২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত সিরিয়া-তুরস্কের পাশে যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনিরা

বৃহস্পতিবার ভোরে রামাল্লা থেকে সাহায্যকারী দলটি সিরিয়া ও তুরস্কের উদ্দেশে রওনা হয় - ছবি : সংগৃহীত

ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত সিরিয়া ও তুরস্কে উদ্ধারকাজ ও সহযোগিতার জন্য যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিন থেকে ৭৩ সদস্যের একটি বিশেষ দল রওনা হয়েছে।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ভোরে রামাল্লা থেকে দলটি রওনা হয়। এ দলে চিকিৎসক, বেসামরিক প্রতিরক্ষা কর্মী, সাংবাদিক ও প্যালেস্টাইন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির স্বাস্থ্যকর্মীরা রয়েছেন।

দলটিকে বিদায় দেয়ার সময় ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ মালিকি এ বিষয়ে বলেন, ‘ভ্রাতৃপ্রতিম দুই দেশ তুরস্ক ও সিরিয়ায় ক্ষতিগ্রস্তদের সাধ্যমতো সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে ফিলিস্তিন।’

আলজাজিরায় জানায়, দলটি একসাথে রওনা করলেও জর্ডানের কারামা ক্রসিং অতিক্রমের পর দুই দলে বিভক্ত হবে। এরপর একটি দল যাবে তুরস্কের ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে আরেকটি সিরিয়ায়।

এদিকে, এখন পর্যন্ত তুরস্ক ও সিরিয়ায় সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভোররাতে হওয়া ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ১৯ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, তার দেশে নিহতের সংখ্যা ১৬ হাজার ১৭০ জন। আর আহত হয়েছেন ৬৩ হাজার।

এছাড়া ৬ হাজার ৪০০টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও জানান তিনি।

অপরদিকে, সিরিয়ায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩ হাজার ১৬২ জন।

ফলে দুই দেশে ওই ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৯ হাজার ৩৩২ জন।

স্থানীয় সময় সোমবার ভোর রাত ৪টা ১৭ মিনিটে ৭.৮ মাত্রার এ ভূমিকম্প অনুভূত হয় দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্ক ও পার্শ্ববর্তী সিরিয়ার সীমান্ত এলাকায়।

এ ভূমিকম্পের পর আরো ছয়টি কম্পন অনুভূত হয়েছে বলে জানিয়েছে তুর্কি কর্তৃপক্ষ।

তবে বড় ঝাঁকুনির প্রায় ১২ ঘণ্টা পর আরো একটি শক্তিশালী (৭.৫ মাত্রার) ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।

তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেইমান সোইলু জানিয়েছেন, তার দেশের ১০টি শহর ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে হাতেয়, ওসমানিয়া, আদিয়ামান, মালাত্য, সানলিউরফা, আদানা, দিয়ারবাকি ও কিলিস।

সূত্র : আলজাজিরা ও আনাদোলু এজেন্সি


আরো সংবাদ



premium cement