২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

জার্মান প্রযুক্তির সাবমেরিনে শক্তিশালী তুরস্ক, শঙ্কিত গ্রিস

তুরস্কের রইস ক্লাস সাবমেরিন প্রকল্প ইজিয়ান সাগরে গ্রিসের চেয়ে দেশটিকে বেশি শক্তিশালী নৌশক্তিতে পরিণত করেছে। - ছবি : সংগৃহীত

জার্মান প্রযুক্তির সাবমেরিনের কল্যাণে তুরস্ক শক্তিশালী নৌশক্তিতে পরিণত হওয়ায় তা গ্রিসের জন্য শঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ বিষয়ে দ্য ইকনোমিস্ট পত্রিকার প্রবন্ধের শিরোনামে বলা হয়েছে, জার্মান প্রযুক্তির সাবমেরিনগুলো তুরস্ককে গ্রিসের চেয়েও বেশি সামরিক সুবিধা দেবে। লন্ডনভিত্তিক সাপ্তাহিকটি একটি তথ্যসমৃদ্ধ প্রবন্ধ প্রকাশ করেছে যে কিভাবে তুরস্কের রইস ক্লাস সাবমেরিন প্রকল্প ইজিয়ান সাগরে গ্রিসের চেয়ে দেশটিকে বেশি শক্তিশালী নৌশক্তিতে পরিণত করেছে।

তুরস্কের রইস ক্লাস সাবমেরিন প্রকল্পকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে দ্য ইকনোমিস্ট পত্রিকার ওই প্রবন্ধে। রইস ক্লাস সাবমেরিনগুলো জার্মানির টাইপ-২১৪ প্রযুক্তির ওপর ভিত্তি করে তৈরি। এ বিষয়ে লেখা প্রবন্ধটি শনিবার প্রকাশিত হয়েছে। ওই প্রবন্ধে বলা হয়েছে, এ রইস ক্লাস সাবমেরিনগুলো তুরস্কের নৌবাহিনীর জন্য বিপুল সাফল্য বয়ে এনেছে। একইসাথে এটা গ্রিসের মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়াবে।

তুর্কি নৌবাহিনীর এ সাফল্যকে গুরুত্ব দিয়ে ওই প্রবন্ধে জোহানেস পিটার বলেন, এ ডিজেল-ইলেক্ট্রিক শক্তিচালিত সাবমেরিনগুলোতে ‘এয়ার ইন্ডিপেন্ডেন্ট প্রপালশন’ (এআইপি) প্রযুক্তিতে তৈরি। এর মাধ্যমে সহজেই অক্সিজেন প্রাপ্তি নিশ্চিত করা যায় আর সাবমেরিনগুলো নিঃশব্দে চলতে পারে। এ সাবমেরিনগুলো পারমাণবিক শক্তি চালিত সাবমেরিনগুলোর তুলনায়ও বেশি নিঃশব্দে চলে। অপর দিকে পারমাণবিক শক্তি চালিত সাবমেরিনগুলোর ইঞ্জিন কখনো বন্ধ হয় না, তাই এগুলোতে শব্দ হতেই থাকে।

ইনস্টিটিউট ফর সিকিউরিটি পলিসি অফ কিলে কর্মরত জোহানেস পিটার আরো বলেন, গ্রিক ও তুর্কি সঙ্ঘাতের কেন্দ্রস্থল বলে পরিচিত ইজিয়ান সাগরে এ সাবমেরিনগুলো সবচেয়ে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারবে।

তুরস্ক ইতোমধ্যে তাদের গোলচুক শিপ ইয়ার্ডে টিসিজি পিরিরইস নামে একটি রইস ক্লাস সাবমেরিন তৈরি করে ফেলেছে। এ সাবমেরিনটির নাম দেয়া হয়েছে তুরস্কের উসমানীয় আমলের কিংবদন্তি নৌ-সেনাপতি পিরি রইসের নাম অনুসারে। এ সাবমেরিনটি ২০২২ সালে তুর্কি নৌবাহিনীতে যোগ দেবে। বাকি সাবমেরিনগুলো ২০২৭ সালে সরবরাহ করা হবে।

রইস ক্লাস সাবমেরিনগুলো জার্মানির সাথে সামরিক চুক্তির মাধ্যমে তৈরি করা হচ্ছে। একারণে শঙ্কিত গ্রিস কর্তৃপক্ষ জার্মানিকে আহ্বান জানাচ্ছে যেন তারা তুরস্ককে এ প্রযুক্তিগত সহায়তা না দেয়।

অপরদিকে তুরস্ক গ্রিস কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানিয়েছে শান্তিপূর্ণ সমাধানে জন্য। তুর্কি কর্তৃপক্ষ বলেছে, তারা গ্রিসের সাথে পশ্চিম ভূমধ্যসাগর নিয়ে চলমান সঙ্ঘাতের সমাধান চায় আলোচনা ও আন্তর্জাতিক আইনের মাধ্যমে।

সূত্র : ইয়েনি সাফাক


আরো সংবাদ



premium cement

সকল