সিরিয়ায় ভূমিকম্প : মৃত মায়ের নাড়ির সাথে লেগে থাকা শিশু উদ্ধার
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২১:১৩
তুরস্ক ও সিরিয়ার ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর ধ্বংসস্তুপের নিচ থেকে একে একে হৃদয়বিদারক ঘটনা সামনে আসছে। অনেক পরিবারের সব সদস্যই মারা গেছে। আবার কোনো কোনো পরিবারের মাত্র একজন বেঁচে আছে। এর মধ্যে সিরিয়ায় সদ্যজাত একটি শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারের সময় মায়ের নাড়ির সাথে সে যুক্ত ছিল। শিশুটির মা তখন মৃত। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর সিরিয়ায়।
বিশাল এক পরিবার শিশুটির আগমনের অপেক্ষা করছিল। কিন্তু এমন এক সময় সে দুনিয়ায় এলো, যখন দুর্বিসহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। ওই পরিবারের সদস্যরাই ধ্বংসস্তুপের মধ্য থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে।
সিরিয়ার বিদ্রোহী-নিয়ন্ত্রিত জিনদারিস শহরে শিশুটির এক স্বজন খালিল আল-সুবাইদি জানান, শিশুটির মা-বাবাসহ মূল পরিবারের সব সদস্য ভূমিকম্পে মারা গেছে। এখন ওই মূল পরিবারটিতে কেবল সেই একমাত্র জীবিত সদস্য।
তিনি মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, 'ধ্বংসস্তুপ খুঁড়ে পরিষ্কার করার সময় আমরা একটি শব্দ শুনতে পাই।
তিনি বলেন, 'আমরা ধূলা সরিয়ে গর্ভ-নাড়ির সাথে সংযুক্ত শিশুটিকে দেখতে পাই। আমরা নাড়ি কেটে নেই। এরপর আমার কাজিন মেয়েশিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।'
সূত্র : আল জাজিরা
তুরস্কে ভূমিকম্প : ছোট্ট ভাইকে রক্ষা করল ৭ বছরের মেয়ে
তুরস্কে ভূমিকম্পের ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়া ছোট্ট ভাইকে রক্ষা করার বোনের একটি চেষ্টার ছবি সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। সবাই আবেগাপ্লুতভাবে সাত বছরের মেয়েটির সাহসিকতার প্রশংসা করছে। ধ্বংসস্তুপের মধ্যে তারা ১৭ ঘণ্টা ছিল। পরে তাদেরকে নিরাপদে বের করা হয়।
তবে ছবিটি তেমনভাবে শেয়ার না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জাতিসঙ্ঘ প্রতিনিধি মোহাম্মদ সাফা। তিনি বলেছেন, মেয়েটি যদি মারা যেত, তবে সবাই ছবিটি শেয়ার করত। তিনি নেতিবাচক নয়, ভালো বিষয়কে শেয়ার করার আহ্বান জানিয়েছেন। তার এই আহ্বান কাজে লেগেছে। অনেককেই এ নিয়ে ইতিবাচক মন্তব্য করতে দেখা গেছে।
মোহাম্মদ সাফা টুইটারে ছবিটি শেয়ার করে লিখেছেন :
'সাত বছরের মেয়েটি তার ছোট্ট ভাইকে রক্ষা করার জন্য তার মাথায় হাত দিয়ে রেখেছিল। ১৭ ঘণ্টা তারা ধ্বংসস্তুপের নিচে ছিল। তারপর তাদের নিরাপদে বের করে আনা হয়। কাউকে ছবিটি শেয়ার করতে দেখছি না। মেয়েটি যদি মারা যেত, তবে সবাই শেয়ার করত! ভালো কিছু শেয়ার করুন।...'
তার এই টুইটের পর নেটিজেনরা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ে, অনেকেই কঠিন পরিস্থিতিতে সহানুভূতিপূর্ণ থাকার জন্য মেয়েটির প্রশংসা করেছেন। একজন বলেছেন, 'অলৌকিক ঘটনা ঘটেছে। সত্যিই সে বড় বোন। এমন কঠিন পরিস্থিতিতেতে দরদময় সুরক্ষা দিয়েছে। আটকা পড়া সবার জন্য ভালো কিছু আশা করছি। ক্লান্তিহীনভাবে যেসব উদ্ধারকারী কাজ করছেন, তাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করছি।'
আরেকজন লিখেছেন, 'আল্লাহ তার প্রতি রহম করুন। শিশুটির ভালোবাসা ও প্রয়াস আমাকে কাঁদিয়েছে।'
আরেকজন লিখেছেন, 'ওহ! মেয়েটি একজন ছোট্ট বীর!'
তুরস্কের ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এখনো উদ্ধারকাজ চলছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা