২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

তুরস্কের মারাশ আইসক্রিম : চুইংগামের মতো শক্ত ও নমনী

তুরস্কের মারাশ আইসক্রিম - ছবি : সংগৃহীত

চুইংগামের মতো শক্ত ও নমনীয় হলেও মারাশ আসলে আইসক্রিম। তুরস্কের এ ঐতিহ্যবাহী আইসক্রিম নিয়ে সাধারণ মানুষের আগ্রহের শেষ নেই।

ইস্তাম্বুল শহরে আইসক্রিম কেনা নিয়ে যে অ্যাডভেঞ্চার ও ছোটখাটো শো হতে পারে, কে তা জানতো! মারাশ আইসক্রিম এত শক্ত ও আঠালো যে ক্রেতারা বিস্মিত হয়ে যান।

একমাত্র মারাশ আইসক্রিম দিয়েই বিভিন্ন কসরৎ করা সম্ভব। বহু শতাব্দী ধরে তুরস্কের ঐতিহ্যবাহী এ পদ যথেষ্ট পরিচিতি পেয়েছে। বিশেষ প্রণালী ও উপাদানের কারণে এ আইসক্রিম অত্যন্ত ধীরে গলে ও চুইং গামের মতো শক্ত হয়। ‘শেহের-ই-মারাশ' দোকানের মালিক জুমালি আশিকগস বলেন, ‘আমরা এখানে ছোট এক শো করছি। পরিমাণে কোনো কার্পণ্য করি না। যেমন আমরা কোনে আইসক্রিম ভরছি, কাগজ দিয়ে মুড়ে ক্রেতার হাতে দিচ্ছি।

এ আইসক্রিম তৈরির সময় ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে ছাগল বা গরুর দুধ ফোটাতে হয়। ফলে পরে আইসক্রিম এত ঘন ও শক্ত হয়। তারপর চিনি ও সালেপ নামের ঐতিহ্যবাহী তুর্কি উপাদান যোগ করা হয়। যথেষ্ট ঘন হলে এবং আদর্শ তাপমাত্রায় পৌছানোর পর আইসক্রিম নিখুঁত হয়েছে বলে মনে করা হয়।

পেস্তা, কাঠবাদাম বা আখরোট দিয়ে আইসক্রিমের স্বাদ আরো লোভনীয় করা হয়। এভাবে বিভিন্ন ফ্লেভার বেছে নেয়া যায়। জুমালি আশিকগস বলেন, ‘মাইনাস ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় রাখার পর আমরা সঠিক ঘনত্ব পাওয়া পর্যন্ত আইসক্রিম ঘাঁটতে থাকি। যেমনটা দেখছেন, একেবারে ইলাস্টিক হওয়া পর্যন্ত আমরা কাজ চালিয়ে যাই।’

অনেক কসরতের পর ক্রেতারা কোনো এক সময়ে ওই আইসক্রিমের স্বাদ নেয়ার সুযোগ পান। জুমালি বলেন, ‘আমাদের কাছে আইসক্রিম কেনা সিনেমা হলে গিয়ে কমেডি ছবি দেখার মতো। মানুষ এখানে অনেক সময় কাটিয়ে হাসিমুখে ফিরে যান।’

ইস্তাম্বুলে মারাশ আইসক্রিমকে ঘিরে মজার অভাব নেই। স্বাদে-গন্ধেও তা অতুলনীয়।

সূত্র : ডয়চে ভেলে


আরো সংবাদ



premium cement