২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

জনসনের মৃত্যু কামনা করে দু'জন বহিস্কার

জনসনের মৃত্যু কামনা করে দু'জন বহিস্কার - সংগৃহীত

করোনায় আক্রান্ত ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর জন্য সারা বিশ্বের মানুষ সহানুভুতি প্রকাশ করলেও নিজ দেশে সমালোচনায় মুখর তিনি। আর প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সমালোচনা করে সংগঠন থেকে বহিষ্কার ও চাকরি হারিয়েছেন দুই ব্যক্তি। দুই দিনের ব্যবধানে বহিষ্কার হওয়া দু'জনের একজন হেনর শহরের লেবার পার্টির মেয়র কাউন্সিলর সেইলা ওয়াকেস এবং অপরজন পরিবহন কর্মচারী ইউনিয়নের সেক্রেটারি স্টিভ হেডলি। উভয়ই প্রধানমন্ত্রীর অসুস্থতায় খুশি হয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন।

ডারবিশায়ারের হেনর শহরের মেয়র ও স্থানীয় ভিএইচএস ফ্লেতচের্স সলিসিটর্সের প্যারালিগাল অফিসার সেইলা ওয়াকেস। গত সোমবার রাতে তার ফেসবুকে তিনি প্রধানমন্ত্রীর অসুস্থতার বিষয়ে একটি পোস্ট দেন। সেখানে তিনি লিখেন, অসুস্থতা বরিসের জন্য প্রাপ্য এবং তিনি এযাবত কালের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ প্রধানমন্ত্রী। এই পোস্টের পর লেবার পার্টিসহ সরকারের বিভিন্ন মানুষের নজরে আসে বিষয়টি। পরের দিন তিনি তার পোস্টের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বিবিসিকে বলেন, আমি ভাবতে পরিনি মানুষ আমার পোস্টের কথার কারণে কষ্ট পাবে। ওয়াকেস প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তার কমেন্টের জন্য ক্ষমা চেয়ে তাকে মাফও করে দিতে অনুরোধ করেন। তবে এর মধ্যে দেরি হয়ে গেছে। তার কাজের জন্য লেবার পার্র্টি তাকে বহিষ্কার করে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনৈতিক সমালোচনা করায় তার কর্মস্থল ভিএইচএস ফ্লেতচের্স সলিসিটর্স থেকেও তাকে প্রত্যাহার করা হয়।

লেবার পার্টি জানিয়েছে, ওয়াকেস কী কারণে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এমন অনৈতিক সমালোচনা করলেন তা তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে তার বিরুদ্ধে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আর কাউন্সিলর হিসেবে তিনি বছরের বাকি সময়ের জন্য কাজ করতে পারবেন। তবে ওই কাউন্সিলে পরে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন কিনা তা এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি স্থানীয় লেবার পার্টি।

এদিকে ব্রিটেনের রেল, জলপথ ও স্থলপথে চলাচলকারী পরিবহন কর্মচারীদের ইউনিয়ন ন্যাশনাল ইউনিয়ন অব রেল, মেরিটাইম এন্ড ট্রান্সপোর্টের ( আরএমটি) এসিস্টেন্ট সেক্রেটারি ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যু কামনা করে স্ট্যাটাস দেন। স্টিভ হেডলি নামে ওই ব্যক্তি গত সপ্তাহের শুরুতে তিনি বরিস জনসনের অসুস্থতার খবর শুনে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। সেখানে তিনি লিখেন, আমি কুমিরের মতো ওইসব মানুষের জন্য মায়া কান্না করবো না। যারা শ্রমজীবী ও অসহায়দের মৃত্যু জন্য কিছুই করছে না। আর বরিস মারা গেলে আমি সবার জন্য একটি পার্টি দিবো। একই সাথে তিনি লিখেন, আমি আশা করি সরকারের বর্তমান মন্ত্রিসভা এবং টোরি পার্টির নীতিনির্ধারকরা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হোক।

স্টিভ হেডলির মন্তব্যের পর আরএমটির প্রেসিডেন্ট মাইকেল রডগার্স এবং জেনারেল সেক্রেটারি মিক ক্যাশ স্টিভের কর্মকান্ডের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বিবৃতি দেন। বিবৃতিতে তারা বলেন, স্টিভ যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলেছে তা তার নিতান্তই ব্যক্তিগত বিষয়। অগ্রহণযোগ্য ওই বিষয়ের সাথে ট্রেড ইউনিয়ন কখনোই একমত পোষণ করে না। তারা স্টিভকে তার পদ থেকে বহিষ্কার ঘোষণা দেন সে সময়।

পরে ইউনিয়নের এক মুখপাত্র জানান, আরএমটির ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ মিটিংয়ে স্টিভকে বহিস্কারসহ তার বিরুদ্ধে তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া। যা শিগগিরই কার্যকর হবে। আর স্টিভের বিষয়ে তদন্ত শেষে তার বিরুদ্ধে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
ডেঙ্গুতে আরো ৪ মৃত্যু, হাসপাতালে ৮৮৮ এক দিনের রিমান্ডে সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ ‘শহীদদের আত্মত্যাগের সাথে বেঈমানি জাতি সহ্য করবে না’ ঢাকার কয়েকটি কলেজ ও চট্টগ্রামের আদালতে করা নৈরাজ্য একই সূত্রে গাঁথা : শিবির সভাপতি শ্রীনগরে নিখোঁজের ৩ দিন পর প্রবাসীর লাশ উদ্ধার রাঙ্গামাটি ও ঠাকুরগাঁওয়ে নতুন ডিসি ইসকন নিষিদ্ধে ১০ আইনজীবীর লিগ্যাল নোটিশ তিন ঘণ্টা পর আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে যাত্রী পারাপার শুরু রাষ্ট্র পরিগঠন করলেই কেবল আলিফের শাহাদাত অর্থবহ হয়ে উঠবে : মাহফুজ আলম ফেনীতে বিডিআর সদস্যদের মুক্তি ও পুনরায় চাকরির দাবিতে মানববন্ধন বিএনপির প্রতিনিধি দল যমুনায়

সকল