শুকনো হ্রদ প্রাণ ফিরে পাচ্ছে, দলবেঁধে আসছে রাজহাঁস
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৪ আগস্ট ২০২২, ১৭:০৮, আপডেট: ২৪ আগস্ট ২০২২, ১৭:৩৩
টলটলে স্বচ্ছ নয়, গোলাপি পানি পুরো হ্রদজুড়ে। নাম ‘তুজ’ লেক। তুরস্কের দ্বিতীয় বৃহত্তম লেক। আনাতোলিয়ার আকসারি শহরে বয়ে গেছে লেকটি। গোলাপি এই লেকে বিচরণ মিষ্টি গোলাপি জাতের রাজহাঁসের। ফ্লেমিঙ্গো নামে পরিচিত। লম্বা পা আর পাখায় গোলাপি আঁচড়। শত শত রাজহাঁস চোখজুড়ায়, মনভরায় প্রকৃতিপ্রেমীদের।
কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় লেকটি প্রায় শুকিয়ে যায়। মারা যায় অনেক ফ্লেমিঙ্গো ছানা। ফলে কমে যায় এই রাজহাঁসের বিচরণ। কমতে থাকে লেকের সৌন্দর্য। প্রায় বন্ধ হয়ে যায় পর্যটকদের যাওয়া আসা।
তাই ‘তুজ’ লেকের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে উঠেপড়ে লাগে তুর্কি সরকার। পরিবেশ মন্ত্রণালয় থেকে ঘোষণা দেয়া হয়, লেকে পানি বাড়ানোর। পাইপলাইন বসিয়ে পানি দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়। ফলে ধীরে ধীরে লেকে বাড়ছে ফ্লেমিঙ্গোর বিচরণ। দলবেঁধে আসছে। তবে এখনো পুরনো রূপে ফিরেনি।
পরিবেশ মন্ত্রণালয় জানায়, লেকের পানি কমে যাওয়ায় ২০২১ সালের জুলাই মাসে শত শত ফ্লেমিঙ্গো ছানা মারা যায়। তখন ব্যবস্থা নেয়া হয়। মন্ত্রণালয় লেকে পানি দেয়ার ব্যবস্থা করে। চার কিলোমিটার জায়গায় পাইপলাইন বসানো হয় লেকে পানি সরবরাহ করার জন্য।
এই প্রজেক্টের একজন কোঅর্ডিনেটর প্রফেসর আহমেত কারাতাস। তিনি জানান, তারা একটি বিপন্ন ঈগল প্রজাতি সহ লেক এবং এই অঞ্চলে প্রজাতির সুস্থতা পর্যবেক্ষণ করছিলেন।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘চলতি বছর এখন পর্যন্ত আমরা কোনো ফ্লেমিঙ্গো মারা যেতে দেখিনি।’
কারাতাস বলেন, ‘সমস্যা সমাধানে আমরা বিকল্প পথ খুঁজছি। লেকের আশপাশে বিভিন্ন শস্য, সূর্যমুখীসহ অনেক ফসল চাষ করছি।
তিনি বলেন, আমরা এই অঞ্চলের বাঁধ থেকে আরো পানি সরবরাহ করার ব্যবস্থা নিচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, ‘চলতি বছর আনুমানিক ১০ হাজার ফ্লেমিঙ্গো লেকে বিচরণ করছে। তবে বিশেষ সময় দলে দলে আসে। তখন ১৮ হাজার ছাড়িয়ে যায়।’
তুজ লেকে প্রাণ ফেরাতে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে পরিবেশ মন্ত্রণালয়। লেকের শুকনো জায়গায় প্রতি ঘণ্টায় ১০ টন পানি সরবরাহ করছে। এর ধারাবাহিকতায় পুরনো রূপে ফিরে যাবে তুজ লেক- আশা করছেন কর্মকর্তারা।
সূত্র : ডেইলি সাবাহ
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা