১২৮ ঘণ্টা পর উদ্ধার হলো দু’মাসের শিশু
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১১:৫৩
১২৮ ঘণ্টা পর তুরস্কে ভূমিকম্পের ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে উদ্ধার করা হলো এক শিশুকে। দু’মাস বয়সী ওই শিশু টানা ১২৮ ঘণ্টা ধ্বংসস্তূপের নিচেই চাপা পড়ে ছিল। সে বেঁচে থাকবে, আশা করেননি কেউ। কিন্তু এত মৃত্যুর মাঝে যেন সজোরে প্রাণের ঘোষণা করেছে শিশুটি। জীবিত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা গেছে। ধ্বংসস্তূপ সরাতেই শিশুর কান্নার শব্দ পেয়ে আনন্দে হাততালি দিয়ে উঠেছেন উদ্ধারকারী দল।
শনিবার তুরস্কের হাতায় প্রদেশে বাড়িঘরের ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে দু’মাসের ওই শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে উদ্ধারের সময় চারপাশে ভিড় জমে গিয়েছিল। উৎসাহী জনতা শিশুটিকে জীবিত দেখে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে।
গত সোমবার সকালে তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল তুরস্ক এবং সিরিয়া। তার পর অন্তত ১০০ বার জোরালো আফটার শকে কাঁপে দুই দেশের মাটি।
পরিসংখ্যান বলছে, ভূমিকম্পে সিরিয়া এবং তুরস্কে নিহতের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে তা আরো বাড়তে পারে। দেশের নানা প্রান্তে ভেঙে পড়েছে অন্তত ছয় হাজার বাড়ি। তার ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো অনেক লাশ চাপা পড়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ভূমিকম্পের পাঁচ দিন পরেও চলছে উদ্ধারকাজ।
তুরস্ক এবং সিরিয়ায় প্রবল শীতে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। তবে বিধ্বস্ত দেশ থেকে মাঝেমধ্যেই এমন আশ্চর্য খবর প্রকাশ্যে আসছে।
তুরস্কের সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে এখনো পর্যন্ত এক দু’বছরের শিশুকন্যা, এক গর্ভবতী নারী এবং এক ৭০ বছর বয়সী বৃদ্ধাকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা গেছে।
সিরিয়া, তুরস্কের এই ভূমিকম্পকে শতাব্দীর সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক ও প্রাণঘাতী বলে মনে করছেন কেউ কেউ। বলা হচ্ছে, আগামী কয়েক দিনে এই ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়ে যেতে পারে ৫০ হাজার। ২০০৩ সালে ইরানে ভূমিকম্পে নিহত হয়েছিলেন ৩১ হাজার মানুষ। অনেকের মতে, ওই নজিরও ভেঙে দিতে চলেছে তুরস্ক এবং সিরিয়া।
সূত্র : আনন্দবাজার
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা