২ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকার বিটকয়েন ভর্তি হার্ড ডিস্ক ছুঁড়ে ফেলেছেন তিনি
- ২৮ জানুয়ারি ২০২১, ০৭:৩৫
এমন সৌভাগ্য পায়ে ঠেলেছেন! তাও আবার নয় নয় করে প্রায় দুই হাজার হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা। আর আট বছর পর বিটকয়েনরূপী সেই সৌভাগ্যকে ফিরে পেতে হন্যে হয়ে ঘুরছেন ব্রিটিশ যুবক। দ্বারস্থ হয়েছেন নিউপোর্ট সিটি কাউন্সিলের। কিন্তু, কোনো সুরাহা হচ্ছে না। ফলে রাতের ঘুম উধাও জেমস হাউওয়েলসের।
ওয়েলসের অন্তর্গত নিউপোর্টের বাসিন্দা বছর পঁয়ত্রিশের এই তথ্যপ্রযুক্তি ইঞ্জিনিয়ার। ২০০৯ সালে তিনি ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনিং শুরু করেন। এই পদ্ধতিতে কোনো লগ্নি না করেই সাড়ে ৭ হাজার বিটকয়েন আয় করতেও সক্ষম হন জেমস। নিজের হার্ড ডিস্কে তা সঞ্চয় করে রাখেন। কিন্তু, বিধি বাম! ২০১৩ সালে অফিস পরিষ্কারের সময় একটি বাতিল হার্ড ড্রাইভ ফেলতে গিয়ে ভুলবশত ওই যুবক ভার্চুয়াল কারেন্সির ডিস্কটিই ফেলে দেন । এখন তা নিয়ে হাত কামড়াচ্ছেন তিনি।
আজ থেকে ১২ বছর আগে জেমস যখন ওই বিপুল বিটকয়েন মাইনিং করেছিলেন, তখন তার তেমন কোনো মূল্য ছিল না। কিন্তু, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভার্চুয়াল অর্থের দাম ৪০০ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে এক বিটকয়েনের দাম প্রায় ৩৬ হাজার ডলার। অর্থাৎ, একসময়ে জেমসের হাতে থাকা সেই বিটকয়েনের বর্তমান বাজারদর ২৮০ মিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ২ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা। এই হিসেব দেখেই মাথা ঘুরে গিয়েছে ‘হতভাগ্য’ যুবকের। আট বছর আগে নর্দমায় ফেলে দেয়া হার্ড ডিস্ক খুঁজে দিতে এখন নিউপোর্ট সিটি কাউন্সিলের কাছে আর্জি জানিয়েছেন তিনি। তরুণ ইঞ্জিনিয়ার মনে করেন, ডিস্কের যে ম্যাগনেটিক ফিল্ডে তথ্য সঞ্চয় থাকে, তার কোনো ক্ষতি হয়নি। ডেটা পুনরুদ্ধারের কাজে যুক্ত ইঞ্জিনিয়াররা তা থেকে সহজেই তথ্য উদ্ধার করে দিতে পারবেন।
যদিও, জেমসকে সেই হার্ড ডিস্ক খুঁজে দিতে অস্বীকার করেছে নিউপোর্ট সিটি কাউন্সিল। বার বার আবেদন জানানো সত্ত্বেও সাড়া মেলেনি। কাউন্সিলের এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘আমাদের হাতে যে লাইসেন্স রয়েছে, তাতে নর্দমা পরিষ্কার করা সম্ভব নয়। তাছাড়া, বিপুল এলাকা খোঁড়াখুড়ি করা হলে আশপাশে পরিবেশের উপর ব্যাপক প্রভাব পড়বে। পরিষ্কারের পর বর্জ্য অন্যত্র ফেলতে কোটি কোটি অর্থ ব্যয় হবে। তার পরেও হার্ড ডিস্ক পাওয়া যাবে কি না, তার কী গ্যারান্টি রয়েছে?’
জেমস অবশ্য নাছোড়। হার্ড ডিস্ক পেতে শেষ চেষ্টা হিসেবে ‘প্ল্যান-বি’ ভেবে রেখেছেন তিনি। কথাবার্তা চালাচ্ছেন নিউপোর্ট সিটি কাউন্সিলের কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে। জেমসের কথায়, ‘আমি পুরনো কিছু গচ্ছিত অর্থ খুঁজে পেয়েছি। হার্ড ডিস্ক খুঁজতে ওই টাকা কাউন্সিলকে দিতে চাই।
বিটকয়েন এক ধরনের ‘ভার্চুয়াল কারেন্সি’ বা ডিজিটাল মুদ্রা। এটি সাঙ্কেতিক রূপে থাকে, দেখা যায় না এবং অত্যন্ত নিরাপদ বলে এর নাম ‘ক্রিপ্টোকারেন্সি’। অনলাইন ওয়ালেটে এটি জমিয়ে রাখা যায়। সাধারণ মুদ্রার মতো বিটকয়েন দিয়ে কেনাকাটা করা সম্ভব।
সূত্র : বর্তমান
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা