২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

এরদোগানের পদক্ষেপ ইতিবাচক : মার্কেল

অ্যাঞ্জেলা মার্কেল ও এরদোগান। ২০১৮ সালে ব্রাসেলসে তোলা ছবি। - ছবি : সংগৃহীত

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগানকে তার অভিমত খোলাখুলি জানালেন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল। জার্মান সরকারের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মার্কেল জানিয়েছেন, পূর্ব ভূমধ্যসাগর নিয়ে এরদোগানের পদক্ষেপ ইতিবাচক।

এই দুই নেতা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা বলেন। মার্কেল বলেছেন, এখন আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া খুবই জরুরি।

অতীতে সাইপ্রাস ও গ্রিসের পানিসীমায় তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানকারী জাহাজ পাঠিয়ে ইইউ-কে উদ্বেগে রেখেছিলেন এরদোগান। তার দাবি ছিল, ওই এলাকা তুরস্কের পানিসীমার মধ্যে পড়ে। এ নিয়ে তুরস্ক ও গ্রিসের মধ্যে উত্তেজনা চরমে ওঠে। ইইউ বারবার তুরস্কের কাছে আবেদন জানায়, তারা যেন ওই তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানকারী জাহাজ ফিরিয়ে নেয়। ওই এলাকায় তেল ও গ্যাসের খোঁজ বন্ধ করে। কিন্তু সেই অনুরোধে এরদোগান কান দেননি।

গত ডিসেম্বরে ইইউ সিদ্ধান্ত নেয় তুরস্কের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে। তখন বিবৃতি দিয়ে ইইউ জানিয়েছিল, তুরস্ক একতরফাভাবে উস্কানিমূলক কাজ করে যাচ্ছে। সেই শীর্ষ বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, তুরস্কের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা শুধু কয়েকজন নেতা বা কর্মকর্তার উপর হবে না, আরো ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে। তুরস্ক এবং ইইউ-র দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক সেক্ষেত্রে ব্যাহত হতো। তাতে তুরস্ক রীতিমতো ক্ষতির মুখে পড়ত। ঠিক ছিল, আগামী ২৫-২৬ মার্চ ইইউ’র বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

এরদোগান অবশ্য প্রথমে এই হুমকি অগ্রাহ্য করেছিলেন। কিন্তু পরে তার সুর নরম হতে থাকে। তুরস্কের জাহাজও এখন আর তেল ও গ্যাসের জন্য ড্রিলিং করছে না। এ অবস্থায় এরদোগানের সাথে মার্কেলের কথা অবশ্যই ইতিবাচক পদক্ষেপ। জার্মানি অবশ্য প্রথম থেকেই তুরস্ক ও ইইউ’র মধ্যে সেতু হিসাবে কাজ করেছে। বিরোধ মেটাতে চেয়েছে। ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে জার্মানিতেই তুরস্কের সবচেয়ে বেশি মানুষ থাকেন।

সূত্র : ডয়চে ভেলে


আরো সংবাদ



premium cement