তুর্কি ড্রোন কিনতে চায় ব্রিটেন
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৬ অক্টোবর ২০২১, ১৩:৪৪, আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০২১, ১৫:১৭
তুরস্কের শিল্প ও প্রযুক্তিমন্ত্রী বলেছেন, ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ তুরস্কের তৈরি সশস্ত্র ড্রোন কিনতে ভীষণ আগ্রহী হয়ে উঠেছে। শুক্রবার তুরস্কের শিল্প ও প্রযুক্তিমন্ত্রী এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন বলে জানিয়েছে ইয়েনি শাফাক।
তুর্কি ভাষায় সম্প্রচারিত সিএনএন চ্যানেলকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তুরস্কের শিল্প ও প্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তফা ভারঙ্ক বলেন, তুর্কি ড্রোনের প্রতি ভীষণ আগ্রহ দেখাচ্ছে ব্রিটেন। এখন তাদেরকে এ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমরা তাদেরকে অনেকগুলো বিকল্প প্রস্তাবও দিয়েছি। তারা আমাদের প্রস্তাবগুলোকে নিয়ে ভাবছে।
তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি যে ভবিষ্যতে আমরা ইউরোপের আকাশে বায়রাখতার ও অঙ্কাস ড্রোনগুলোকে উড়তে দেখব। তারা এ ড্রোনগুলোকে তুরস্ক থেকেই কিনবে।
এ বছরের ২১ জানুয়ারি তারিখে ইস্তাম্বুল ডিফেন্স, এয়ারোস্পেস ক্লাস্টার অ্যাসোসিয়েশন ও ইস্তাম্বুল চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানেও মোস্তফা ভারঙ্ক এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন।
এর আগে তিনি তার এক বিবৃতিতে বলেছেন, ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন যে তুর্তি ড্রোনগুলো যে কোনো (যুদ্ধ) পরিস্থিতি পরিবর্ত করে দিতে পারে।
তুরস্কের প্রতিরক্ষা ও বিমান নির্মাণ খাত থেকে এ বছরে ১২ বিলিয়ন অর্থ আয় হয়েছে। ২০০৫ সালে তুরস্কের প্রতিরক্ষা রফতানি ছিল ৩৪ কোটি মার্কিন ডলার, এখন তা বেড়ে হয়েছে তিন শ’ কোটি মার্কিন ডলার।
বর্তমানে বিভিন্ন দেশে তুরস্ক নির্মত ড্রোনের চাহিদা বাড়ছে। বর্তমান সময়ের আধুনিক যুদ্ধগুলোতে ড্রোনের গুরুত্বের কথা বিবেচনা করে তুর্কি সরকারও চাচ্ছে ড্রোনের রফতানি বাড়াতে।
তুরস্কের ড্রোনগুলো সিরিয়া, লিবিয়া ও নাগরনো-কারাবাখে সাফল্য লাভের পর তাদের বিক্রি বেড়েছে। সাবেক সোভিয়েতভুক্ত দেশগুলোতেও এ ড্রোনগুলোর চাহিদা বেড়েছে ।
দামি ও কার্যকর এ ড্রোনগুলো তুরস্কের বায়কার কোম্পানি তৈরি করেছে। এ ড্রোনগুলো যুদ্ধের গতিপ্রকৃতিই বদলে দিচ্ছে। ২০২০ সালে এ ড্রোনগুলো যে তিন দেশে (সিরিয়া, লিবিয়া ও আজারবাইজান) ব্যবহৃত হয়েছে সেখানকার প্রতিপক্ষ বাহিনীর ট্যাংক, আর্মড ভেইকল, গোলা-বারুদের গুদাম ও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে।
বিভিন্ন গণমাধ্যমের দেয়া তথ্য মতে, মাত্র ১০ বছরেরও কম সময়ের মধ্যে তুরস্ক ড্রোন নির্মাণে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরাইল ও চীনের মতো প্রভাবশালী দেশে পরিণত হয়েছে।
প্রচুর চাহিদা সম্পন্ন এ বায়রাখতার টিবি-২ ড্রোন চারটি মিসাইল বহন করতে পারে। এ ড্রোনগুলো নির্ভুলভাবে আক্রমণ পরিচালনা করতে পারে।
সাম্প্রতিক সময়ে তুর্কি ড্রোনগুলো বিস্ময়কর সাফল্য লাভ করেছে। এ ড্রোনগুলো সিরিয়া ও লিবিয়াতে মোতায়েনকৃত রাশিয়ার ব্যয়বহুল ও শক্তিশালী পানসির বিমানবিরোধী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে অকার্যকর করে দিয়েছে। এছাড়া আর্মেনিয়ায় মোতায়েনকৃত রাশিয়ার মিসাইল ব্যবস্থাকে অকার্যকর করে দিয়েছে এ ড্রোনগুলো।
সূত্র : ইয়েনি শাফাক
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা