‘নিজের নিরাপত্তার জন্য সবকিছু করবে তুরস্ক’
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৪ অক্টোবর ২০২১, ০০:২৭
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী চাভুসগ্লু বলেছেন, তার দেশ নিজের নিরাপত্তার জন্য ‘প্রয়োজনীয় সবকিছু’ করবে। সিরিয়া থেকে সীমান্ত অতিক্রম করে কুর্দিস পিপলস প্রটেকশন ইউনিটের (ওয়াইপিজি) আক্রমণ বৃদ্ধি পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এ কথা বলেন।
হামলায় তুরস্কে দুই পুলিশ নিহতের ঘটনায় ওয়াইপিজে দায়ী করে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করার এক দিন পর মঙ্গলবার এ কথা বললেন দেশটির অপর ওই শীর্ষ কর্মকর্তা।
এরদোগান বলেছিলেন, উত্তর সিরিয়া থেকে উদ্ভুত হওয়া সব হুমকি মোকাবিলায় তুরস্ক বদ্ধপরিকর।
তুরস্ক বলছে, রোববার ওয়াইপিজির ছোড়া মিসাইল আক্রমণে উত্তর সিরিয়ার আজাজ অঞ্চলে তাদের দুই পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছে।
আঙ্কারা আরো বলছে, সোমবার দক্ষিণ তুরস্কের কারকামিস অঞ্চলেও ওয়াইপিজি নিয়ন্ত্রিত এলাকা থেকে মর্টারশেল নিক্ষেপ করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিক ওয়াইপিজিকে তুরস্ক বলছে, এটি কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) সিরিয়া উইং, যাকে তুরস্ক ও তার ন্যাটো জোট ‘সন্ত্রাসী’ সংগঠন হিসেবে গণ্য করে।
মঙ্গলবার আঙ্কারায় এক সংবাদ সম্মেলনে চাভুসগ্লু বলেন, সিরিয়া সীমান্ত এলাকা থেকে ওয়াইপিজিকে সরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি।
সাম্প্রতিক আক্রমণের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়াকে দায়ী করে তিনি বলেন, উভয় দেশ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটিকে সীমান্ত থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে সরিয়ে দেবে।
‘এখন আমাদের নিজেদেরই ব্যাপারটির সমাধান করতে হবে। অঞ্চলটি থেকে সন্ত্রাসীদের পরিষ্কার করতে আমরাই প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেব,’ বলেন তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এদিকে, দেশটিতে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস মঙ্গলবার ওই নিহত পুলিশ সদস্যদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে এবং হামলার নিন্দা জানিয়েছে।
কিন্তু চাভুসগ্লু বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এ বার্তা ‘অসততা’ প্রকাশ করছে। যেহেতু দেশটি ওয়াইপিজিকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে এবং অস্ত্র সরবরাহ করেছে।
২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার সাথে করা পৃথক চুক্তি অনুসারে উত্তর সিরিয়ায় অনুপ্রবেশ বন্ধ রাখে তুরস্ক। ওই চুক্তিতে বলা হয়েছিল, বিনিময়ে ওয়াইপিজিকে সীমান্ত থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে সরিয়ে নিতে হবে।
সূত্র : আলজাজিরা
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা