টাওয়ার হ্যামলেটসে ফের মেয়র নির্বাচিত লুৎফুর রহমান
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৭ মে ২০২২, ০৯:৫৭
লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল নির্বাচনে আবারো মেয়র নির্বাচিত হয়ে ইতিহাস গড়লেন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত লুৎফুর রহমান। ভোট গণনা শেষে শুক্রবার, স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে ক্যানারি ওয়ার্ফের ইস্ট উইন্টার গার্ডেনে বিপুল সংখ্যক মানুষের উপস্থিতিতে সাবেক মেয়র লুৎফুর রহমানকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
বর্তমান মেয়র লেবার পার্টির জন বিগসকে প্রায় সাত হাজার ভোটের ব্যবধানে হারান। জন বিগস গত সাত বছর ধরে মেয়রের দায়িত্ব পালন করেন।
২০১০ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বাংলাদেশি অধ্যুষিত বারা কাউন্সিলে প্রথম মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।
২০১৪ সালের ভোটে তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ আদালত পর্যন্ত গড়ায় এবং তাকে মেয়র পদ থেকে সরে দাঁড়াতে হয়। এ কারণে গত পাঁচ বছর তিনি নিবার্চনে অংশ নিতে পারেননি।
এবার তার প্রাপ্ত ভোট ৪০ হাজার ৮২৪টি। তিনি ৭ হাজার ৩৯৭ ভোট বেশি পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বর্তমান লেবার দলের মেয়র জন বিগস পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৪৮৭ ভোট।
লুৎফুর রহমানের বিজয়ে লন্ডনের বাংলাদেশী কমিউনিটিতে আনন্দ বিরাজ করছে।
গত বৃহস্পতিবার (৫মে) সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে রাত ১০টায় শেষ হয়। ভোট উৎসব উপলক্ষে টাওয়ার হ্যামলেটসে বাংলাদেশীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ থাকলেও ইংলিশদের মধ্যে এটি ছিল তুলনামূলক কম।
ব্রিটেনের রাজধানী লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটস বারা ২০টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত। তিন লাখের উপরে বিভিন্ন জাতি, বর্ণের মানুষের বসবাস এ বারায়। দুই লাখ পাঁচ হাজার ভোটারের মধ্যে ৮৬ হাজার ৯ ভোট কাস্ট হয়েছে
কোনো প্রার্থী ৫১ পার্সেন্টের উপরে ভোট না পাওয়ায় দ্বিতীয় চয়েজে ভোট গণনা করা হয়। গণনার পর লুৎফুর রহমানকে বিজয়ী ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি বলেন, আমি সবার মেয়র। সকলের জন্য আমি কাজ করতে চাই। কথায় নয়,
বিজয়ী হওয়ার পর লুৎফুর বলেন, ‘জনগণ আমাকে ও আমার দলকে আরেকবার সুযোগ দিয়েছে টাওয়ার হ্যামলেটসকে এবং আমাদের ভবিষ্যতকে রিবিল্ড করতে। আমি সবার মেয়র, সবাইকে সেবা দিতে চাই। আমি বাঙালি, অবাঙালি, সাদা-কালো সকল কমিউনিটির মানুষের কাছে কৃতজ্ঞ তারা দলে দলে এসে ভোট দিয়েছেন।
‘বারার মানুষের উপর আমার সম্পূর্ণ বিশ্বাস আছে। তারা কোনটি সঠিক কোনটি ভুল তা বুঝতে পারেন। আমার বিরুদ্ধে প্রপাগান্ডার পরেও তারা আমাকে বিশ্বাস করেছেন। আমার উপর বিশ্বাস রেখেছেন।’