ব্রিটেনে টিউলিপকে মন্ত্রীপরিষদ থেকে অপসারণের আহ্বান
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০:০৯, আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০:২১
বাংলাদেশের রূপপুর পরমাণু কেন্দ্র এবং এ সংক্রান্ত দুর্নীতিতে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ ওঠায় চাপে পড়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি এবং ব্রিটিশ এমপি ও ট্রেজারি সিটি মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিক। ব্রিটেনে ক্ষমতাসীন লেবার পার্টি ইতোমধ্যে মন্ত্রিসভা থেকে টিউলিপকে অপসারণ করার আহ্বান জানিয়েছে।
রোববার লেবার পার্টির অভ্যন্তরীণ আইন পরিস্থিতিবিষয়ক মুখপাত্র ম্যাট ভিকার্স ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ডেইলি মেইলকে বলেছেন, ‘যেহেতু টিউলিপের ব্যক্তিগত লেনদেন সম্পর্কিত কোনো প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাচ্ছে না, প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারকে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে টিউলিপকে অবিলম্বে সকল নিষেধাজ্ঞা ও দুর্নীতিবিরোধী নীতিগত সিদ্ধান্ত থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।’
ব্রিটেনের ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প থেকে নিজ পরিবারের সদস্যদের চার বিলিয়ন পাউন্ড আত্মসাতে সহায়তা করেছেন বলে অভিযোগ তুলেছে বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ বিষয়ে তদন্তও শুরু করেছে তারা। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে কাজ করেছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি রোসাটাম (রাশিয়ান ফেডারেশন স্টেট অ্যাটমিক এনার্জি করপোরেশন)।
ডেইলি মেইল বলছে, ফাইন্যান্সিয়াল স্যাংকশন ইমপ্লিমেন্টেশনের (আর্থিক নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন কার্যালয়) দায়িত্বে রয়েছেন টিউলিপ সিদ্দিক।
দুদক বলছে, ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত আর্থিক দুর্নীতির সাথে টিউলিপের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় তার খালা শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছেন। আগস্টে শত শত মানুষ নিহত হওয়ার পর শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের তোপে শেখ রেহানাকে নিয়ে ভারতে পালিয়ে যান হাসিনা। বাংলাদেশের হাইকোর্টে অভিযোগ উঠেছে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ১০ বিলিয়ন পাউন্ড সরাতে মধ্যস্থতা করেছিলেন টিউলিপ। ২০১৩ সালে ক্রেমলিনে টিউলিপের উপস্থিতিতে ওই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন হাসিনা ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
শেখ রেহানার বিরুদ্ধেও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তদন্ত করছে দুদক। হাসিনা এবং তার বোনের বিরুদ্ধে ৩.৯ বিলিয়ন পাউন্ড অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন ভুয়া কোম্পানির নামে এসব অর্থ মালয়েশিয়াতে পাচার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ডেইলি মেইল।
সম্প্রতি টিউলিপ এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ভিন্ন আটটি প্রকল্প থেকে ১.৪ বিলিয়ন পাউন্ড আত্মসাতের অভিযোগে তদন্তে নেমেছে দুদক। যদিও এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন টিউলিপ সিদ্দিক। তার দল লেবার পার্টির সদস্যরা বলছেন, ওই অভিযোগের ভিত্তিতে এখনো কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। অভিযোগকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে ব্যাখ্যা করেছেন তারা।
বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে টিউলিপ সিদ্দিক এবং তার পরিবারের আরো চারজনের অফশোর ব্যাংক অ্যাকাউন্টের নথি এবং রেকর্ড সরবরাহ করার নির্দেশ দিয়েছে দুদক। এখন টিউলিপকে ফাইন্যান্সিয়াল স্যাংকশন ইমপ্লিমেন্টেশনের দায়িত্ব থেকে সরানো হবে কিনা, সে বিষয়ে জানতে চাইলে মন্তব্য করতে রাজি হননি সংশ্লিষ্টরা।
সূত্র : ডেইলি মেইল
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা