২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

ভিয়েনা চুক্তি মানার অঙ্গীকারে এরদোগানের রাষ্ট্রদূত বহিষ্কারের নির্দেশ প্রত্যাহার

রজব তাইয়েব এরদোগান - ছবি : সংগৃহীত

তুরস্কে যুক্তরাষ্ট্রসহ ১০ দেশের রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন, তারা কূটনীতিক বিধিমালা সংক্রান্ত ভিয়েনা চুক্তির ৪১ ধারা তারা মেনে চলবেন। সোমবার তুরস্কে ওই দশ দেশের দূতাবাস থেকে পৃথক পৃথকভাবে সম্মিলিত এক বিবৃতিতে এই কথা জানানো হয়।

রাষ্ট্রদূতদের এই বিবৃতিতে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান এই ১০ রাষ্ট্রদূতকে তুরস্ক থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেছেন।

রাষ্ট্রদূত বহিষ্কারের নির্দেশে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া বাকি দেশগুলো হচ্ছে কানাডা, নিউজিল্যান্ড, নেদারল্যান্ড, ডেনমার্ক, সুইডেন, নরওয়ে, ফিনল্যান্ড, জার্মানি ও ফ্রান্স।

১০ দেশের দূতাবাস থেকে জানানো হয়, ১৮ অক্টোবর ১০ দেশের রাষ্ট্রদূতদের বিবৃতির জেরে সৃষ্ট প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে, দেশগুলো কূটনৈতিক সম্পর্কের ওপর ভিয়েনা চুক্তির ৪১ ধারা অনুযায়ী সম্পর্ক বজায় রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এই ধারা অনুযায়ী কোনো রাষ্ট্রদূত তার প্রতিনিধিত্বের দায়িত্বে থাকা রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না।

রাষ্ট্রদূতদের বিবৃতির পরিপ্রেক্ষিতে প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান তুরস্ক থেকে ওই রাষ্ট্রদূতদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেছেন।

রাজধানী আঙ্কারায় প্রেসিডেন্ট কমপ্লেক্সের এক মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিনি বলেন, কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিবৃতিতে রাষ্ট্রদূতদের আরো সতর্ক হওয়া উচিত।

তিনি বলেন, 'রাষ্ট্রদূতদের বিবৃতিতে প্রকাশিত হয়েছে তারা আমাদের দেশের বিরুদ্ধে কুৎসা থেকে সরে এসেছে।'

এরদোগান বলেন, 'আমাদের উদ্দেশ্য নয় সংকট সৃষ্টি করা তবে সার্বভৌমত্বের অধিকার আমরা সুরক্ষিত রাখবো।'

তিনি বলেন, 'কাভালার মামলার বিষয়ে যে রাষ্ট্রদূতরা বিবৃতি দিয়েছিলেন, তারা তুরস্কের বিচার ব্যবস্থা, সার্বভৌমত্বের অধিকারের ওপর সরাসরি হামলা করেছেন।'

তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, যারাই তুরস্কের স্বাধীনতা ও তুর্কি জাতির অনুভূতিকে সম্মান করবে না, যে পদের লোকই হোক না কেন তারা এই দেশে থাকতে পারবে না।

এর আগে গত ১৮ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রসহ ১০ দেশের তুরস্কে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতরা এক যৌথ বিবৃতিতে তুর্কি কারাগারে আটক থাকা ওসমান কাভালার অনতিবিলম্বে মুক্তি চেয়ে বলা হয়, এই মামলা তুরস্কের ওপর এক অন্ধকার সৃষ্টি করেছে।

রাষ্ট্রদূতদের এই বিবৃতির জেরে তুর্কি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের মন্ত্রণালয়ে ডেকে পাঠায়। পরে শনিবার প্রেসিডেন্ট এরদোগান তাদের বহিস্কারের নির্দেশ দেন।

তুর্কি ব্যবসায়ী ওসমান কাভালা ২০১৩ সালে ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত গাজি পার্কের বিক্ষোভের জেরে গ্রেফতার হন। পরে ২০১৬ সালে তুরস্কে ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানের সাথে সংযোগের জেরে ইস্তাম্বুলের এক আদালত তাকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেয়।

বর্তমানে আদালতে ওসমান কাভালার মামলা চলমান রয়েছে।

সূত্র : টিআরটি ওয়ার্ল্ড


আরো সংবাদ



premium cement