ব্রিটেনে ত্রাস ছড়াচ্ছে ওমিক্রন
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৯ ডিসেম্বর ২০২১, ০৮:৩৫
এক দিনে ৯৩,০৪৫ জন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হলেন ব্রিটেনে। এই নিয়ে পরপর তিন দিন রেকর্ড। অতিমারীর শুরু থেকে এ পর্যন্ত, এই সংখ্যক দৈনিক সংক্রমণ দেখেনি ব্রিটেন। বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, ঝড়ের গতিতে সংক্রমণের পাশাপাশি ডেল্টাকে সরিয়ে ওমিক্রনই হয়ে উঠছে ডমিন্যান্ট বা মূল সংক্রামক স্ট্রেন।
দেড়-দু’ দিনের মধ্যে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে বলে সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞেরা। যেমন, বৃহস্পতিবার ১৬০৯ জন ওমিক্রন আক্রান্ত ধরা পড়েছিলেন ব্রিটেনে। শুক্রবার সেটি ৩২০১ হয়ে যায়। ব্রিটেনে এই মুহূর্তে মোট ওমিক্রন সংক্রমিতের সংখ্যা ১৪৯০৯ জন। এর মধ্যে ৬৫ জন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। ওমিক্রনে মৃতের সংখ্যা এখনো ১। তবে ডেল্টায় মৃত্যু বেড়েছে।
তৃতীয় ঢেউয়ে ক্রমেই ডুবছে ব্রিটেন। তাদের পরিস্থিতি দেখে চিন্তায় আমেরিকা। এর আগেও দেখা গেছে ইউরোপের পরে সংক্রমণ ঢেউ আছড়ে পড়েছে আমেরিকায়। বিশেষজ্ঞেরা জানিয়েছেন, ডেল্টার থেকেও ৭০ শতাংশ বেশি সংক্রমণ ক্ষমতা ওমিক্রনের। প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে অবশ্য দেখা যাচ্ছে, ওমিক্রনের মারণ ক্ষমতা তেমন নেই। রোগীর বাড়াবাড়ি হচ্ছে না। দ্রুত সেরে উঠছেন সংক্রমিত ব্যক্তি। কিন্তু তাতেই এটিকে ‘নিরাপদ’ মনে করার কোনো কারণ নেই বলে জানাচ্ছে আমেরিকার স্বাস্থ্য দফতর।
করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর তালিকায় শীর্ষে রয়েছে আমেরিকা। পাঁচ কোটির উপরে সংক্রমণ। ৮ লাখের বেশি মৃত্যু। করোনার ডেল্টা স্ট্রেনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এই দেশ। ফলে নতুন স্ট্রেনটিকে নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছে আমেরিকা প্রশাসন। ‘সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’ (সিডিসি)-র ডিরেক্টর রোশেল ওয়ালেনস্কি বলেন, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ডেল্টাকে সরিয়ে ওমিক্রন ডমিন্যান্ট স্ট্রেনে পরিণত হবে। বিশেষজ্ঞদের কথায়, ‘পরিস্থিতি মোটেই সুবিধাজনক নেই।’ ‘জর্জ ওয়াশিংটন স্কুল অব মেডিসিন অ্যান্ড হেল্থ সায়েন্স’-এর জনাথন রেনার বলেন, ‘আগের স্ট্রেনগুলের চেয়ে যদি এটিকে কম ক্ষতিকারক বলে ধরে নেয়া হয়, তাতেও এক-দু’ দিন ৫ লাখ মানুষ একসাথে সংক্রমিত হলে হাসপাতালে রোগীর জায়গা হবে না।’
‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটস অব হেল্থ’-এর ডিরেক্টর ফ্রান্সিস কলিনস জানিয়েছেন, এত তাড়াতাড়ি ওমিক্রনকে হালকাভাবে নেয়া উচিত নয়। আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস জানিয়েছেন, জো বাইডেনের প্রশাসন সত্যিই নতুন বিপদের আঁচ পায়নি। ডেল্টার সময়েও একই ভুল হয়েছিল।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা