বিখ্যাত সুফি মাওলানা রুমির ৭৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকীতে কোনিয়ায় নানা আয়োজন
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৫ ডিসেম্বর ২০২২, ১৫:২০, আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২২, ১৫:২২
বিখ্যাত সুফি, দার্শনিক ও কবি মাওলানা জালালুদ্দিন রুমির ৭৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তার সমাধিস্থল তুরস্কের কোনিয়ায় নানা জমকালো আয়োজনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ উপলক্ষে ১০ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হলো- ‘দরবেশ’দের (রুমির অনুসারীদের দরবেশ আখ্যায়িত করা হয়) বিভিন্নরকম প্রদর্শনী ও পারফরম্যান্স। মাওলানার মৃত্যুবার্ষিকী অনুষ্ঠান এতটাই জনপ্রিয় যে, তা দেখতে এবং উদযাপন করতে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে প্রতি বছর বিপুলসংখ্যক দর্শনার্থী কোনিয়ায় আগমন করেন।
বিখ্যাত আলেম তপস্বী কবি মাওলানা জালালুদ্দিন রুমির মৃত্যুদিন হলো- ১৭ ডিসেম্বর। এ দিনকে কেন্দ্র করে প্রতি বছর ১০ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়। ৭ ডিসেম্বর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এটি শুরু হয়।
এরই মধ্যে তার ৭৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকীতে কোনিয়ায় তার সমাধিস্থলে একের পর এক এসে জড়ো হচ্ছেন তার ভক্তকুল ও পর্যটকবৃন্দ৷
মাওলানা রুমির মতবাদে মৃত্যু হলো- বিশ্বাসীদের ‘বাসররাত’ (শবে আরুস), মৃত্যু যেহেতু স্রষ্টার সাথে বান্দার মিলিত হবার অভূতপূর্ব মাধ্যম, তাই ‘দরবেশ’রা এটিকে ‘শবে আরুস’ আখ্যায়িত করে। তার মৃত্যুর কয়েক শতাব্দী পরও নানান ধর্ম ও সংস্কৃতির ভক্ত ও অনুসারীরা এটি পালনে কোনিয়ায় আসেন।
মাওলানা রুমি কালচারাল সেন্টারের ‘সামা’ হলরুমে আহমাদ ওজহানের মরমি সঙ্গীত ও দরবেশদের বিভিন্ন প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে ডিসেম্বরের ৭ তারিখে শুরু হয়েছে অনুষ্ঠান। তার জীবন ও শিক্ষা সম্পর্কে কোনিয়ায় ১০ দিনব্যাপী এরকম আরো কিছু ইভেন্ট ও সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে৷
এই মৌসুমে কোনিয়ায় আসা দর্শনার্থীদের মধ্যে নাজানিন মুগিদাম নামে ইরানি বংশোদ্ভূত ও তুরস্কে বসবাসরত এক নারী এই অনুষ্ঠানে অংশ নিতে কোনিয়াতে এসেছেন৷ তিনি বলেন, ‘মওলানা রুমি ইরানে খুব জনপ্রিয়৷ সুফি, দার্শনিক ও কবিদের মধ্যে তিনি তার কৌন্সুলিডেটেড মতবাদ তথা ‘আমি তুমি আর তুমি আমি’ মতবাদের জন্য বিখ্যাত ও জনপ্রিয়।’
ভক্তবৃন্দ কিংবা বংশধরদের মাধ্যমে প্রজন্ম-প্রজন্মান্তরে ছড়িয়ে পড়বে রুমির শিক্ষা৷ ‘এসিন চেলেবি বায়রু’ নামে তার এক নাতনি ‘মাওলানা রুমি ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন’-এর মাধ্যমে তার বার্তাগুলো ছড়িয়ে দিতে বেশ প্রয়াস পাচ্ছেন৷ তিনি এই ফাউন্ডেশনের ভাইস প্রেসিডেন্টের পদে অধিষ্ঠিত আছেন। তিনি বলেন, ‘মানবতার দায়িত্ব পালনার্থে এই ফাউন্ডেশন মাওলানার বার্তাগুলো ছড়িয়ে দেবার জন্য কাজ করে যাচ্ছে৷’
ফাউন্ডেশনটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯৬ সালে, এর প্রেসিডেন্ট হলেন এসিন চেলেবি বায়রুর ভাই ফারুক হামদিম চেলেবি৷
ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম সম্পর্কে বায়রু বলেছেন, ‘আমাদের প্রধান কাজ, মাওলানার শিক্ষাগুলো ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেয়া, তিনি যা শিখিয়েছেন তা সঠিকভাবে বুঝতে লোকদের সহাযোগিতা করা। পাশাপাশি আমাদের ফাউন্ডেশন মাওলানার সমাধি দর্শনার্থীদের সেবাপ্রদান এবং ঐতিহ্য ও রীতিনীতি রক্ষার জন্যও কাজ করে থাকে৷ দরবেশদের প্রদর্শনী দেখার সময় লোকজন মনে করেন- তারা কেবল একপ্রকার নাচে অংশ নিচ্ছেন; কিন্তু যখন মাওলানার সম্পর্কে তারা আরো জানতে পারেন, তাদের ধারণা আমূল পাল্টে যায়৷’
তথ্যসূত্র : ডেইলি সাবাহ আরবি
রাজধানীর আরবি ভাষা শেখার জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠান জামিয়াতুল উস্তায শহিদুল্লাহ ফজলুল বারী রহ:-ঢাকার শিক্ষার্থী আলমগীর মুরতাজার অনুবাদ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা