২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

তুরস্কে সর্বশেষ ভূমিকম্প : নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬

আহত একজনকে ধংসস্তুপ থেকে বের করে নিয়ে আসছে উদ্ধারকর্মীরা - ছবি - আল জাজিরা

তুরস্কে নতুন ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ছয়জনে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয় সময় সোমবার তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্ত অঞ্চলে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এতে আহত হয়েছে দুই শতাধিক।

এর আগে গত ৬ ফেব্রুয়ারির ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় ৪৭ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। শত শত বাড়িঘর ধসে পড়েছে। লাখ লাখ মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে। এই ভূমিকম্পে দুই দেশে যেসব ভবন দুর্বল হয়ে পড়েছিল, সেগুলো সোমবারের ভূমিকম্পের ধসে পড়েছে।

ধ্বংসস্তুপের নিচে অনেকে আটকা পড়েছে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে। তাদের উদ্ধার করতে আবারো তল্লাশি অভিযান শুরু করেছেন উদ্ধারকর্মীরা।

দেশটির দক্ষিণ-পূর্বে সিরিয়ার সাথে সীমান্ত এলাকায় ছয় দশমিক চার মাত্রার এবং পাঁচ দশমিক আট মাত্রার এই ভূমিকম্প দুটি অনুভূত হয়।

তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থা বিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সোমবার রাত ৮টা চার মিনিটে ছয় দশমিক চার মাত্রার ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এর তিন মিনিট পর আঘাত হানে পাঁচ দশমিক আট মাত্রার ভূমিকম্পটি।

দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেমান সোলু বলেন, আনতাকিয়া, দেফনে এবং সামানবাগে তিনজন মারা গেছে। তিনি ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনায় প্রবেশ না করতে জনগণকে আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, এ পর্যন্ত ২১৩ জন মানুষ আহত হয়েছে।

বিভিন্ন প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে যে, আনতাকিয়া শহরের রাস্তায় রাস্তায় ভীতি এবং উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে।

অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে উদ্ধারকর্মীরা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন, যেখানে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলোর দেয়াল ধসে পড়েছে।

বার্তা সংস্থা এএফপিকে ১৮ বছর বয়সী আলি মাজলুম বলেন, নতুন ভূমিকম্পটি যখন হয় তখনো তিনি আগের ভূমিকম্পে মারা যাওয়া পরিবারের সদস্যদের লাশ খুঁজে বেড়াচ্ছিলেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা বুঝতে পারছিলাম না কী করব...আমরা একে অন্যের হাত ধরে ছিলাম আর চোখের সামনে দেয়াল ধসে পড়তে শুরু করে।’

সিরিয়ায় সোমবারের ভূমিকম্পের পর প্রায় ৪৭০ জন মানুষ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এই ভূমিকম্প মিসর এবং লেবাননেও অনুভূত হয়েছে।

সূত্র : রয়টার্স ও বিবিসি


আরো সংবাদ



premium cement