তুরস্কে কেন এত ভয়ঙ্কর ভূমিকম্প হয়!
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৬:২৭
তুরস্ক ও সিরিয়ায় সোমবার যে ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে, তা দু'দেশের একটা বড় অংশকে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। তুরস্কে ৮৪ বছর পর আবার ভূমিকম্প ঘিরে এক ভয়াবহ অধ্যায় উঠে আসছে। শেষবার ১৯৩৯ সালে এক ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল তুরস্ক।
তুরস্কে সোমবার যে ভূমিকম্পটি আঘাত হেনেছে, তার কম্পনের মাত্র ৭.৮। ঠিক একইভাবে ৮৪ বছর আগে ১৯৩৯ সালে তুরস্কে এক ভয়াবহ ভূমিকম্পের কম্পনের মাত্রাও ছিল ৭.৮। ডিসেম্বরের ওই ভূমিকম্প প্রাণ কাড়ে ৩০ হাজার মানুষের। লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের গবেষক স্টিফেন হিকস এই তথ্য জানিয়েছে টুইট করেছেন।
তুরস্কে ভূগর্ভস্থ প্লেটগুলোর মধ্যকার সংঘর্ষের আশঙ্কা সবসময়ই থাকে। বলা হচ্ছে, তুরস্কের অবস্থান তিনটি বড় টেকটোনিক প্লেটের মধ্যস্থলে। ফলে দেশটিতে ভূমিকম্পের ঝুঁকি থাকে সবচেয়ে বেশি। প্লেট তিনটি হচ্ছে : আফ্রিকান, আরাবিয়ান ও ইউরেসিয়ান প্লেট। আরাবিয়াব, আফ্রিকান প্লেটের সাথে ইউরেসিয়ান প্লেটের সংঘর্ষে ভূমিকম্পগুলো হয়ে থাকে। তুরস্কের ভূমিকম্প ঘিরে আন্তোলিয়ান ফল্ট লাইনের প্রসঙ্গও আলোচনায় আসছে। উল্লেখ্য, উত্তর আন্টোলিয়ান ফল্ট, দেশকে পশ্চিম থেকে পূর্বে জুড়ে রেখেছে, আর পূর্ব আন্তোলিয়ান ফল্ট দেশের দক্ষিণ পূর্ব অংশে রয়েছে। উল্লেখ্য, ৬ ফেব্রুয়ারির ভূমিকম্প তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্ব অংশে ঘটেছে।
প্লেটসংস্থান সম্পর্কিত এই ফল্টলাইন বরাবর তুরস্কে যে ভূমিকম্পগুলো ঘটেছে, তার প্রথমেই রয়েছে ২০২০ সালের অক্টোবরে তুরস্ক উপকূলের কাছে সামোসে ভূমিকম্প। গ্রিক দ্বীপের কাছে এই ভূমিকম্পের ফলে ২৪ জনের মৃত্যুর খবর আসে। এরপর রয়েছে, একই বছরের জানুয়ারির ভূমিকম্প, যা পূর্ব তুরস্কে হয়। কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৭।
এছাড়াও ২০১১ সালে পূর্ব তুরস্কে ১৩৮ জনের প্রাণ কাড়ে ৭.২ কম্পনের মাত্রা নিয়ে আসা ভূমিকম্প। ২০১০ সালের মার্চে ৬.০ কম্পনের মাত্রায় ফের পূর্ব তুরস্কে আসে ভূমিকম্প। মৃত্যু হয় ৫১ জনের। তবে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ছিল ১৯৯৯ সালে পশ্চিম তুরস্কের ইজমিতে ঘটে যাওয়া ভূমিকম্প। এর ফলে ১৭ হাজার মানুষ প্রাণ হারান।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা