তুরস্কের টিবি-২ ড্রোন পোল্যান্ডের জন্য ‘সবচেয়ে উপযোগী’
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৮ জুলাই ২০২১, ২০:১৯
তুরস্কের টিবি-২ ড্রোন পোল্যান্ডের জন্য সবচেয়ে উপযোগী বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির উপ-প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। মঙ্গলবার পোল্যান্ডের উপ-প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ওজসিয়েচ স্কুরিউইচ দেশটির পার্লামেন্টে নিরাপত্তাবিষয়ক কমিটিকে বলেন, তুরস্কের টিবি-২ ড্রোন সামরিক অভিযান চালানোর জন্য সবচেয়ে কার্যকর।
বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত বায়রাখতার টিবি-২ ড্রোনের প্রথম ব্যাচ পোল্যান্ডের সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেয়া হবে ২০২২ সালের শেষের দিকে বলে জানিয়েছে বিভিন্ন গণমাধ্যম।
বায়রাখতার টিবি-২ ড্রোনের প্রথম ব্যাচ পোল্যান্ডের কাছে দেয়া হবে আগামী বছরের অক্টোবর মাসে। পরে ড্রোনের দ্বিতীয় ব্যাচ ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে প্রদান করা হবে বলে জানিয়েছেন পোল্যান্ডের জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ের উপ-প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ওজসিয়েচ স্কুরিউইচ।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার স্কুরিউইচ দেশটির পার্লামেন্টে নিরাপত্তাবিষয়ক কমিটিকে বলেন, তুরস্কের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি বায়রাখতার টিবি-২ ড্রোন ছাড়াও আমাদের অন্য কোনো দেশের ড্রোন কেনার সুযোগ ছিল। কিন্তু, তুরস্কের টিবি-২ ড্রোন পোল্যান্ডের সামরিক অভিযান চালানোর জন্য সবচেয়ে বেশি উপযোগী।
আগামী দু’বছরের মধ্যে তুরস্ক থেকে ২৪টি ড্রোন পোল্যান্ডে সরবরাহ করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এ বছরের মে মাসে পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আন্ড্রেজ ডুডা তিন দিনের সফরে তুরস্কে যান। ওই সময় তুরস্ক ও পোল্যান্ডের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি হয়। ওই সামরিক চুক্তির আওতায় পোল্যান্ড তুরস্কের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি জঙ্গি ড্রোনগুলো কিনবে। পোল্যান্ডই প্রথম ন্যাটো সদস্য যারা তুর্কি ড্রোন কিনছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যরাষ্ট্র পোল্যান্ড তুর্কি ড্রোন নিয়ন্ত্রণের প্রশিক্ষণ গ্রহণের জন্য তাদের ১৯২ সেনা সদস্য পাঠাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তুরস্কের ড্রোনগুলো সিরিয়া, লিবিয়া ও নাগরনো-কারাবাখে সাফল্য লাভের পর তাদের বিক্রি বেড়েছে। সাবেক সোভিয়েতভুক্ত দেশগুলোতেও এ ড্রোনগুলোর চাহিদা বেড়েছে ।
দামি ও কার্যকর এ ড্রোনগুলো তুরস্কের বায়কার কোম্পানি তৈরি করেছে। এ ড্রোনগুলো যুদ্ধের গতিপ্রকৃতিই বদলে দিচ্ছে। ২০২০ সালে এ ড্রোনগুলো যে তিন দেশে (সিরিয়া, লিবিয়া ও আজারবাইজান) ব্যবহৃত হয়েছে সেখানকার প্রতিপক্ষ বাহিনীর ট্যাংক, আর্মড ভেইকল, গোলা-বারুদের গুদাম ও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে।
বিভিন্ন গণমাধ্যমের দেয়া তথ্য মতে, মাত্র ১০ বছরেরও কম সময়ের মধ্যে তুরস্ক ড্রোন নির্মাণে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরাইল ও চীনের মতো প্রভাবশালী দেশে পরিণত হয়েছে।
প্রচুর চাহিদা সম্পন্ন এ বায়রাখতার টিবি-২ ড্রোন চারটি মিসাইল বহন করতে পারে। এ ড্রোনগুলো নির্ভুলভাবে আক্রমণ পরিচালনা করতে পারে।
সাম্প্রতিক সময়ে তুর্কি ড্রোনগুলো বিস্ময়কর সাফল্য লাভ করেছে। এ ড্রোনগুলো সিরিয়া ও লিবিয়াতে মোতায়েনকৃত রাশিয়ার ব্যয়বহুল ও শক্তিশালী পানসির বিমানবিরোধী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে অকার্যকর করে দিয়েছে। এছাড়া আর্মেনিয়ায় মোতায়েনকৃত রাশিয়ার মিসাইল ব্যবস্থাকে অকার্যকর করে দিয়েছে এ ড্রোনগুলো।
সূত্র : ইয়েনি সাফাক
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা