান বলেও জানিয়েছেন তিনি।
নিজের ভাষণে বরিস বলেন, ‘এটা এখন আমার কাছে স্পষ্ট যে আমার এমপিরা আমাকে দল বা দেশের নেতা হিসেবে দেখতে চায় না।’
বরিস জানান, প্রধানমন্ত্রী পদে থেকে যা যা কাজ করতে পেরেছেন সে জন্য তিনি গর্বিত। নিজের সফল কাজ হিসেবে তিনি জানিয়েছেন, ব্রেক্সিট, মহামারীর সময় সরকার চালানো এবং পুতিনের রাশিয়ার ইউক্রেন হামলার পরবর্তী পরিস্থিতি সামলানোকে।
প্রসঙ্গত, বরিসকে যে সরে যেতে হবে তা ক্রমশ স্পষ্ট হয় গত কয়েক দিনে সরকারের বিভিন্ন স্তরের মন্ত্রী ও কর্মকর্তাদের লাগাতার ইস্তফার পর। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছায় যে অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনকের ইস্তফার পর যাকে সেই পদে বসানো হয়, তিনিও বরিসের ইস্তফার দাবি করতে থাকেন। সরকারের বিভিন্ন স্তরের মন্ত্রী ও কর্মকর্তাদেরকে মিলিয়ে প্রায় ৫০ জনের ইস্তফার পর শেষ পর্যন্ত পদত্যাগে সম্মত হন বরিস। এরপরেই ডাউনিং স্ট্রিটে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে অস্থায়ী পোডিয়ামে নিজের সরে যাওয়ার ঘোষণা করেন তিনি।
ব্রিটেনের পরবর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে আছেন আরো কয়েকজন। তাদের মধ্যে অন্যতম, সদ্য সাবেক অর্থমন্ত্রী তথা ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি বহুজাতিক ইনফোসিসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণমূর্তির জামাই ঋষি সুনক, সাবেক লেভেলিং আপ সেক্রেটারি মাইকেল গোভ, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমন্ত্রী পেনি মোরডন্ট, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রুস, ফরেন অ্যাফেয়ার্স চেয়ার টম টুগেনঢাট, প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস, বর্তমান অর্থমন্ত্রী নাধিন জাহাউয়ি। এ ছাড়াও সাবেক মন্ত্রী জেরেমি হান্ট ও সাজিদ জাভিদ দুজনেই আগের বার কনজারভেটিভ পার্টির নেতা হওয়ার দৌড়ে ছিলেন। তাই তারা এবারো দৌড়ে থাকতে পারেন।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা