মধ্যস্থতাকারী জার্মানি নিরপেক্ষতা হারানোয় তুরস্কের নিন্দা
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ৩০ জুলাই ২০২২, ১২:৩৭
তুরস্ক ও গ্রিসের মধ্যে চলমান বিরোধ অবসানের জন্য মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করছিলো জার্মানি। কিন্তু দেশটি নিরপেক্ষ অবস্থান হারানোয় সমালোচনা করেছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু। তিনি এই বিরোধ মীমাংসায় বার্লিনকে মধ্যস্থতাকারী ভূমিকার বিষয়ে একটি নিরপেক্ষ অবস্থান গ্রহণের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। এছাড়া দেশটিকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে দৃঢ় পদক্ষেপ নেয়ারও আহ্বান জানান।
শুক্রবার ইস্তাম্বুলে জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবকের সাথে একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থানের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন মেভলুত কাভুসোগলু।
তিনি গ্রিস এবং গ্রিক সাইপ্রিয়ট (সাইপ্রাসের জাতিগত গ্রিক জনসংখ্যা) প্রশাসনের উস্কানি ও প্রচার থেকে সতর্ক থাকার জন্য জার্মানিকে আহ্বান জানান।
তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাভুসোগলু বলেন, ‘তুরস্ক, গ্রিস এবং গ্রিক সাইপ্রিয়ট প্রশাসনের মধ্যে বিরোধের বিষয়ে মধ্যস্থতাকারী হিসাবে জার্মানির একটি নিরপেক্ষ অবস্থান ছিল। কিন্তু এখন দেশটি তার নিরপেক্ষতা হারিয়েছে।’
তিনি বলেন, “তুরস্কের সাথে অন্যান্য দেশগুলোর বিতর্কিত সামুদ্রিক সীমানা নিয়ে স্থবিরতার বিষয়ে গ্রিসের পক্ষ থেকে চালানো ‘প্রচারণা’য় জার্মানির কান দেয়া উচিত নয়।”
শুক্রবার তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে সংবাদ সম্মেলনের আগে এথেন্সে গ্রিক পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিকোস দেন্দিয়াসের সাথে কথা বলেছিলেন বেয়ারবক।
তিনি বলেন, ‘গ্রিক দ্বীপপুঞ্জ লেসবস, কিওস, রোডসসহ আরো কিছু গ্রিক অঞ্চল- তাদের প্রশ্ন করার অধিকার কারো নেই।’
বেয়ারবক বলেন, ‘উত্তেজনা বাড়িয়ে আমরা পূর্ব ভূমধ্যসাগরের সমস্যার সমাধান করতে পারি না।’
তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাভুসোগলুর জবাব ছিল, ‘আপনারা কেন গ্রিসের বেআইনি কর্মকাণ্ডে চোখ বন্ধ করে আছেন?’
উল্লেখ্য, সাবেক জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেলের আমলে তুরস্ক ও জার্মানির মধ্যে উষ্ণ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
কাভুসোগলু বলেন, ‘মার্কেল যখন ছিলেন, তখন জার্মানির অবস্থান ভারসাম্যপূর্ণ ছিল।’
২০২০ সালে আঙ্কারা এবং এথেন্সের মধ্যে উত্তেজনাকে প্রশমিত করতে জার্মানি মূল ভূমিকা পালন করেছিল।
সূত্র : ডেইলি সাবাহ
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা