ত্রাণের অভাবে চরম সঙ্কটে উত্তর সিরিয়ার ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৯:০২
উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ার বিদ্রোহী-নিয়ন্ত্রিত এলাকায় কাজ করছে এমন একটি বেসামরিক ত্রাণ সংস্থা হোয়াইট হেলমেট-এর প্রধান জাতিসঙ্ঘের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন, ভূমিকম্পের পর জাতিসঙ্ঘের পদক্ষেপ ছিল খুবই বাজে।
রায়েদ আল-সালেহ বলছেন, জাতিসঙ্ঘ নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে না।
বৃহস্পতিবার জাতিসঙ্ঘের প্রথম ত্রাণবাহী গাড়িবহর তুরস্ক থেকে সীমান্ত অতিক্রম করে ওই অঞ্চলে প্রবেশ করে।
তবে হোয়াইট হেলমেট বলছে, ওই রসদপত্র ভূমিকম্পের আগে সেখানে পাঠানোর পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু উদ্ধার অভিযান চালানোর জন্য জরুরি রসদপত্র তাতে ছিল না।
ইডলিব থেকে ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে জেনেভায় জাতিসঙ্ঘের প্রতিনিধিদের সাথে কথা বলার সময় আল-সালেহ বলেন, ভূমিকম্পের ১০০ ঘণ্টা পর যে ত্রাণ বহর উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় পৌঁছেছে, তাতে ছিল মাত্র ছয় ট্রাকভর্তি সাহায্য সামগ্রী। এগুলো ভূমিকম্পের আগেই সেখানে যাওয়ার কথা ছিল।
তুরস্ক থেকে সিরিয়া পর্যন্ত স্থল সীমান্তের ক্রসিংগুলো রাশিয়ার পীড়াপীড়িতে কমিয়ে আনা হয়েছে। যার ফলে বিরোধীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা সিরীয় ভূখণ্ডের কিছু অংশে জাতিসঙ্ঘের মানবিক ত্রাণ বিতরণ এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
রাশিয়া বলেছে, সাহায্য সামগ্রীগুলো দামেস্কের সরকারের মাধ্যমে যাওয়া উচিত। কিন্তু হোয়াইট হেলমেট শুক্রবার দাবি করেছে যে ভূমিকম্পের পর সিরিয়ার সরকার উত্তর সিরিয়ায় ‘কিছুই’ পাঠায়নি।
আল-সালেহ আরো কিছু মানবিক করিডোর খোলার জন্য জাতিসঙ্ঘকে পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু তারা "রাশিয়াকে রাগাতে চায়নি" বলে তিনি বলেন।
জাতিসঙ্ঘের কর্মকর্তারা অবশ্যই আল-সালেহ’র এই ব্যাখ্যা মেনে নেবেন না।
জাতিসঙ্ঘের জরুরি ত্রাণ সংস্থার প্রধান মার্টিন গ্রিফিথস এ সপ্তাহান্তে উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় যাচ্ছেন।
তবে এই সফরের সময় তিনি হোয়াইট হেলমেট কর্মীদের সাথে দেখা করবেন কিনা, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
ভূমিকম্প আঘাত হানার পর চার দিন পার হয়েছে। সাহায্যের অভাবে উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ার পরিস্থিতি মরিয়া হয়ে উঠেছে বলে বিবিসি সংবাদদাতারা জানাচ্ছেন।
উত্তর সিরিয়ার একটি হাসপাতালের কর্মরত ডাক্তার মোহাম্মাদ হাসাউন বিবিসিকে জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের পর এখন তাদের কাছে যে চিকিৎসা সামগ্রী রয়েছে, তা দেশের উত্তরাঞ্চলের ২০% মানুষের চাহিদাও পূরণ হবে না।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স খবর দিচ্ছে, জাতিসঙ্ঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি ডব্লিউএফপি শুক্রবার জানিয়েছে যে উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায়, যেখানে ৯০% মানুষ সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল, সেখানে খাদ্যের মজুদ দ্রুত ফুরিয়ে আসছে।
সূত্র : বিবিসি
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা